মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মার্ক কার্নি বর্তমান ব্যবস্থার সাথে সম্পৃক্ত সমস্যাগুলোর গুরুত্ব তুলে ধরে ঠিক কাজই করেছেন। বিশ্ব অর্থনীতিতে ডলার একটি অস্থিতিশীল ভূমিকা পালন করছে এবং অতি অল্প সুদের হার ও দুর্বল প্রবৃদ্ধির তারল্য-ফাঁদের ঝুঁকি বৃদ্ধি করছে।
বিশ্ব বাণিজ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অংশ মাত্র ১০ শতাংশ ও বৈশ্বিক গড় দেশীয় পণ্যের (জিডিপি) ১৫ শতাংশ। অন্যদিকে সকল ট্রেড ইনভয়েসের অর্ধেক ও বৈশ্বিক সুরক্ষা ইস্যুর দুই তৃতীয়াংশ আসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে।
ডিফল্ট বৈশ্বিক রিজার্ভ মুদ্রা হিসেবে ডলারের ভূমিকা অর্থনীতি ও বাজারের ভাগ্যকে এর মূল্যের একই চালকের সাথে যুক্ত করে। মার্কিন অর্থনীতি, হোয়াইট হাউস পররাষ্ট্র নীতি (বিশেষ করে চীনের সাথে বাণিজ্য যুদ্ধ হিসেবে বাণিজ্যিক পশ্চাদ্ধাবন) এবং মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের আর্থিক নীতি এভাবে বিশ্বব্যাপী রফতানি করা হয়। বিশ্ব বাজার ও অর্থনীতিতে নিজেদের দেশের মুদ্রার রাজনীতিকী করণের এই বর্তমান প্রবণতার মারাত্মক ও ব্যাপক প্রভাব রয়েছে।
কার্নির এ অভিমত ১৯৭১ সালে ব্রেটন উডস ব্যবস্থার বিচ্যুতির সময় থেকে আর্থিক শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার প্রতি বৃহত্তম চ্যালেঞ্জের প্রতিনিধিত্ব করে। যেহেতু উদীয়মান বাজার তাদের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক লেনদেন করে মার্কিন ডলারে। তাই তারা উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ডলার তাদের জাতীয় মুদ্রার সাথে সম্পৃক্ত করে মজুদ হিসেবে রাখতে বাধ্য হয়। যখনই তাদের নিজ মুদ্রার পাশাপাশি মার্কিন ডলারের মূল্যে তারতম্য ঘটে তখন তারা ব্যাপক ভাবে তার প্রকাশ ঘটায়।
মার্কিন আর্থিক নীতির কৃপায় উদীয়মান বাজার অর্থনীতি ‘ভঙ্গুর পাঁচ’ নামে পরিচিতি লাভ করেছে। কারণ তারা মার্কিন সুদের হারের পরিবর্তনের কাছে সবচেয়ে বেশি উন্মুক্ত। ব্রাজিল, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, তুরস্ক ও দক্ষিণ আফ্রিকা বিশে^র জনসংখ্যার ২৬ শতাংশের এবং বৈশ্বিক জিডিপির ১৫ শতাংশের প্রতিনিধিত্ব করে।
এদিকে ইউরোর প্রবৃদ্ধির শক্তি ডলার-প্রধান ব্যবস্থায় প্রতিফলিত হয়নি। ইউরো অঞ্চলের রয়েছে বৈশ্বিক মুদ্রা মজুদের ২০ শতাংশ যা তার বৈশ্বিক অর্থনৈতিক উৎপাদনের শেয়ার ছাড়িয়ে গেছে। বৈশ্বিক অর্থ পরিশোধের ৩৬ শতাংশ হয় ইউরোতে। আর ৪০ শতাংশ মার্কিন ডলারে। তা সত্তে¡ও ইউরো অঞ্চলে ৩০০ বিলিয়ন ইউরো (৪৮৬ বিলিয়ন ডলার) তেল ও গ্যাস আমদানির ৮০ শতাংশ অর্থ মার্কিন ডলার ব্যবহার করে প্রদান করা হয়। যদিও মাত্র ২ শতাংশ আমদানি আসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে। (অসমাপ্ত)
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।