পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : মালিক ও শ্রমিকদের শাস্তির বিধান রেখে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন আইনের সংশোধনী আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গতকাল (শনিবার) দুপুরে হাইকোর্টের সামনে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) কর্তৃক লাইসেন্স ও ফিটনেসবিহীন যানবাহনের বিরুদ্ধে পরিচালিত অভিযান চলাকালে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।
লাইসেন্সবিহীন ড্রাইভিং ও যানবাহন এবং ফিটনেসবিহীন যানবাহনের বিরুদ্ধে এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানের ২ ঘণ্টায় ৩৫ মামলা, ৩০ হাজার টাকা জরিমানা এবং সিএনজি ও বাসসহ মোট ৭টি পরিবহন ডাম্পিংয়ে পাঠানো হয়। সকাল ১১টা থেকে হাইকোর্টের সামনের প্রধান সড়কের দুই পার্শ্বে এ অভিযান শুরু হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন বিআরটিএ-এর দুই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবুল বশার এবং দেবাশীষ নাগ।
এসময় মন্ত্রী বলেন, চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স ও মালিকদের যানবাহনের লাইসেন্স না থাকলে জরিমানা ও মামলা দেয়া হচ্ছে। ফিটনেস ও মিটারবিহীন সিএনজি ডাম্পিংয়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে কোনো ধরনের ছাড় দেয়া হবে না।
মালিকদের শাস্তি কমিয়ে সড়ক পরিবহন আইনের সংশোধনী কেন আনা হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমরা স্বচ্ছতার ভিত্তিতে পরিবহন খাতকে দেখতে চাই। তবে আইন অনুযায়ী যার যা শাস্তি প্রাপ্য তাই করা হচ্ছে। খুব শিগগিরই আইনটির সংশোধনী আনা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ আইন ২০১৫-এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এর আগে মন্ত্রি পরিষদ সচিব জানিয়েছিলেন, বিআরটিএর বর্তমান আইনের ভিত্তি দুর্বল। ১৯৮৩ সালের মোটরযান অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে সড়ক পরিবহন সংক্রান্ত বিষয়গুলো পরিচালিত হচ্ছে।
এখন পরিবহন খাতে এত উন্নতি ও বিস্তৃত হয়েছে যে, এ অর্ডিন্যান্স এখন আর পর্যাপ্ত নয়। সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষকে কার্যকর করতে গেলে এর আইনি কাঠামো শক্তিশালী করার প্রয়োজন থেকেই আইনটিতে সংশোধনী আনা হচ্ছে।
অভিযান সম্পর্কে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট আবুল বশার জানান, সকাল সাড়ে ১১টা থেকে শুরু হওয়া অভিযানে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত মোট ৩৫টি গাড়ি ও চালকের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে। ৪টি সিএনজি ও ৩টি বাস লাইসেন্স না থাকায় ডাম্পিংয়ে পাঠানো হয়। এছাড়া মোট দুই মোবাইল কোর্ট মিলে ২৯ হাজার ৯শ’ টাকা জরিমানা করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।