মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আবারও সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে ব্যর্থ হয়েছেন ইসরাইলের ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং তার মিত্ররা। এর আগে এপ্রিলে অনুষ্ঠিত নির্বাচনেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভে ব্যর্থ হয়েছিলেন তিনি। এ কারণেই দেশটিতে এক বছরের মধ্যে দুইবার নির্বাচন হলো। এতে বড়সড় ধাক্কা খেলেন তিনি। দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে তার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম পলিটিকো এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ৯২ শতাংশ ভোট গণনা হয়েছে। এর মধ্যে ৩২টি আসন পেয়েছেন নেতানিয়াহুর দল লিকুদ। মূল বিরোধী দল ‘বøু অ্যান্ড হোয়াইট’ও ৩২টি আসন পেয়েছে। এছাড়া অন্য দুটি দল যথাক্রমে ২৪ ও ১১টি আসনে জয় পেয়েছে। তবে ক্ষমতায় যেতে হলে ১২০ আসনের মধ্যে ৬১টি আসন পেতে হবে যেকোনো দলকে। ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য কেউই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় দলগুলো জোট গঠন করে ক্ষমতায় যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে ছোট দলগুলো বেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। শেষ পর্যন্ত কী হয় তা এখনই বলা না গেলেও ক্ষমতার ভারসাম্যে বেশ বড় পরিবর্তন ঘটতে যাচ্ছে। জোট করতে গেলে প্রধানমন্ত্রীর পদ ধরে রাখা নেতানিয়াহুর জন্য প্রায় অসম্ভব হয়ে যাবে।
এদিকে নির্বাচনের ফলাফলের কারণে নেতানিয়াহুর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। ইতোমধ্যে দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন তিনি। তার ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও প্রতারণাসহ একাধিক মারাত্মক অভিযোগ উঠেছে, সেগুলির ভিত্তিতে তদন্তও চলছে। ক্ষমতা হারালে ও সংসদ সদস্য হিসেবে রক্ষাকবচ উঠে গেলে বিবির বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হতে পারে।
এবারের নির্বাচনে বিবির প্রধান প্রতিপক্ষ সামরিক বাহিনীর প্রাক্তন প্রধান ও মধ্যপন্থি নেতা বেনি গানৎস। দুজনের মধ্যে কেউই জয়ের দাবি করতে পারছেন না। মঙ্গলবার রাতে লিকুদ দলের সদর দপ্তরে বিবি নেতানিয়াহুকে কিছুটা বিমর্ষ দেখাচ্ছিল। অন্যদিকে গানৎস আত্মবিশ্বাসে ভরপুর ছিলেন। শেষ পর্যন্ত যে দলই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাক না কেন, জোট গড়তে অন্যান্য দলের সমর্থনের প্রয়োজন হবে। ধর্মীয় ভবাদর্শে উদ্বুদ্ধ ও ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলির মতিগতির ওপর সেই জোটগঠন অনেকটাই নির্ভর করবে। ধর্মভিত্তিক দলগুলি নেতানিয়াহু ও ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলি গানৎস-এর প্রতি সমর্থন জানাতে পারে। তবে সরকার গড়ার উদ্যোগ আবার বিফল হলে জাতীয় ঐক্য সরকার গঠনের সম্ভাবনাও রয়েছে। তবে সে ক্ষেত্রে নেতানিয়াহুর পক্ষে প্রধানমন্ত্রী থাকা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়বে বলে ধরে নেয়া হচ্ছে।
নেতানিয়াহু যুগের অবসান ঘটলে ইসরাইলের রাজনীতি জগতে আমূল পরিবর্তনের সম্ভাবনা দেখছেন অনেক পর্যবেক্ষক। নানা অভ্যন্তরীণ বিষয় ছাড়াও ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে শান্তির উদ্যোগের ক্ষেত্রেও ইতিবাচক পদক্ষেপ আশা করা যেতে পারে। ইরানের প্রতি চরম বৈরি মনোভাবের বদলে বাস্তববাদী নীতি গ্রহণ করতে পারেন বেনি গানৎস বা অন্য কোনো গ্রহণযোগ্য নেতা। সূত্র : হারেৎজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।