মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
অধিকৃত কাশ্মীর পরিস্থিতি বিশ্বদরবারে তুলে ধরতে পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের একের পর এক কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মধ্যেই পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে দানা বেঁধে উঠছে ক্ষোভ আর বাড়ছে অস্থিরতা। এতে ঝুঁকির মুখে পড়েছেন ইমরান খান। কারণ পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরিদের ক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়ে তা ভারতের সঙ্গে সংঘাতের পর্যায়ে চলে যেতে পারে। পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের কিছু মানুষ এরই মধ্যে দাবি করেছে, হাজার হাজার লোক সীমান্তের নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) অতিক্রম করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে নিরপেক্ষ সূত্রে এই দাবির সত্যতা যাচাই করতে পারেনি।
গত ৫ আগস্ট ভারত সরকার জম্মু-কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন কেড়ে নেয়া, কাশ্মীর অঞ্চলে গণহারে ধরপাকড়, যোগাযোগ বন্ধ করে রাখা এবং কারফিউ জারি করে বিক্ষোভ দমনের চেষ্টা নেয়ার পর থেকেই এই অঞ্চলে উত্তেজনা বেড়ে গেছে। কাশ্মীর ইস্যু বিশ্বের সামনে তুলে ধরা এবং এই ইস্যুতে কিছু করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে তাগাদা দেয়ার চেষ্টা করছেন ইমরান খান। কিন্তু পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের মানুষ যেন আর ধৈর্য রাখতে পারছে না। আজাদ কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে কোটলি জেলার রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামির প্রেসিডেন্ট হাবীবুর রহমান আফাকির কথাতেই সেই আভাস পাওয়া গেছে। তিনি বলেছেন, ‘আমরা সবাই জাতিসংঘ অধিবেশনের জন্য অপেক্ষা করে আছি... দেখতে চাই, বিশ্ব আমাদের সাহায্য করে কি না। না করলে আমরা এলওসি (লাইন অব কন্ট্রোল) ভাঙার চেষ্টা নেব।’
এর আগে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ভারত সরকারের জম্মু-কাশ্মীর সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করে এই পদক্ষেপের জেরে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্কসহ অন্যান্য যোগাযোগ ছিন্ন করলেও পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরিদের নিয়ন্ত্রণরেখা ভাঙার পরিকল্পনার নিন্দা করেছেন। এ মাসে এক ভাষণে তিনি বলেছেন, কেউ সীমান্ত পেরোনোর চেষ্টা করলে সে ভারতের রোষে পড়বে, আন্তর্জাতিক সহমর্মিতাও হারাবে এবং কাশ্মীরেরও শত্রুতে পরিণত হবে। পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীও বলেছে, তারা কাউকে নিয়ন্ত্রণরেখা পেরোতে দেবে না। কাশ্মীরিদের কষ্টকর অবস্থা থেকে মুক্তি দিতে বিশ্ববিবেককে জাগ্রত করার জন্য পাকিস্তান সর্বোতভাবে শান্তিপূর্ণ ও কূটনৈতিক চেষ্টাই চালাচ্ছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনীর জনসংযোগ শাখা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।