পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যাত্রীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। বর্তমানে পর্যটনের স্পটে ভ্রমনের সময় নয়; বেড়ানোর উপযুক্ত সময় আসেনি। ইউরোপ-আমেরিকায় ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনার ভর্তি কার্যক্রমও শেষ। সেপ্টেম্বর থেকে বিদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পড়াশোনার ক্লাস শুরু হয়েছে। তার পড়েও বিদেশ যাত্রীদের কমতি নেই।
এ সুযোগে বিভিন্ন এয়ারলাইন্সগুলো দফায় দফায় টিকিটের দাম বাড়াচ্ছে। এতে বিদেশ গমনেচ্ছু কর্মীদের টিকিট কিনতে নাভিশ্বাস উঠছে। এয়ারলাইন্সগুলো নিয়ন্ত্রণহীন ভাবে একচেটিয়া ব্যবসা করার সুযোগ পাওয়ায় টিকিটের দাম বৃদ্ধি করে কোটি কোটি টাকার বৈদেশিক মূদ্রা হাতিয়ে নিচ্ছে।
এদিকে, গত বছর থেকে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক চারটি এয়ারলাইন্স বাংলাদেশ থেকে তাদের কার্যক্রম গুটিয়ে নেয়ায় টিকিটের ক্যাপাসিটি প্রতি মাসে প্রায় ৩০ হাজার কমেছে। এ সুযোগে এয়ারলাইন্সগুলো দফায় দফায় টিকিটের দাম বাড়াচ্ছে। এয়ারলাইন্সের টিকিটের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী মাহমুদ আলী, বিমান সচিব ও সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষকে (ক্যাব) আটাবের পক্ষ থেকে লিখিত চিঠি দিয়েও কোনো সাড়া মেলেনি। রাতে আটাবের মহাসচিব আব্দুস সালাম আরেফ এতথ্য জানিয়েছেন। আটাব মহাসচিব আরেফ বলেন, সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের চরম উদাসিনতা ও রহস্যজনক ভূমিকার দরুণ এয়ারলাইন্সগুলো যখন তখন টিকিটের মূল্য বাড়িয়ে এভিয়েশন খাতে একটি ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে। তিনি অবিলম্বে এয়ারলাইন্সগুলোর টিকিটের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে কমিয়ে আনার জোর দাবি জানান। আটাব মহাসচিব বলেন, এয়ারলাইন্সগুলো প্রতি টিকিটে ১০ হাজার টাকা থেকে ২৫ হাজার টাকা বাড়িয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৮ সনের বিভিন্ন সময়ে ইত্তেহাদ এয়ার, ওমান এয়ার, জেড এয়ারওয়েজ ও ফ্লাই দুবাই বাংলাদেশ থেকে তাদের অপারেশন বন্ধ করেদিয়েছে। এতে এয়ার টিকিট ক্যাপাসিটি ব্যাপক হারে হ্রাস পায়। এয়ার টিকিটের ক্যাপাসিটি বৃদ্ধির পরিকল্পনা এখনো চোখে পড়েনি। ২০১৭ সনে বাংলাদেশ থেকে বিমানসহ বিভিন্ন এয়ারলাইন্স আয়াটার মাধ্যমে ২৫ লাখ ২২ হাজার ২৮০ টি টিকিট বিক্রি, ২০১৮ সনে ২৬ লাখ ৭১ হাজার ৩৫০টি এয়ার টিকিট বিক্রি এবং গত জানুয়ারি থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত বিভিন্ন এয়ারলাইন্স ১৫ লাখ ৮৯ হাজার ৭৬০ টি টিকিট বিক্রি করেছে। এছাড়া ডোমেস্টিক ও বাজেট ক্যাবের মাধ্যমে আরো প্রায় তিন লাখ এয়ার টিকিট বিক্রি হয়েছে।
আটাবের সভাপতি মঞ্জুর মোর্শেদ মাহবুব ইনকিলাবকে বলেন, সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের গাফলতি ও উদাসিনতার দরুণ বিদেশী এয়ারলাইন্সগুলো নিয়ন্ত্রণহীনভাবে টিকিটের মূল্য বাড়িয়ে কোটি কোটি মার্কিন ডলার নিয়ে যাচ্ছে। এতে বিদেশ গমনেচ্ছু কর্মীদের অতিরিক্ত টাকা দিয়ে টিকিট ক্রয় করতে হিমসিম খাচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।