নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
হজরতউল্লাহ জাজাই ঝড়ে শুরুটা ভালো করেছিল আফগানিস্তান। ৯.২ ওভারে দুই ওপেনার তুলেছিলেন ৭৫ রান। এরপরই ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। দারুণ বোলিংয়ে লক্ষ্যটা রাখে নাগালে। শেষ ১০.৪ ওভারে সফরকারীরা তুলতে পারে কেবল ৬৩ রান।
২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৩৮ রান করেছে আফগানিস্তান। শুরুর জুটিতে দলটি যত বড় সংগ্রহের সম্ভাবনা জাগিয়েছিল তার তুলনায় অনেক ছোট লক্ষ্যই পেয়েছে বাংলাদেশ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
আফগানিস্তান : ২০ ওভারে ১৩৮/৭ (রহমানউল্লাহ ২৯, জাজাই ৪৭, আসগর ০, নাজিবউল্লাহ ১৪, নবি ৪, নাইব ১, শফিকউল্লাহ ২৩*, জানাত ৩, রশিদ ১১*; সাইফ ৪-০-২৩-১, শফিউল ৪-০-২৪-১, সাকিব ৪-০-২৪-১, মাহমুদউল্লাহ ১-০-১৬-০, মুস্তাফিজ ৩-০-৩১-১, মোসাদ্দেক ১-০-১০-০, আফিফ ৩-১-৯-২)।
আফিফ-মুস্তাফিজ-সাকিবে দিশেহারা আফগানিস্তান
শুরু থেকেই চেপে ধরেছিলেন দুই পেসার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও শফিউল ইসলাম। বাংলাদেশি ফিল্ডারদের দুটি সহজ ক্যাচ ফেলার পর থেকেই সেই ধাক্কা সামলে ঠিকই রানের চাকা সচল রেখে চলেছিলেন আফগান ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও হজরতউল্লাহ জাজাই।
অবশেষে স্পিনেই প্রথম সাফল্য পেল সাকিব আল হাসানের দল। তা-ও এক ওভারে জোড়া! জাজাইকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্য এনে দেন আফিফ হোসেন। এক বল বাদেই দুর্দান্ত বোলিংয়ে অভিজ্ঞ আসগর আফগানকে ফেরান এই স্পিনার।
সেই ধাক্কা সামলে উঠার আগেই পরের ওভারেই আফগান শিবিরে আঘাত হানেন মুস্তাফিজুর রহমান। নিজের বলে নিজেই ক্যাচ নিয়ে আরেক ওপেনার রহমানউল্লাহকে ফেরান এই পেসার।
মাঝে একটু থিতু হবার চেষ্টা করেছিলেন নাজিবুল্লাহ ও মোহাম্মদ নবি। তবে এবার নবিকে ফিরিয়ে আফগান শিবিরে ধ্বসের ধারাবাহিকতা ধরে রাখেন অধিনায়ক সাকিব।
১৩ ওভার শেষে ৪ উইকেট হারানো আফগানিস্তানের সংগ্রহ ৯০।
বিপ্লবকে ছাড়াই বোলিংয়ে বাংলাদেশ
ফাইনালের ড্রেস রিহার্সালের ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টস জিতে আগে ফিল্ডিং নিয়েছে বাংলাদেশ। অধিনায়ক সাকিব আল হাসান জানান, উইকেটে থাকা ঘাসের সুবিধা কাজে লাগাতে আগে ফিল্ডিং নিয়েছেন তারা। টুর্নামেন্টের বিচারে গুরুত্বহীন এই ম্যাচে বাংলাদেশ একাদশে পায়নি আগের ম্যাচের অভিষেকে দারুণ করা লেগ স্পিনার আমিনুল ইসলামকে।
চোটে ছিটকে গেলেন আমিনুল
চোটের জন্য ছিটকে গেছেন আমিনুল ইসলাম। তরুণ লেগ স্পিনিং অলরাউন্ডারের জায়গায় একজন ব্যাটসম্যান নিয়েছে বাংলাদেশ। ফিরেছেন সাব্বির রহমান।
আগের ম্যাচে পাঁচ বিশেষজ্ঞ বোলার নিয়ে খেলেছিল বাংলাদেশ। এক ম্যাচ পরেই আবার চার বোলারে ফিরে গেছে স্বাগতিকরা।
বাংলাদেশ: সাকিব আল হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, লিটস দাস, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, আফিফ হোসেন, মোসাদ্দেক হোসেন, সাইফ উদ্দিন, মুস্তাফিজুর রহমান, শফিউল ইসলাম, সাব্বির রহমান।
আফগানিস্তান দলে দুই পরিবর্তন
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হেরে যাওয়া ম্যাচে দুটি পরিবর্বতন এনেছে আফগানিস্তান। অভিষেক হচ্ছে নাভিন-উল-হকের। দলে ফিরেছেন করিম জানাত। বাদ পড়েছেন ফজল নিয়াজাই ও দৌলত জাদরান।
আফগানিস্তান: রহমানউল্লাহ গুরবাজ, হজরতউল্লাহ জাজাই, শফিকউল্লাহ, আসগর আফগান, নাজিবউল্লাহ জাদরান, মোহাম্মদ নবি, করিম জানাত, গুলবাদিন নাইব, রশিদ খান, নাভিন-উল-হক, মুজিব উর রহমান।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে পরাজয়ের বৃত্ত ভাঙার লক্ষ্যে বাংলাদেশ
মুখোমুখি হওয়া প্রথম টি-টোয়েন্টিতে জিতেছিল বাংলাদেশ। এরপর থেকে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হেরেই চলেছে তারা। ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালের আগে প্রাথমিক পর্বের সবশেষ ম্যাচে রশিদ খানদের বিপক্ষে পরাজয়ের বৃত্ত ভাঙতে প্রত্যয়ী সাকিব আল হাসানের দল। ফাইনালের পোশাকী মহড়ার ম্যাচটি চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শুরু হয়েছে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।