পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, শুধু ছাত্রলীগ বা যুবলীগের নেতারাই নজরদারিতে আছেন তা নয়, মূল দল আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকেও নজরদারিতে রাখা হয়েছে। দুর্নীতিতে প্রশাসন বা রাজনীতির কেউ যদি মদদ দিয়ে থাকেন, তাহলে তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।
গতকাল আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এ কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, দুর্নীতি ও অনিয়ম রোধে যে শুদ্ধি অভিযান চলছে, তা সারাদেশেই ছড়িয়ে যাবে। সারাদেশের যেখানে দুর্নীতি বা অনিয়ম হবে শুধু যুবলীগ বা ছাত্রলীগের প্রশ্ন নয়, আওয়ামী লীগেরও যারা অনিয়ম-দুর্নীতি করবে, তাদেরও একই পরিণতি ভোগ করতে হবে।
তিনি বলেন, যাদের কারণে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এর আগেও হয়েছে। দুদক অনিয়ম অভিযোগের বিরুদ্ধে আগেও ব্যবস্থা নিয়েছে। অন্যায়-অনিয়ম বা দুর্নীতিতে প্রশাসন বা রাজনীতির কেউ যদি মদদ দিয়ে থাকেন, তাহলে তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে। কোনো গডফাদারই ছাড় পাবে না। যারা আগামীতে এসব অপকর্ম করবেন, তাদের জন্য এটা সতর্কবার্তা।
সেতুমন্ত্রী বলেন, যারা দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করবেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে। কোনো ধরনের অপকর্মে জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। তিনি বলেন, নানা অপকর্মে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ায় শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা বেড়েছে। নিজ দলের লোকদের বিরুদ্ধে শাস্তির ঘটনা বিএনপিতে নেই। অতীতে বিএনপির মতো বড় দল ক্ষমতায় ছিল, কোনো উদাহরণ নেই। তারা তাদের দলের কোনো অপকর্ম, লুটপাট, দুর্নীতি, খুন- এসব নিয়ে কোনো অ্যাকশনে যায়নি। আজকে বর্তমান সরকারের এটা সবচেয়ে ভালো দিক।
এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ক্যাসিনো যে কেবল আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে হয়েছে, তা নয়। বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখনও ক্যাসিনো ছিল। তারা রাজধানীকে ক্যাসিনোর শহর বানিয়েছিল। কিন্তু বিএনপি কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। তিনি বলেন, বিএনপি যা করতে পারেনি, সেটা আওয়ামী লীগ করছে। খালেদা জিয়া সরকার যা পারেনি, সেটা শেখ হাসিনা সরকার করছে। এতে সরকার এবং দলের ভাবমূর্তি বাড়ছে।
বিএনপি নেতা শামসুজ্জামান দুদুর ‘শেখ মুজিব যেভাবে বিদায় হয়েছেন, শেখ হাসিনাও সেভাবে বিদায় হবেন’ এই বক্তব্যের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তার এ বক্তব্য বিএনপির দলীয় নাকি তার ব্যক্তিগত তা পরিষ্কার করতে হবে, আর এটা করতে হবে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে। অতীতেও আমাদের নেত্রীকে ‘হত্যা করা হবে, তাকে সরিয়ে দেয়া হবে, বঙ্গবন্ধু যে পথে গেছেন, শেখ হাসিনাও সে পথে যাবেন’, এ ধরনের বক্তব্য তারেক রহমানসহ বিএনপির অনেক নেতাই বিভিন্ন সময় বলেছেন। তারা এখন আন্দোলনে ব্যর্থ, নির্বাচনে ব্যর্থ। সবক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়ে ষড়যন্ত্র করছে আমাদের নেত্রীকে সরিয়ে দেয়া যায় কি না। ক্ষমতায় যেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। ক্ষমতায় যেতে এটাই তাদের কৌশল কি না!
তিনি আরো বলেন, দুদুর এই বক্তব্যে আমরা শঙ্কিত নই। শেখ হাসিনা মৃত্যুকে ভয় পান না। মৃত্যু হবে জেনে নীতি-আদর্শ থেকে বিচ্যুত হন না। হত্যা-ষড়যন্ত্রের রাজনীতি যারা করেন, তাদের বিষয়ে দেশের মানুষকে সতর্ক হওয়ার সময় এসেছে।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম এনামুল হক শামীম, দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দি, এস এম কামাল, রিয়াজুল কবির কাউসার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।