রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
তানোর (রাজশাহী) উপজেলা সংবাদদাতা
রাজশাহীর তানোর উপজেলা পরিষদ চত্বরের পুকুর পুনঃখননে শ্রমিক নিয়োগে অনিয়ম ও পুকুর চুরির অভিযোগ উঠেছে। এদিকে পুকুর চুরির খবর ছড়িয়ে পড়লে সাধারণের মধ্যে চরম অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। জানা গেছে, তালন্দ ইউনিয়ন পরিষদ ইউপির কর্মসৃজন কর্মসূচির শ্রমিকদের কর্মসূচির কাজ থেকে প্রায় শতাধিক শ্রমিককে নিয়ে এসে পুকুর খননের কাজ করানো হচ্ছে। চলতি বছরের ৮ থেকে ১২ জুন পর্যন্ত এসব শ্রমিক দিয়ে পুকুর খননের কাজ করানো হয়েছে। এছাড়াও উপজেলা পরিষদ থেকে সিন্দুকাই আদিবাসী পল্লীর ২১ জন শ্রমিক নিয়োগ করা হয়েছে। উপজেলা পরিষদের নিয়োগ করা শ্রমিকরা সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত মাটি কাটার কাজ করে পারিশ্রমিক পাচ্ছেন মাথাপিছু ২৫০ টাকা। অথচ কর্মসৃজন কর্মসূচির শ্রমিকরা সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত মাটি কাটার কাজ করলেও তাদের মাথাপিছু ২০০ টাকা করে পারিশ্রমিক দেয়া হচ্ছে। আবার এসব শ্রমিকের যাতায়াতের জন্য কোনো অর্থ না দেয়ায় তাদের পারিশ্রমিকের প্রায় অর্ধেকটা ব্যয় হচ্ছে যাতায়াতে। ফলে শ্রমিকদের মধ্যে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। পুকুর পনঃখনন কাজের দেখভাল করছেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয়ের ‘পিআইও’ সহকারী প্রকৌশলী এনামুল হক। আবার কর্মসৃজন কর্মসূচির শ্রমিকদের কর্মসৃজন প্রকল্প থেকে পারিশ্রমিক পরিশোধ করা হলেও একই শ্রমিকদের নামে উপজেলা পরিষদ থেকেও পারিশ্রমিকের টাকা উত্তোলন করা হচ্ছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। সূত্রে জানা গেছে, তানোরের তালন্দ ইউপির কালনা উত্তরপাড়া গ্রামে কর্মসৃজন কর্মসূচির কাজ চলছে কাজ বন্ধ রেখে ৪৯ জন ও মোহর গ্রামে কর্মসৃজন কর্মসূচির কাজ বন্ধ রেখে ৪৩ জন শ্রমিককে নিয়ে এসে পুকুর খননের কাজ করানো হচ্ছে। পিআইও অফিসের সহকারী প্রকৌশলী এনামুল হক তাদের কাজ বন্ধ রেখে এখানে এসে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন বলে শ্রমিকরা জানান। শ্রমিকরা আরো জানান, কর্মসৃজন কর্মসূচির কাজ বন্ধ রেখে তাদের এখানে নিয়ে আসা হলেও যাতায়াতের জন্য তাদের কোনো টাকা দেয়া হয়নি। প্রতিদিন একজন শ্রমিকের যাতায়াত খরচ হচ্ছে ৫০ থেকে ৮০ টাকা। অথচ নিজ এলাকায় কাজ করলে তাদের এসব টাকা ব্যয় করতে হতো না। তালন্দ ইউপির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইউপি সদস্য বলেন, কর্মসৃজন কর্মসূচির শ্রমিক দিয়ে পুকুর খননের কাজ করে পুকুর খননের বরাদ্দের টাকা ইউপি চেয়ারম্যান ও পিআইও’র সহকারী প্রকৌশলী ভাগবাটোয়ারা করে নিচ্ছে। এসব বিষয়ে জানতে চাইলে পিআইও অফিস সহকারী আসাদুল ইসলাম বলেন, এব্যাপারে তার কিছুই জানা নেই সবকিছু বলতে পারবেন সহকারী প্রকৌশলী এনামুল। এ বিষয়ে জানতে চাইলে পিআইও অফিসের সহকারী প্রকৌশলী এনামুল হক জানান, কর্মসূচির শ্রমিকরা পুকুর খনন কাজ করলেও তাদের কর্মসূচির টাকা থেকে পারিশ্রমিক দেয়া হবে। তাহলে কর্মসূচি প্রকল্পের কাজ বন্ধ রেখে এখানে তাদের দিয়ে কোন কাজ করানো হচ্ছে এমন প্রশ্নের কোনো সদোত্তর না দিয়ে তিনি বলেন, ঊর্ধŸতন কর্তৃপক্ষের পরামর্শে তাদের দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ‘পিআইও’ সুরাইয়া বেগম জানান, কর্মসৃজন কর্মসূচির শ্রমিকরা কাজ দুই জায়গায় করলেও শুধুমাত্র কর্মসূচির টাকাই পাবেন। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ জানান, এ বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজ-খবর নিয়ে দেখা হবে। এ ব্যাপারে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম মোল্লা বলেন, রোজার দিন শ্রমিকদের মজুরি কম দেয়া অমানবিক। এছাড়াও কর্মসৃজন কর্মসূচির কাজ বন্ধ রেখে ওই শ্রমিকদের দিয়ে কীভাবে পুকুর খনন কাজ করানো হচ্ছে সেটা গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।