পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সরকারি কর্মকর্তাদের আওয়ামী লীগ করার দরকার নেই। নিরপেক্ষ ও সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করলেই আওয়ামী লীগের কাজ হয়ে যাবে।
গতকাল কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের শহিদ এটিএম জাফর আলম সম্মেলন কক্ষে জেলা পর্যায়ের সরকারি দফতরের প্রধান ও স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অ্যাকশন প্ল্যান শুরু হয়ে গেছে। টেন্ডারবাজ, চাঁদাবাজ ও দখলবাজদের আর রক্ষা নেই। তারা কে কোন দলের, কে কত বড় নেতা, সেদিকে দেখার সুযোগ নেই। তাদের সঙ্গে কোনো আপস নেই। তাদের কোনো ছাড় নেই। অবৈধ দখলদার যে-ই হোক, শেখ হাসিনার সরকার তাদের বিরুদ্ধে কঠোর।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, যারা অপকর্ম করছেন, তারা আরেক দল থেকে আসা লোক এই কথা আমি বলব না। কারণ, তারা আওয়ামী লীগের লোক হিসেবে অপকর্ম করেছেন। আর আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। বিরোধী দলটি (বিএনপি) দীর্ঘদিন ক্ষমতায় ছিল। তবে তারা কোনো দিন নিজেদের দলের চিহ্নিত সন্ত্রাসী, দাগি চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি। হাওয়া ভবন তার প্রমাণ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, যাদের সময়ে দেশ পাঁচবার দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে, তারাও সরকারের দুর্নীতি বিষয়ে কথা বলে। সরকার দলের নেতা-কর্মীদের অপকর্মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে। সরকারপ্রধান শূন্যসহনশীলতা নিয়ে সারা দেশে শুদ্ধি অভিযানের নির্দেশ দিয়েছেন। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা কয়েক দিনে অনেক বেড়ে গেছে। জনপ্রিয়তা দেখেই রাজনীতিতে ব্যর্থ বিএনপির গাত্রদাহ হচ্ছে।
বিএনপির তীব্র সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ভালো কথা নয়, ভালো কাজের মূল্যায়ন করতে হবে। আগে আয়নায় নিজেদের চেহারা দেখার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বিএনপির নেতাদের উদ্দেশে বলেন, গত ১০ বছরে ১০টি মিনিট যারা রাজপথে থাকতে পারেন না, দলীয়প্রধানকে কারামুক্ত করার জন্য দেড় বছরে দেড় মিনিট যারা রাস্তায় দাঁড়াতে পারেনি, যারা দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন, তাদের মুখে দুর্নীতির বক্তব্য ‘ভূতের মুখে রাম নাম’ ছাড়া কিছুই না।
জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম, উপ-দফতর সম্পাদক প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়–য়া, সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, আশেকউল্লাহ রফিক এবং জাফর আলম, পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা এবং সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান। #
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।