বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) ভিসি ড. খোন্দকার নাসির উদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) কর্মরত সাংবাদিকরা। শনিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে তারা এ কর্মসূচি পালন করেন।
জানা গেছে, গতকাল বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রাবি সাংবাদিকরা প্রধান ফটকের সামনে জড়ো হয়ে সড়কে অবস্থান নেন। এ সময় ভিসি নাসির উদ্দিনের পদত্যাগ দাবি করে সাংবাদিকরা স্লোগান দিতে থাকেন। বিক্ষোভকালে তারা ‘সাংবাদিকের উপর হামলা কেন’, ‘ভিসি নাসির উদ্দিনের পদত্যাগ চাই’, ‘শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে হামলা কেন’ সম্বলিত বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।
কর্মসূচির শুরুর দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশেই অবস্থিত মতিহার থানা পুলিশ কর্মসূচিতে বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করে। তবে থানার ওসি হাফিজুর রহমান বলেন, ‘সাংবাদিকেরা বশেমুরবিপ্রবি ভিসির পদত্যাগের দাবিতে সড়ক অবরোধ করেছিল। আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল সড়ক অবরোধ করলে সাধারণ মানুষের চলাচলে ভোগান্তির সৃষ্টি হয়। তাই তাদেরকে বলা হয়েছিল ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে কর্মসূচি পালন করতে।
প্রায় ঘণ্টাব্যাপী সড়ক অবরোধের পর সাংবাদিকেরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেন। মিছিলটি প্রধান ফটকের সামনে থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে সমাবেশ করে সাংবাদিকরা।
সাংবাদিক নেতারা বলেন, বশেমুরবিপ্রবি-তে প্রতিবাদী শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের উপর পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। কয়েকদিন আগে তুচ্ছ ঘটনায় সাংবাদিক জিনিয়াকেও বহিষ্কার করা হয়। সম্প্রতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল নির্মাণে তার বিরুদ্ধে আড়াই কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়। এর মাধ্যমে আমরা বুঝতে পারি যে এই ভিসি স্বেচ্ছাচারিতা চালিয়ে যাচ্ছে। একজন শিক্ষকের আচরণ এমন হলে শিক্ষার্থীরা তার কাছ থেকে কী শিখবে ? এ সময় তারা ভিসি দ্রুত পদত্যাগ দাবি করেন। অন্যথায় বৃহৎ আন্দোলনের ঘোষণা দেন সাংবাদিকেরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর লুৎফর রহমান বলেন, সাংবাদিকেরা কর্মসূচি পালন করবে আমাকে জানিয়েছিল। সেখানে যেন কোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় সেজন্য আমি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছিলাম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।