পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিআরটিসি বরিশাল বাস ডিপো এখন অচল আর দীর্ঘ দিনের পুরনো লক্কড়মার্কা বাসের ভারে ন্যুব্জ। প্রয়োজনীয় সচল বাসের অভাবে দক্ষিণাঞ্চলের একমাত্র ডিপো এখন লাভজনক রুটেও যাত্রী পরিবহন বন্ধ করে দিয়েছে। সরকারি এ সড়ক পরিবহন সংস্থাটির বেশিরভাগ বাসই এখন যাত্রীবান্ধব নয়। অনেক গাড়ীতে বৃষ্টির সময় ছাতা মাথায় দিয়ে বসতে হয় বলেও অভিযোগ যাত্রীদের।
সম্প্রতি সংস্থার বহরে বিপুল সংখ্যক এসি/নন এসি বাস যুক্ত হলেও এ ডিপোর জন্য বরাদ্দ হয়েছে মাত্র ১০টি। যার মধ্যে মাত্র দুটি এসি বাস। অথচ দক্ষিণাঞ্চলের এ বাস ডিপোর বহরে থাকা প্রায় ৭০টি বাসের অর্ধেকই এখন অচল। যার সবগুলোই আয়ুষ্কাল শেষ হয়েছে আরো এক দশক আগে। এসব বাসের অন্তত ২৫টি আর মেরামতযোগ্য নয় বলে জানা গেছে। সূত্রমতে, শুধু বরিশাল-মাওয়া রুটের জন্যই ন্যূনতম ১২টি এসি বাস প্রয়োজন। আছে দুটি। বছর পাঁচেক আগে ভারত থেকে আমদানি করা এসি বাস থেকে এ ডিপোর জন্য ১০টি গাড়ি দেয়া হলেও তার কোনটির এসি এখন আর কাজ করছে না।
সম্প্রতি ভারত থেকে আমদানি করা নন এসি টাটা বাস থেকে ৮টি ও ২টি অশোক লেল্যান্ড এসি বাস এখানে দেয়া হয়েছে। যার সবগুলোই চলছে বরিশাল-মাওয়া রুটে। এ ডিপোর বাস কুয়াকাটা থেকে রংপুর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ পর্যন্ত যাত্রী পরিবহন করছে। কিন্তু বরিশাল ডিপোর ৩৫টি বাসেরও বেশিরভাগেই যাত্রীদের ন্যূনতম আরামদায়ক ভ্রমণের কোন সুযোগ নেই। ভাল মানের বাসের অভাবে ইতোমধ্যে বরিশাল-খুলনা-যশোর-বেনাপোল, চরফ্যাশন-ভোলা-বরিশাল-যশোর এবং কুয়াকাটা-সাতক্ষীরা-মুন্সিগঞ্জ রুটে যাত্রী পরিবহন বন্ধ হয়ে গেছে। বরিশাল থেকে কুয়াকাটা রুটে যে বাসটি চলছে তার অবস্থাও বর্ণনাতীত। এছাড়াও বরিশাল-খুলনাসহ বিভিন্ন রুটগুলোতে যেসব বাস চলছে তার মানও অত্যন্ত খারাপ। অনেক বাস যান্ত্রিক গোলযোগে রাস্তায় দাঁড়িয়ে যাচ্ছে। ভাল মানের বাসের অভাবে বরিশাল থেকে গোপালগঞ্জ হয়ে খুলনা রুটে যাত্রী পরিবহন করা সম্ভব হচ্ছে না।
আর এ সুযোগে খুলনা, বগুড়া ও পাবনা ডিপো থেকে বেশকিছু বাস ইতোমধ্যেই দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন রুটে চলাচল করছে। বাসের অভাবে এ ডিপোর আয় এক-তৃতীয়াংশ হ্রাস পেয়েছে। নিকট অতীতেও এ ডিপোর মাসিক রাজস্ব আয় ছিল প্রায় দেড় কোটি টাকা। মাস কয়েক আগে তা এক কোটিরও নিচে নেমে গিয়েছিল। তবে গত মাসে তা এক কোটির ওপরে উঠেছে বলে জানা গেছে। ১৯ জন দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারিসহ এ ডিপোতে এখনো দেড় শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারি রয়েছে। যাদের পেছনে মাসে ব্যয় প্রায় ৩০ লাখ টাকা। উৎসবের মাসে ব্যয় বেড়ে হয় দেড়গুণ। অতীতে এ ডিপো প্রতি মাসে পরিচালন মুনাফা অতিক্রম করে নীট মুনাফা করলেও বিগত বছর খানেক তা লোকসানে চলছিল। সম্প্রতি কিছুটা পরিচালন মুনাফায় ফিরে এসেছে বলে জানা গেছে।
বিআরটিসির বরিশাল বাস ডিপো লাভজনক পর্যায়ে ফিরিয়ে আনাসহ সুষ্ঠু যাত্রীসেবা প্রদানে এখানে নতুন ২৪টি বাস দেয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। বিষয়টি সংস্থায় সদ্য যোগ দেয়া চেয়ারম্যানও অবগত আছেন। বিষয়টি নিয়ে রোববার চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি মন্ত্রণালয়ের সভায় থাকায় তা সম্ভব হয়নি। তবে বরিশাল বাস ডিপোর ম্যানেজার জানান, তিনি মাস দেড়েক আগে যোগ দেয়ার পর সার্বিক পরিস্থিতিসহ ভালমানের বাসের চাহিদার কথা সদর দফতরকে অবহিত করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।