Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাস্তবায়নের আগেই ‘সংশোধন হচ্ছে’ সড়ক পরিবহন আইন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ৫:২২ পিএম

বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে 'সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮' মালিক-শ্রমিকসহ সবার জন্য গ্রহণযোগ্য করার লক্ষে সংশোধনের জন্য সুপারিশ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সরকারের দুই মন্ত্রী। আজ বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনটির প্রায়োগিক দিক নিয়ে সভায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল এ তথ্য জানান।

আইনমন্ত্রী বলেন, সবার জন্য গ্রহণযোগ্য ও আইনের যে উদ্দেশ্য ছিল তা যেন সাধন করতে পারি, সেটাই আমাদের চেষ্টা। আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, স্টেক হোল্ডারদের দাবি ও পার্শ্ববর্তী দেশের আইন দেখে সামঞ্জস্য বিধান করে সুপারিশ করা হবে।

গত বছরের অক্টোবরে সড়ক পরিবহন আইন জাতীয় সংসদে পাস হলেও মালিক-শ্রমিকদের বাধার মুখে প্রয়োগ করা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে।
সভা শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা আশা করছি যেগুলো নিয়ে অসুবিধা ছিল, সেগুলো একটি সিদ্ধান্তে এসে জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিলের কাছে প্রতিবেদন পাঠাবো, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত সেখানেই হবে।

আইনটি দ্রুত পাস হবে কিনা প্রশ্নে তিনি বলেন- অবশ্যই, আমরা আশা করছি দ্রুতই পাস হবে। সমস্ত প্রক্রিয়া শেষ করেই সিদ্ধান্ত হবে।

সাজা কমানোর যে দাবি ছিল সে বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অনেক ধরনের দাবি ছিল, আমরা সবগুলো নিয়েই আলোচনা করেছি। সবগুলো বিশ্লেষণ করে আমরা যে সিদ্ধান্তে যাচ্ছি তা চূড়ান্ত করবো। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশে আইনে কী আছে ও শাস্তি কী আছে সেগুলো দেখে পর্যালোচনা করেছি এবং সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছি।

আইনটি পাস হওয়ার পরও প্রয়োগ হচ্ছে না কেন, তারা কি রাষ্ট্রের চেয়ে বেশি শক্তিশালী- প্রশ্নে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আইনটি যখন তৈরি করেছি তখন তাদের কিছু দাবি-দাওয়া ছিল। সেই দাবি-দাওয়াগুলো সম্পূর্ণভাবে এখানে উপস্থিত হয়নি বলে তাদের ডিমান্ড ছিল। সেজন্যই আমরা দেখছি প্রায়োগিক দিক থেকে কোন জায়গায় অসুবিধা হচ্ছে। কেন অসুবিধা হচ্ছে, সেগুলো আমরা দেখার জন্য বসেছি। কোন জায়গায় অসুবিধা হচ্ছে সেটা দেখছি, বিশ্লেষণ করছি।

আইনটি আবার সংশোধন হতে পারে কিনা- প্রশ্নে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, হ্যাঁ হতে পারে। যদি আমাদের সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিল মনে করে আইনটি সংশোধন হতে পারে, তাহলে সংসদে যে প্রক্রিয়ায় যাওয়ার দরকার সেই প্রক্রিয়া অনুসরণ করে নিয়ে যাবে সংসদে।

আইন প্রয়োগে কী কী অসুবিধা- প্রশ্নে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা পুরোপুরি এটা বলার অথরিটি নই।

সড়ক নিরাপত্তার দাবি নিয়ে গতবছরে ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে আইনটি সংসদে পাস হয়। আন্দোলনকারীদের দাবি ছিল, দুর্ঘটনায় চালকদের গ্রেফতার করলে জামিনযোগ্য যেন না হয়।

সংশোধন করে যদি জামিনযোগ্য করা হয় তাহলে ছাত্র আন্দোলনের প্রতি অবজ্ঞা করা হবে বলে কিনা- প্রশ্নে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের স্টেক হোল্ডারদরা যে দাবির কথা বলেছে সেগুলো বিস্তারিত আলোচনা করে দেখেছি। পার্শ্ববর্তী দেশের আইন দেখেছি। এগুলো নিয়ে আমরা একটা সামঞ্জস্য অবস্থানে যাওয়ার জন্য হয়তো একটা সুপারিশ করতে পারি। এখানে জামিন পাবে কি পাবে না, কারো শাস্তি আরও বাড়বে কি বাড়বে না, এটা হলো আমাদের সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিলের ব্যাপার। আমরা শুধু সুপারিশ করার ক্ষমতা রাখছি।

শ্রমিকরা দাবি করছে আইনটি যেন জামিনযোগ্য হয়- এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, এটা জামিনযোগ্য এই কথাটা বলা ঠিক হবে না। একটা আইন করার পরে জাতীয় সংসদে পাস হওয়ার পরেও যখন এটাকে প্রয়োগ করা হয় কিছু সুবিধা-অসুবিধার কথা উঠে আসে।

আমরা যেহেতু চাই আইনটা সার্বজনীন ক্ষেত্রে প্রয়োগে যাতে অসুবিধা না হয়। আমরা এই আইনের মাধ্যমে যেসব সমস্যা দূরীকরণের চেষ্টা করছিলাম সেটা যাতে আরও ভালোভাবে হয় সেজন্য জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিল আমাদের দায়িত্ব দিয়েছিল।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সড়ক পরিবহন আইন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ