বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
এবার যুবলীগ নেতা এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমকে আটক করায় প্রশংসিত প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নেটিজেনরা। তারা এই ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখার দাবি জানিয়েছেন।
শুক্রবার রাজধানীর নিকেতনের অফিস থেকে তার ৬ দেহরক্ষীসহ আটক করা হয় যুবলীগের এই কেন্দ্রীয় সমবায় সম্পাদককে। এসময় শামীমের কার্যালয়ে টাকার ছড়াছড়ি দেখা গেছে। তার ব্যবসায়িক কার্যালয় জি কে বিল্ডার্সে নগদ দেড় কোটি টাকা উদ্ধার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এ ছাড়া ২০০ কোটি টাকার একটি এফডিআর পাওয়া গেছে।
জি কে শামীম আটকের ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় মেহেদী এইচ অলীক লিখেছেন, ‘‘সরকারের এইরকম পদক্ষেপের প্রশংসা করি। এইরকম পদক্ষেপ সবার জন্যই অব্যাহত থাকুক।’’
আনোওয়ার হুসাইন লিখেছেন, ‘‘ক্যাসিনো আর মদের বারগুলোতে অভিযান চালানোর জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সত্যিই প্রশংসার দাবীদার! তবে দেখার বিষয় হচ্ছে....শেষপর্যন্ত অপরাধীরা রাজনৈতিক পরিচয়ের খাতিরে পার পেয়ে যায় কিনা?’’
‘‘জননেত্রীর প্রতিটি পদক্ষেপ দেশ ও জনগণের স্বার্থে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করুন, আমরা অবশ্যই সফল হবো, ইনশাআল্লাহ’’ লিখেছেন খুরশিদ শাহ।
আবুল কাশেম লিখেছেন, ‘‘ঠিক এভাবে সরকারি মন্ত্রণালয়, হাসপাতাল, স্কুল, কলেজ, থানায় প্রতিটি জায়গায় অভিযান চালানো হউক।’’
সরকারের প্রশংসা করে রুমানা নাজনীন লিখেছেন, ‘‘সুসময়ের কোকিল গুলোকে এইভাবেই বদ করতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেরী হলেও এই কাজ হাত দিছেন তাতেই জনগণ হিসেবে গর্বিত। কিন্তু এরকম পাতিনেতার অভাব নাই দলে সবাইকে সাইজ করে নিজের দলের শত্রুমুক্ত করুন। দেখবেন জনগণ সব সময় আপনার পাসে থাকবে।’’
পলাশ মজুমদার লিখেছেন, ‘‘অপরাধীর কোন দলীয় পরিচয় নাই। অপরাধীর একটাই পরিচয় সে অপরাধী। কোনো অপরাধী যেন ছাড় না পায়..।চলুক শুদ্ধি অভিযান।’’
‘‘দেশের আজকের এই অবস্থার মূল কারণ হলো আইনের শাসনের অভাব আর তথাকথিত জনপ্রতিনিধিরা (দুর্বিত্তরাই ক্ষমতাধর এবং এরাই জনপ্রতিনিধি)। সাধারণ মানুষ হয়ে পড়েছে বড়ই অসহায়’’ মন্তব্য আশিক হোসাইনের।
প্রধানমন্ত্রীর কৃতজ্ঞতা জানিয়ে হোসেন মণ্ডল লিখেছেন, ‘‘সময়ের সাহসী সিদ্ধান্ত। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’’
শাহ এমরান লিখেছেন, ‘‘বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি যাওয়ার পর থেকেই আসলে ক্যাসিনো ব্যবসা জমজমাট শুরু হইছে। বিষয়টা একটু ভালো করে নজর দিবেন।’’
‘‘দুর্নীতি দমন করার জন্য অবশ্যই এটা একটা মহাৎ উদ্যোগ। এবং এর জন্য সরকার অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে। কিন্তু এই অভিযান প্রতিটা জায়গায় করতে হবে। দুর্নীতির সাথে যারাই যুক্ত আছে সকলকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দিতে হবে। আর এভাবে যদি দুর্নীতির বিরুদ্ধে সর্বক্ষেত্রে এবং দলমত নির্বিশেষে পরিচালনা করা যায় তাহলে আশা করা যায় বাংলাদেশের দুর্নীতি অনেক অংশে কমে যাবে’’ লিখেছেন খান শরিফ।
সুমন আহমেদ খান লিখেছেন, ‘‘ধন্যবাদ প্রধানমন্ত্রীকে। রাষ্ট্র পরিচালনর জন্য সন্ত্রাসীদের প্রয়োজন হয়না। এমন উদ্যোগ আরো আগেই উচিত ছিল। এতে দলের বদনাম নয় বরং প্রশংসা হবে আমজনতার আস্থা বাড়বে। সর্বস্তরে এমন অভিযান আশা করছি।’’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।