পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাসের নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ছাত্রদলের ওপর হামলা করেছে ছাত্রলীগ। এতে সংগঠনটির ৩০ থেকে ৪০ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা। আহতদের মধ্যে একজনের পা ভেঙে গেছে। ঘটনাস্থলে ছাত্রদলের ব্যবহৃত একটি বাইক ও কয়েকটি মোবাইল ফোন ছিনতাই করে নিয়ে যায় ছাত্রলীগ। অন্যদিকে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে ছাত্রলীগের হামলায় ৩ সাংবাদিক আহত হন। গতকাল সোমবার সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের হাকিম চত্বরে এই ঘটনা ঘটে। পরে ক্যাম্পাসে সংবাদ সম্মেলন করে সনজিতের গ্রেফতার দাবি করেছে ছাত্রদল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ছাত্রদলের নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসের শ্যামল হাকিম চত্বরে একটি চ্যানেলে ইন্টারভিউ দিতে গেলে সেখানে ৮-৯ জন নেতাকর্মী নিয়ে সনজিত চন্দ্র দাস ছাত্রদলকে ‘এলাকা’ ছাড়তে বলেন। পরে শ্যামল নেতাকর্মীদের নিয়ে টিএসসিতে এসে ইন্টারভিউ শেষ করেন। এর কিছুক্ষণ পরই টিএসসিতে সনজিত চন্দ্র দাসের অনুসারী ৫০ থেকে ৬০ জন নেতাকর্মী রড, লাঠিসোটা নিয়ে ছাত্রদলের কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। ছাত্রদলের আহতদের মধ্যে রয়েছে- খোরশেদ আল সোহেল, কামরুল, ফিরোজ আলম, ফাহিম, সজল, নয়ন, শাহিন, অর্ণব, মাছুম, মাহবুব আলম, মশিউর প্রমুখ।
হামলায় অংশগ্রহণ করেন শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাসের অনুসারী আপেল মাহমুদ, জসিম উদ্দিন হল ছাত্রলীগের কর্মী মহসিন আলম তালুকদার, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের অনুসারী সূর্যসেন হলের যুগ্ম-সম্পাদক সৈয়দ শরিফুল ইসলাম শপু, সূর্যসেন হল ছাত্রলীগের সহসভাপতি রাইসুল ইসলাম, সূর্যসেন হল সংসদের ভিপি মারিয়াম জামান খান সোহান, জগন্নাথ হল সংসদের জিএস কাজল সরকার, জসীম উদ্দিন হল সংসদের জিএস ইমামুল হাসান, ঢাবি ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক হাসান রাহাত।
এদিকে ঘটনাস্থলে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাসের নেতৃত্বে সাংবাদিককে মারধর ও মোবাইল কেড়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী সাংবাদিকরা হলেন- স্টুডেন্ট জার্নালের ঢাবি প্রতিনিধি আনিছুর রহমান, বিজনেস বাংলাদেশের আফসার মুন্না ও প্রতিদিনের সংবাদের রাহাতুল ইসলাম রাফি।
ভুক্তভোগী আনিছুর রহমান জানান, বেলা সাড়ে ১২টার দিকে হাকিম চত্বরে এলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আমাকে এসে ঘিরে ধরে। সনজিত চন্দ্র দাসের নেতৃত্বে সাংবাদিক পরিচয় দেয়ার পরও আমাকে মারধর করা হয়। এ সময় আমার মোবাইল কেড়ে নিয়ে যান ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ বিষয়ে সাংবাদিক সমিতির সভাপতি রায়হানুল ইসলাম আবির বলেন, সাংবাদিকদের ওপর হামলার বিষয়ে আমরা ছাত্রলীগের কাছে বিচার দাবি করেছি; পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে হামলাকারীদের বহিষ্কারের বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেবো।
সনজিতের গ্রেফতার দাবি
এ দিকে হামলায় নেতৃত্ব দেয়ায় ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্রের গ্রেফতার দাবি করেছে ছাত্রদল। এ বিষয়ে বেলা ৩টার দিকে টিএসসিতে সংবাদ সম্মেলন করে ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল বলেন, ‘আমরা মধুর ক্যান্টিনে গেলে ছাত্রলীগ আমাদের চারপাশ থেকে ঘিরে উসকানি দেয়। পরে হাকিম চত্বরে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে গেলে সেখানে খারাপ ব্যবহার করে, ওখান থেকে তাড়িয়ে দেয়া হয়। টিএসসিতে এলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সনজিতের নেতৃত্বে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। আমরা এ হামলার তীব্র নিন্দা জানাই এবং অতি দ্রুত হামলায় জড়িত সনজিতের গ্রেফতার দাবি করছি।’
হামলার বিষয়ে সনজিত চন্দ্র দাস বলেন, হামলার বিষয়ে আমি কিছু জানি না। আমি লাইব্রেরিতে ব্যক্তিগত কাজে যাই। পরে লাইব্রেরি থেকে বের হয়ে দেখি এ ঘটনা ঘটেছে। কিছু অতি উৎসাহী নেতাকর্মী এটা করে থাকতে পারেন। সেখানে অনেক লোকজন ছিল, সবাই ছাত্রলীগের নয়। সাংবাদিকদের ওপর হামলার বিষয়ে ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, এ ধরনের ঘটনা ভবিষ্যতে যাতে না ঘটে, সে বিষয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সতর্ক করে বিজ্ঞপ্তি দেয়া হবে। সাংবাদিকদের ওপর হামলায় কেউ জড়িত থাকলে আমরা সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।