মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
সেনেগালের ডাকারে শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর পশ্চিম আফ্রিকার সবচেয়ে বড় মসজিদের উদ্বোধন হয়েছে। জেনে নিন আফ্রিকার কয়েকটি বিখ্যাত মসজিদের কথা। মাসালিকুল জিনান মসজিদ, সেনেগাল। এটি পশ্চিম আফ্রিকার সবচেয়ে বড় মসজিদ। নতুন উদ্বোধন হওয়া এই মসজিদের ভেতরে-বাইরে মিলিয়ে প্রায় ৩০ হাজার মুসল্লি নামাজ পড়তে পারবেন। উনিশ শতকের কবি শেখ আহমাদু বামবা এমবাকের একটি কবিতার শিরোনাম থেকে এই মসজিদের নাম নেয়া হয়েছে। ‘মাসালিকুল জিনান’ মানে হচ্ছে স্বর্গে যাওয়ার পথ। আহমাদু বামবা একজন সুফি ছিলেন। তার প্রতিষ্ঠিত ‘মুরিদ ব্রাদারহুড’ ২৭৯ কোটি টাকা ব্যয়ে মসজিদটি নির্মাণ করেছে। দ্য গ্রেট মস্ক অফ কায়রুয়ান, তিউনিশিয়া। সম্ভবত আফ্রিকার সবচেয়ে পুরনো মসজিদ এটি। ৬৭০ সালে আরব জেনারেল আকবা ইবনে নাফি এটি তৈরি করেছিলেন। ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ কায়রুয়ান এলাকায় এটি অবস্থিত। মসজিদের নকশায় ইসলামপূর্ব, রোমান ও বাইজেন্টাইন স্থাপত্যের মিলন ঘটেছে। লারাবঙ্গা মসজিদ, ঘানা। এই মসজিদকে পশ্চিম আফ্রিকার মক্কা নামেও ডাকা হয়। ১৪২১ সালে নির্মিত মসজিদটি ঘানার সবচেয়ে পুরনো মসজিদ। দ্য গ্রেট মস্ক অফ তুবা, সেনেগাল। মুরিদ ব্রাদারহুডের প্রতিষ্ঠাতা আহমাদু বামবা ১৮৮৭ সালে এই মসজিদটি নির্মাণের পরিকল্পনা করেছিলেন। তবে নির্মাণকাজ শেষ হয় ১৯৬৩ সালে। তার আগে ১৯২৭ সালে বামবা মারা গেলে তাকে ঐ মসজিদের ভেতরে কবর দেয়া হয়। তুবা মসজিদকে বিশ্বের অন্যতম সুন্দর মসজিদ বলে বিবেচনা করা হয়। দ্য গ্রেট মস্ক অফ জেনি, মালি। মাটির ইট দিয়ে তৈরি বিশ্বের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো এটি। ১৯০৭ সালে এটি নির্মাণ করা হয়। প্রাকৃতিক কারণে মসজিদের যে অবক্ষয় হয় তা সংস্কারে প্রতিবছর একটি উৎসবের আয়োজন করা হয়। জেনি এলাকার সবাই এতে অংশ নেন। আবুজা জাতীয় মসজিদ, নাইজেরিয়া। নাইজেরিয়ার জাতীয় এই মসজিদটি ১৯৮৪ সালে নির্মাণ করা হয়। নামাজের সময় ছাড়া অমুসলিমরাও এই মসজিদে যেতে পারেন। এর অবস্থান জাতীয় খ্রিষ্টান কেন্দ্রের ঠিক উলটো দিকে। উগান্ডা জাতীয় মসজিদ। আধুনিক স্থাপত্যের ধারক এই মসজিদটি ২০০৬ সালে উদ্বোধন করা হয়। লিবিয়ায় সাবেক নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির উদ্যোগে এটি নির্মাণ করা হয়েছিল। পরে তার নামেই মসজিদটির নামকরণ করা হয়েছিল। গাদ্দাফির মৃত্যুর পর এর নাম বদল করা হয়। দ্বিতীয় হাসান মসজিদ, মরক্কো। সাবেক রাজা দ্বিতীয় হাসানের ৬০তম জন্মবার্ষিকী স্মরণে মরক্কোর কাসাব্লাংকায় এই মসজিদটি নির্মাণ করা হয়। ১৯৯৩ সালে এর কাজ শেষ হয়। কিছুদিন আগেও এটি আফ্রিকার সবচেয়ে বড় ও বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম মসজিদ ছিল। জামা আল জাজেইর, আলজিয়ার্স। সাত বছর ধরে নির্মাণকাজ শেষে চলতি বছর এটি উদ্বোধন করা হয়। ব্যয় হয়েছে আট হাজার ৪৫১ কোটি টাকার বেশি। জার্মান স্থপতিরা এর নকশা করেছেন। তৈরি করেছে চায়না স্টেট কন্সট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন। আর অর্থ দিয়েছে আলজেরিয়ার সরকার। মসজিদের মিনারটি ২৬৫ মিটার উঁচু। ফলে আফ্রিকার সবচেয়ে দীর্ঘ ভবন এটি। ডয়েচে ভেলে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।