পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকায় অবৈধ রিকশা ও যানবাহন চলাচল করবে না বলে আবারও ঘোষণা দিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ খোকন। এর আগে গত ৩ জুলাই তিনি একইরকম ঘোষণা দিয়ে বলেছিলেন, ঢাকার প্রধান তিনটি সড়কে রিকশা ও ভ্যান চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মেয়রের সেই ঘোষণার পর কয়েকদিন প্রধান তিন সড়কে রিকশা চলাচল নিয়ন্ত্রন করা হলেও এক সপ্তাহের মাথায় উঠে গেছে সেই নিষেধাজ্ঞা। গতকাল মঙ্গলবার ডিএসসিসি নগর ভবনে আয়োজিত এক বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে মেয়র সাঈদ খোকন আবার সেই একই ঘোষণা দেন। ঢাকা মহানগরীর অবৈধ যানবাহন বন্ধ, ফুটপাত দখলমুক্ত এবং অবৈধ পার্কিং বন্ধের উদ্যোগ গ্রহণ করার লক্ষ্যে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকনের সভাপতিত্বে বৈঠকে ডিএমপি’র পুলিশ কমিশনার, বিআরটিসির চেয়ারম্যান, বিআরটিএ, রাজউক, সড়ক পরিবহন নেতা ও শ্রমিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
মেয়র বলেন, ফুটপাত ও সড়ক দখলমুক্ত করতে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন ইতোমধ্যে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন মতিঝিল, নিউমার্কেট ও গুলিস্তান এলাকায় ফুটপাত হকারমুক্ত করতে অভিযান পরিচালনা করেছে। তাদের বলা হয়েছে অফিস সময় শেষ হওয়ার পর অর্থাৎ বিকেল ৫টার পর তারা ফুটপাতে বসতে পারবে। কিন্তু এ নির্দেশনা উপেক্ষা করে হকাররা ফুটপাত দখল করে রেখেছে। তিনি বলেন, এ সব ফুটপাত যেন অফিস চলাকালীন স্থায়ীভাবে হকারমুক্ত থাকে সে বিষয়ে আমরা কার্যক্রম পরিচালনা করব। এ লক্ষ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ একযোগে কাজ করবে।এদিকে, মেয়রের বার বার একই ঘোষণার পর ফুটপাত হকারমুক্ত না হওয়া এবং ঢাকায় অবৈধ যান চলাচল বন্ধ না হওয়ায় মেয়রের বক্তব্যের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ঢাকার প্রধান তিন সড়কে নিষিদ্ধ তবুও অবাধে চলছে রিকশা। আইন না মানার এ সংস্কৃতির চাক্ষুস প্রমান কুড়িল-রামপুরা-মালিবাগ-সায়েদাবাদ সড়ক। জুলাই মাসে মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেছিলেন, এ সড়কে রিকশা চলাচল করবে না। করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রয়োজনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে। অথচ বাস্তবতা একেবারে উল্টো। মোবাইল কোর্ট তো দুরের কথা, রিকশাওয়ালাদেরকে এই নিষেধাজ্ঞার কথা মনে করিয়ে দেয়ার মতো যেন কেউ নেই। আগে ট্রাফিক পুলিশ বাধা দিতো, এখন বাধা ছাড়াই অবাধে চলছে রিকশা। তাতে সেই পুরনো চিত্রই ফুটে উঠেছে ব্যস্ত এ সড়কে। এতে ক্ষুদ্ধ ভুক্তভোগি, যাত্রী, পথচারি সবাই। শুধু রিকশা নয় অবৈধ ইজিবাইক ও ব্যটারিচালিত রিকশায় ছেড়ে গেছে। লাখ লাখ অবৈধ ইজিবাইক ও রিকশা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে পুরো রাজধানীতে। সরকারি দলের কতিপয় সুবিধাভোগি নেতার ছত্রছায়ায় মোটা অঙ্কের চাঁদার বিনিময়ে এগুলো চলছে।
গতকাল বৈঠক শেষে মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, যেসব ভবন নির্মাণে বিল্ডিং কোড না মানায় বিল্ডিংয়ের র্যাম্প ফুটপাতে চলে এসেছে তাদের বিরুদ্ধে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) অভিযান পরিচালনা করবে। এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, ক্যাসিনোসহ এমন সব অপকর্মের বিরুদ্ধে চলমান অভিযানকে আমরা সাধুবাদ জানাই। প্রধানমন্ত্রীকে বলতে চাই থ্যাংক ইউ পিএম। এসবের সঙ্গে জড়িত জনপ্রতিনিধি বা যারাই থাকুক না কেন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী শূন্য সহিষ্ণুতার প্রদর্শন করে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকবে।
সাঈদ খোকন বলেন, যদি কোনো কাউন্সিলর এসবের সঙ্গে জড়িত থাকে আইন অনুযায়ী আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। একজন নির্বাচিত মেয়র হিসেবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সর্বাত্মক সমর্থন, সাহায্য এবং সহযোগিতা করব।
একজন কাউন্সিলর ক্যাসিনোর সঙ্গে জড়িত, সাংবাদিকরা এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মেয়র বলেন, একজন কাউন্সিলর আমাদের বোর্ড সভায় প্রায়ই অনুপস্থিত থাকতেন এবং বিদেশ ভ্রমণ করতেন। এ বিষয়ে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছি। এছাড়া সিটি কর্পোরেশনের অনুমতি ছাড়া যেন বিদেশ যেতে না পারে সেজন্য বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেয়া হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।