পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
সরকারি ও বেসরকারি খাত থেকে অর্থ সংগ্রহ করে ৫০ কোটি ডলারের একটি তহবিল গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ অথরিটি (পিপিপিএ)। বিভিন্ন অবকাঠামো খাতে ব্যবহারের জন্য জাতীয় অবকাঠামো তহবিল নামে এ তহবিলের প্রস্তাব করেছে পিপিপি কর্তৃপক্ষ। অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, সরকার দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে নানা ধরনের এবং বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে। বিশেষ করে অবকাঠামো খাতের উন্নয়নে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে অনেক সময় অর্থ জোগানে বিদেশী দাতা সংস্থা বা ব্যাংকগুলো থেকে ঋণ নিতে হয়। এতে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহ কমে যায়।
সূত্র জানায়, অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগের জন্য ৫০ কোটি ডলারের জাতীয় অবকাঠামো তহবিল নামে একটা ফান্ড গঠন করতে যাচ্ছে সরকার; যাতে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ অথরিটি (পিপিপিএ) সহজেই বড় প্রকল্পের জন্য ফান্ডের সংস্থান করতে পারে।
সূত্র জানায়, সরকারের কোষাগার থেকে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ অর্থ তহবিলে জোগান দেয়ার কথা বলা হয়েছে। বাকি অংশ আসবে বেসরকারি খাত থেকে। এত বিশাল আকারের অর্থ কিভাবে বেসরকারি খাত থেকে আসবে তা নিয়ে অবশ্য অর্থ মন্ত্রণালয় সংশয় প্রকাশ করেছে এবং বেসরকারি খাত থেকে কিভাবে এ বিশাল অঙ্কের ফান্ড তোলা হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। একই সঙ্গে এ বিষয়ে বিশদ জানতে চেয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
সূত্র জানায়, এ ধরনের তহবিল গঠনের উদ্যোগ আগেও নেয়া হয়েছিল। কিন্তু বেসরকারি খাত এ ব্যাপারে কোনো উৎসাহ দেখায়নি। শুধু স্টক মার্কেটকে বাঁচাতে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর অর্থ সংগ্রহ করে কয়েক দফায় আইসিবির সহযোগিতায় বড় ফান্ড গঠন করে দেশের শেয়ার বাজারের উন্নয়নে কাজে লাগিয়েছে সরকার ।
তবে তহবিল গঠনে পিপিপিএ’র উদ্যোগে এ তহবিল গঠনে বেসরকারি খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো বিনিয়োগ করলে তাদের কর ও শুল্ক মওকুফের সুবিধা দেয়ার কথা বলা হয়েছে। যাতে বেসরকারি খাত থেকে এ তহবিলে বিনিয়োগে আগ্রহী হয়।
পিপিপিএ স¤প্রতি তহবিলের একটি খসড়া ধারণাপত্র অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে এর মতামত চেয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের পিপিপিএ অফিস। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালকের নেতৃত্বে একটি কমিটি তহবিল গঠনের তদারকি করছে। ধারণা পত্র অনুসারে, মোট ৫০ কোটি ডলারের মধ্যে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ সরকার অবদান রাখবে এবং বাকি অর্থ বেসরকারি খাত থেকে নেয়া হবে।
প্রয়োজনীয় তহবিল সংগ্রহ করতে ইউনিট ট্রাস্ট/অংশগ্রহণমূলক সার্টিফিকের্ট, বন্ড এবং অন্যান্য ক্ষেত্র থেকে এ তহবিল গঠন করতে উদ্যোগ নেয়া হবে। এ ছাড়া ব্যাংক, বীমা কোম্পানি, পেনশন তহবিল এবং মিউচুয়াল ফান্ড থেকেও এ তহবিলে অর্থ নেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। বিশ্বব্যাংক এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) মতো বহুপাক্ষিক উন্নয়ন সংস্থাগুলির আংশিক ঝুঁকি গ্যারান্টির আওতায় এই তহবিলকে সরাসরি উন্নয়ন অংশীদারদের কাছ থেকে ঝুঁকির বিপরীতে গ্যারান্টি দেয়া হবে। এতে পিপিপিএ আরো উন্নয়নের অংশীদারদের কাছ থেকে আরো বেশি সম্পদ সংগ্রহ করতে পারবে।
খসড়া ধারণাপত্রটি জাতীয় অবকাঠামো তহবিলে বেসরকারি খাতের অর্থায়নকে আকর্ষণ করার জন্য প্রণোদনার প্রস্তাব দিয়েছে পিপিপিএ অফিস। সুদের আয়/কুপনের ওপর কর, যন্ত্রের স্থনান্তরের ওপর মূলধন আয়কর এবং অগ্রিম আয়কর থেকে ছাড়সহ বিভিন্ন সুবিধা দেয়ার কথা বলা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।