Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ঝিনাইদহে দুর্গাপুজোয় আনসার ডিউটি নিতে পাঁচ’শ টাকা জনপ্রতি ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ

ঝিনাইদহ থেকে মোস্তফা মাজেদ | প্রকাশের সময় : ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১:৪৮ পিএম

দুর্গা পূজোয় আনসার সদস্য অঙ্গীভূত করার জন্য বিশেষ মিশন নিয়ে মাঠে নেমেছে একটি চক্র। অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন কমান্ডারদের মাধ্যমে আদায় করা হচ্ছে আনসার প্রতি ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত ঘুষ। এই টাকা ইউনিয়ন কমান্ডারদের হাতঘুরে পৌঁছে যাচ্ছে জেলা আনসার অফিসের কতিপয় কর্মকর্তার হাতে। তবে ঝিনাইদহ জেলা কমানড্যন্ট সঞ্জয় সাহা বলেছেন, অফিসে এক টাকাও ঘুষ দিতে হচ্ছে না। তবে ইউনিয়ন কমান্ডাররা হয়তো যাতায়াত ভাড়া হিসেবে কিছু নিয়ে থাকতে পারেন। তথ্য নিয়ে জানা গেছে আসন্ন হিন্দু সম্প্রদায়ের দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে সারা জেলায় ৪৩৫টি মন্ডপে পূজা উদযাপন করা হচ্ছে। ডিএসবির তালিকা মোতাবেক ঝুঁকিপূর্ণ পূজা মন্ডপে সর্বোচ্চ ৬ জন করে আনসার সদস্য নিয়োগ করা হচ্ছে। সেই হিসেবে ৪৩৫টি পূজা মন্ডপে গড়ে ২১৭৫ জন আনসার সদস্য নিরাপত্তার জন্য ৫ দিনের জন্য নিয়োগ করা হবে। প্রতিদিন আনসার সদস্যরা পাবেন ৪৭৫ টাকা করে। ৫ দিনে তারা পাবেন ২৩৭৫ টাকা। হিসাব করলে ২৩৭৫ জন আনসারের কাছ থেকে ৫০০ টাকা করে নিলে ১১ লাখ ৮৭ হাজার টাকা ওঠে। অভিযোগ উঠেছে, জেলার বিভিন্ন গ্রামের হতদরিদ্র ও অসহায় গরীব আনসার সদস্যদের অঙ্গীভুত করার জন্য সর্বনি¤œ ৫০০ টাকা করে ঘুষ নেওয়া হয়। এই টাকা আনসার ভিডিপির উপজেলা কর্মকর্তা, টিআই ও কম্পিউটার অপারেটরদের মাঝে ভাগাভাগী হয় বলে কথিত আছে। এই প্রথা দীর্ঘদিন থেকেই চলে আসলেও চাকরী হারানোর ভয়ে কোন আনসার এ কথা কাউকে বলতে চান না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সাধুহাটী ইউনিয়নের একজন আনসার সদস্য জানান, ইউনিয়নের চৌকিদার দফাদারদের মাধ্যমে এই টাকা আদায় করছে ইউনিয়ন কমান্ডার। হলিধানী ইউনিয়নের কমান্ডার জনপ্রতি ৬০০ টাকা করে আদায় করছেন বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই এলাকার আনসার সদস্যরা জনান। পুজা ছাড়াও সংসদ নির্বাচন, ইউনিয়ন ও ইপজেলা নির্বাচনের ডিউটি পেতে হলে জনপ্রতি ৫০০ টাকা করে দিতে হয়। এই টাকা কে বা কারা গ্রহন করেন না ইউনিয়ন কমান্ডাররা বলতে নারাজ। বিষয়টি নিয়ে হলিধানী ইউনিয়ন কমান্ডার শামসুর রহমান বলেন, আমি কোন টাকা নিচ্ছি না। দিপালী নামে এক মহিলা বাছাই করছে সেই জানে। হরিণাকুন্ডু, শৈলকুপা, কালীগঞ্জ, মহেশপুর ও কোটচাঁদপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে এমন অভিযোগ আসছে। বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ জেলা কমানড্যন্ট সঞ্জয় সাহা বলেন, পুজোয় ডিউটি নিতে অফিসে কাউকে কোন টাকা দেওয়া লাগে না। যদি কোন ইউনিয়ন কমান্ডারের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ ওঠে তবে ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে। তিনি বলেন আমি অফিসের পক্ষ থেকে আজ কালের মধ্যেই একটি কঠোর বর্তা দিয়ে নির্দেশনা জারী করে সবাইকে সতর্ক করে দেব।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অভিযোগ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ