মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
জতিসংঘের ৭৪তম সাধারণ সভার মঞ্চে কাশ্মীর কিংবা পাকিস্তানের এড়িয়ে গেলেও সন্ত্রাসবাদ নিয়ে কথা বললেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আন্তর্জাতিক শান্তি এবং উন্নয়নে ভারত তথা তার সরকারের গত পাঁচ বছরের ভূমিকার কথা ব্যাখ্যা করে জানালেন, ‘আমরা যখন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলি, তখন তার মধ্যে গোটা বিশ্বকে সতর্ক করার জন্য আমাদের আক্রোশ এবং দায়বদ্ধতা থাকে। আমি বিশ্বাস করি, কোনো একটি দেশ নয়, গোটা বিশ্বমানবতার সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ এই মুহূর্তে সন্ত্রাসবাদ।’
এ দিন বিশ মিনিটের বক্তৃতাকে দু’টি ভাগে ভাগ করে নিয়েছিলেন মোদি। একটি উন্নয়ন, অন্যটি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সুর চড়ানো। এক দিকে বলেছেন দূষণ রোধ থেকে ডিজিটাল ভারত গড়ার কথা। অন্য দিকে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে বলেন, ‘আমাদের দেশ যুদ্ধ নয়, বুদ্ধ দিয়েছে বিশ্বকে।’ মোদির বক্তৃতার আধ ঘণ্টার মধ্যেই বক্তব্য রাখেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তার বক্তৃতায় যে কাশ্মীর প্রসঙ্গ উঠবেই, তা জানাই ছিল। তাই বিতর্কে না যেয়ে আন্তর্জাতিক সর্বোচ্চ এই মঞ্চে নতুন ভারতের স্বপ্নকেই বিপণন করলেন মোদি। এ দিন বুদ্ধের পাশাপাশি বিবেকানন্দের শিকাগো বক্তৃতার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘বিবেকানন্দ গোটা বিশ্বকে বলেছিলেন শান্তি এবং সম্প্রীতির পথে এগোতে। বিচ্ছিন্নতা, বিরোধিতার পথে নয়। আজও আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর উদ্দেশে আমাদের বার্তা এটাই।’ তার কথায়, ‘সন্ত্রাসবাদ কোনও একটি দেশের পক্ষে বিপজ্জনক নয়, এই বিপদ সমগ্র মানবজাতির এবং আমাদের মধ্যে এই বিষয়ে ঐক্যের অভাব জতিসংঘ প্রতিষ্ঠার নেপথ্য কারণগুলির মূলেই আঘাত হানে। এই পরিস্থিতিতে খ-িত পৃথিবী কোনও দেশের পক্ষেই লাভজনক হতে পারে না। মানবজাতির স্বার্থে আমি বিশ্বাস করি, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আমাদের সবার রুখে দাঁড়ানো একান্ত জরুরি।’
পাঁচ বছর পর জতিসংঘের সাধারণ সভায় যোগ দিতে এলেন প্রধানমন্ত্রী। স্বাভাবিক ভাবেই এই মঞ্চটিকে কাজে লাগিয়ে তার সরকারের কাজের খতিয়ান তুলে ধরেছেন। আয়ুষ্মান ভারত থেকে দরিদ্রদের জন্য বাড়ি এবং রাস্তা, সব প্রকল্পের উল্লেখ করেছেন। তার কথায়, কোনও উন্নয়নশীল দেশ যখন এই প্রকল্পগুলি সফল ভাবে রূপায়িত করতে পারে, তখন তা গোটা বিশ্বকেই সদর্থক বার্তা দেয়। একই সঙ্গে পরিবেশ আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘বিশ্ব উষ্ণায়নে ভারতের ভূমিকা খুবই কম, কিন্তু তার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমরা এগিয়ে।’ তুলেছেন প্লাস্টিকের বিরুদ্ধে আন্দোলন, সৌর জোট গড়ায় নেতৃত্বদানের মতো বিষয়গুলিও।
সাত দিনের সফর সেরে দেশে ফেরার আগে গতকাল ভুটান এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন মোদি। গত সাত দিনে তিনি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বৈঠক করেছেন প্রায় ৬০টি দেশের নেতার সঙ্গে। এ ছাড়াও বিভিন্ন বহুপাক্ষিক মঞ্চে যোগ দিয়েছে ভারত। সূত্র : টিওআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।