পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
![img_img-1719898178](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678437663_IMG-20230310-WA0005.jpg)
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশের ধন ভান্ডার খ্যাত কক্সবাজার জেলার প্রায় অর্ধকোটি মানুষ চরম আর্থিক সংকটে পড়েছে। জেলার অন্যতম আয়ের উৎস হচ্ছে চিংড়ি চাষ। চলতি বছরে মৌসুম শুরুর দিকে অনাবৃষ্টির কারণে কাঙ্খিত পরিমান বাগদা চিংড়ি উৎপাদন না হওয়ায় কোটি কোটি টাকা পুঁজি বিনিয়োগ করে চাষীরা আর্থিক ভাবে দেউলিয়া হওয়ার পথে।
জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, ৮ উপজেলায় প্রায় ৫০ হাজার হেক্টর সরকারি ও ব্যক্তি মালিকানাধীন জমিতে চিংড়ি চাষ হয়। এতে জেলার লক্ষাধিক চিংড়ি চাষী, ব্যবসায়ী ও ঘের মালিকরা কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে চিংড়ি চাষ করে থাকে। বর্তমানে কোন ঘেরেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জণ করতে পারেনি চাষী। চকরিয়ার চিংড়ি চাষী জহিরুল ইসলাম জানান, মড়কের কারণে কোটি কোটি টাকার বাগদা চিংড়ি মারা গেছে। ফলে তারা বিনিয়োগ অর্থ আয় করতে না পারায় চরম দূর্ভোগে পড়েছে।
উল্লেখ্য যে, বিগত ১৯৯৩-৯৪ সালে এখানকার চিংড়ি চাষী সনাতন পদ্ধতি বাদ দিয়ে আধা নিবিড় পদ্ধতিতে চিংড়ি চাষ শুরু করে। এক সময় চিংড়িঘের এলাকায় ব্যাপক হারে ম্যানগ্রোভ ফরেষ্ট (প্যারাবন) ছিল। এসব প্যারাবন নিধন করে কিছু ভূমিদস্যু নতুন নতুন চিংড়ি ঘের তৈরি করতে গিয়ে ব্যাপক হারে প্যারাবন নিধন করে। এখন কার প্যারাবন নিধন করার কারণে চিংড়ি চাষে বিপর্যয় শুরু হয় এবং ব্যাপক আকারে মড়ক দেখা দেয়।
মৎস্য অফিস সূত্রে আরো জানা যায়, জেলার ৮ উপজেলার সমুদ্র তীরবর্তী এলাকায় প্রতিবছর সামুদ্রিক লোনাপানির সাহায্যে বাগদা চিংড়ি চাষ হয়ে আসছে। এর মধ্যে চকরিয়া উপজেলার বিলুপ্ত চকরিয়া সুন্দরবন এলাকায় চাষ হয় ১২ হাজার ৩৭৯ হেক্টর। মহেশখালীতে ৯ হাজার ৬৬৪.২ হেক্টর, উখিয়ায় ১১ হাজার ১০০.৫৪ হেক্টর, কক্সবাজার সদরে ৩ হাজার ৩১৭ হেক্টর, কুতুবদিয়ায় ৭১.৭৭ হেক্টর, টেকনাফে ২ হাজার ৬০০.৭৯ হেক্টর, রামুতে ৬২.৬৭ হেক্টর ও পেকুয়া উপজেলায় ২ হাজার ৮০০.৩৫ হেক্টর জমিতে বাগদা চিংড়ি চাষ হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, জেলায় উৎপাদিত বাগদা দেশের চাহিদা মিটিয়ে প্রতিবছর অন্তত ৫০০ কোটি টাকার চিংড়ি বিদেশে রফতানি করা হয়। চলতি বছর ফেব্রæয়ারি মাস থেকে চিংড়ি চাষ শুরু হলেও কোন চাষী এ পর্যন্ত বিনিয়োগের পুঁজি ফিরে পায়নি। এতে করে তারা এ বছর অন্তত শত কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছে বলে জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।