পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশবাসী যেদিন অবৈধ উপায়ে অর্জিত কোটি কোটি টাকা উদ্ধার অভিযান প্রত্যক্ষ করছে- দুদক সেদিন সারাদেশে পাঁচটি পরিদর্শন-কার্য সম্পাদন করেছে। যদিও সংস্থার পক্ষ থেকে এ পরিদর্শনকে ‘অভিযান’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। অথচ কথিত অভিযানে অংশ নেয়া ‘এনফোর্সমেন্ট টিম’ কোনো দুর্নীতিবাজকে গ্রেফতার করেনি। কোনো রেকর্ডপত্র জব্দ করেনি। কাউকে জিজ্ঞাসাবাদ করেনি। কারো বিরুদ্ধে কোনো মামলাও দায়ের করেনি। তবে ‘অভিযান’কালে ওই স্থানে দুদক নামক প্রতিষ্ঠানটির উপস্থিতিতে পথচারীসহ স্থানীয়দের মাঝে এক ধরনের ভীতি সঞ্চার এবং চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
সংস্থার জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য জানান, রাজধানীর মিরপুরে শপিং কমপ্লেক্সের বেজমেন্ট/কার পার্কিং এলাকায় রাজউকের অনুমোদন ব্যতীত দোকান নির্মাণ করার অভিযোগে অভিযান চালিয়েছে দুদক। ‘১০৬’ হটলাইনে অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় এনফোর্সমেন্ট টিম। সহকারী পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম ও উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মনিরুল ইসলামের সমন্বয়ে এ টিম গঠন করা হয়। টিমটি রাজউক জোন-৩ এর অথরাইজড অফিসার মুকিদ ইহসান ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে তিনটি মার্কেটে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানকালে দেখা যায়, শাহ আলী শপিং কমপ্লেক্স, মুক্তবাংলা শপিং কমপ্লেক্স ও বাগদাদ শপিং কমপ্লেক্সের বেজমেন্ট/কার পার্কিং এলাকায় রাজউকের অনুমোদন ব্যতীত দোকান নির্মাণ করে পজেশন বিক্রি করা হয়েছে। যানবাহন পার্কিং করার জন্য নির্ধারিত জায়গায় দোকানপাট নির্মাণ করায় আগত ক্রেতারা রাস্তার ওপর তাদের যানবাহন পার্কিং করে রাখছেন। ফলে ওই এলাকায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নিয়মিত তদারকি বা তৎপরতা না থাকার কারণে এ তিনটি মার্কেটসহ অন্যান্য মার্কেটের কার পার্কিং এলাকায় অবৈধ দোকান নির্মাণ করে তা বিক্রি ও ভাড়া দেয়া হয়েছে মর্মে দুদক টিমের কাছে প্রতীয়মান হয়। এছাড়াও রাজউকের অনুমোদিত নকশার অতিরিক্ত অংশ জুড়ে অনেক মার্কেট নির্মিত হয়েছে মর্মে অভিযানকালে অনুমিত হয়েছে। এসব নকশাবহির্ভূত অংশ এবং কার পার্কিং এরিয়া থেকে দোকান উচ্ছেদ করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে রাজউকের অথরাইজড অফিসারসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেয়া হয়।
এদিকে লালমনিরহাটের আদিতমারীতে ভুয়া জন্ম তারিখ ব্যবহার করে চাকরি করে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করেছে দুদক। দুদকের হটলাইনে অভিযোগ আসে, একজন মুক্তিযোদ্ধা আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ-এ ১৯৭৪ সালে জন্ম তারিখ দেখিয়ে চাকরি করছেন। এ প্রেক্ষিতে সমন্বিত জেলা কার্যালয়, রংপুরের সহকারী পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে দুদক টিম অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পায়। টিম জানতে পারে, উক্ত কর্মচারী মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে নিয়মিত ভাতা পেয়ে আসছেন, কিন্তু টিম কর্তৃক সংগৃহীত নথিপত্রে তার জন্ম তারিখ ০৫/০৩/১৯৭৪ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে বিস্তারিত অনুসন্ধানের অনুমতি চেয়ে কমিশনে প্রতিবেদন উপস্থাপন করবে দুদক।
এছাড়া মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মাণকাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার ও অনিয়ম, বরগুনায় সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার ও অনিয়মের অভিযোগ, ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অ্যাম্বুলেন্স মেরামতের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাতের অভিযোগেও দু’টি ‘অভিযান’ পরিচালনা করে দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম।
উল্লেখ্য, দুর্নীতির বিরুদ্ধে তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে মামলা দায়ের এবং তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের জন্য সোপর্দ করাই দুদকের মূল কাজ। কিন্তু মূল কাজ বাদ দিয়ে শুধু মিডিয়া কাভারেজ এবং সস্তা বাহবা কুড়ানোর কৌশল হিসেবেই দুদক এ মুহূর্তে কথিত এসব ‘অভিযান’ চালাচ্ছে। দেশবাসী যখন ক্যাসিনো-কান্ড প্রত্যক্ষ করছে, বাসাবাড়ির সিন্দুক থেকে দুর্নীতি, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজির কোটি কোটি টাকার উদ্ধার অভিযান প্রত্যক্ষ করছে- তখন দুদকের চুনোপুঁটির পেছনে দৌড়ানোকে ‘হাস্যকর’ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।