পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
টানা পতনের ধকল কাটিয়ে বড় উত্থানের দেখা মিলেছে শেয়ারবাজারে। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ঋণ আমানতের অনুপাত (এডিআর) বাড়ানো এবং গ্রামীণফোনের (জিপি) সমস্যা সমাধানে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের ইতিবাচক ইঙ্গিতের কারণে বাজারে এ উত্থানের দেখা মিলেছে বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। তবে টানা পতনের পর শেয়ারবাজারে বড় উত্থানের দেখা মিললেও বিনিয়োগকারীদের আতঙ্ক কাটেনি। বিনিয়োগকারীরা বলছেন, মূল্য সূচকের বড় উত্থান হলেও শেয়ারবাজারে লেনদেন খরা দেখা দিয়েছে। এতে বোঝা যাচ্ছে বাজারে তারল্য সংকট রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউজে টাকার সংকটের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে বাজারে নতুন করে টাকা না আসলে উত্থান প্রবণতা কতোদিন টিকবে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
এদিকে গ্রামীণফোনের সমস্যা সমাধানে গত বুধবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ইতিবাচক ইঙ্গিত দেয়ার পর কোম্পানির শেয়ার দাম আবার বাড়তে শুরু করেছে। অথচ কিছুদিন আগে এ কোম্পানির শেয়ার দাম টানা কমে। শেয়ারবাজারের সব থেকে বড় মূলধনের কোম্পানির দরপতনে সার্বিক শেয়ারবাজারেও নেতিবাচক প্রভাব দেখা দেয়। এখন গ্রামীণফোনের শেয়ার দাম বাড়ায় সার্বিক শেয়ারবাজারেও ইতিবাচাক প্রভাব পড়েছে। তথ্য পর্যালোচনায় দেখা, গ্রামীণফোনের শেয়ার দাম আগের দিনের তুলনায় ২৪ টাকা বা ৮ শতাংশের ওপরে বেড়েছে। গ্রামীণফোনের শেয়ার দাম বাড়ার প্রভাব অন্য খাতের প্রতিষ্ঠানের ওপরও পড়েছে। ফলে সব খাত মিলে ডিএসইতে ১৮৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। বিপরীতে কমেছে ১০৬টির। আর ৬০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ায় ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ৬৪ পয়েন্ট বেড়ে ৪ হাজার ৯২০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। বাকি দুটি সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ ২৬ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ১৫০ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই-৩০ সূচক ৩০ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৭৬৬ পয়েন্টে রয়েছে। এর মাধ্যমে টানা তিন কার্যদিবস পতনের পর শেয়ারবাজারে বড় উত্থানের দেখা মিলল। এর আগে টানা পতনের মধ্যে শেয়ারবাজারের উন্নয়নের লক্ষ্যে গত সোমবার অংশীজনদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। অর্থমন্ত্রীর ওই বৈঠকের পর মঙ্গলবার ব্যাংকের এডিআর বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। পরের দিন বুধবার আ হ ম মুস্তফা কামাল ঘোষণা দেন গ্রামীণফোনের কাছ থেকে বকেয়া আলোচনার মাধ্যমে আদায় করা হবে। অর্থমন্ত্রীর ওই বক্তব্যের পর বৃহস্পতিবার গ্রামীণফোনের শেয়ার মূল্যে বড় উত্থান হয়। গতকাল রোববারও তার ধারাবাহিকতা অব্যহত থাকায় শেয়ারবাজারেও বড় উত্থানের দেখা মিলল।
এদিকে মূল্য সূচকের বড় উত্থান হলেও ডিএসইতে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। দিনভর বাজারে লেনদেন হয়েছে ৩০৪ কোটি ৭২ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৩৮৪ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন কমেছে ৮০ কোটি ২৪ লাখ টাকা। বাজারে টাকার পরিমাণে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে গ্রামীণফোনের শেয়ার। কোম্পানিটির ৩৮ কোটি ৬৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা মুন্নু জুট স্টাফলার্সের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৭ কোটি ৭০ লাখ টাকার। ১১ কোটি ২২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে জেএমআই সিরিঞ্জ। এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানির মধ্যে রয়েছে- ন্যাশনাল টিউবস, ফরচুন সুজ, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যাল, মুন্নু সিরামিক, ওয়াটা কেমিক্যাল, ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন এবং স্টাইল ক্রাফট।
অপরদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৮৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৯৪৬ পয়েন্টে। বাজারে লেনদেন হয়েছে ১৯ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া ২৩২ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ১২২টির, কমেছে ৭৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৬টির দাম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।