মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
দক্ষিণ আমেরিকার সবচেয়ে বেশী মুসলমান বাস করে আর্জেন্টিনায়। দক্ষিণ আমেরিকার দক্ষিণ অংশের প্রায় পুরোটাজুড়েই এর অবস্থান। আয়তনের দিক থেকে এটি দক্ষিণ আমেরিকার দ্বিতীয় বৃহত্তম এবং বিশ্বের অষ্টম বৃহত্তম রাষ্ট্র। আয়তন ২৭ লাখ ৮০ হাজার ৪০০ বর্গকিলোমিটার বা ১০ লাখ ৭৩ হাজার ৫১৮ মাইল। দেশটি বিশ্বব্যাপী ফুটবলের জন্য জনপ্রিয় ও পরিচিত। ল্যাটিন আমেরিকার সর্বাধিক মুসলিম অধ্যুষিত দেশও এটি। দেশটিতে বসবাস করে ১০ লাখেরও বেশি মুসলিম।
সবচেয়ে বেশী মুসলমান বাস করেন রাজধানী বুয়েন্স আয়ার্সেই। যা দেশটির সর্ববৃহৎ নগরী হিসেবেও পরিচিত। জনসংখ্যা প্রায় সাড়ে ৪ কোটি। (সূত্র : ওয়ার্ল্ড ফ্যাক্টবুক ২০১৭) যার মধ্যে রোমান ক্যাথলিক ৯২ শতাংশ, প্রটেস্ট্যান্ট ২ শতাংশ, ইহুদি ২ শতাংশ, অন্যান্য ৪ শতাংশ, আর মুসলমান প্রায় ২ শতাংশ (সূত্র : ওয়ার্ল্ড ফ্যাক্টবুক)।
‘দ্য পিউ রিসার্চ সেন্টার’ ২০১০ সালে এক রিপোর্ট প্রকাশ করে তাতে আর্জেন্টিনার মুসলিম জনসংখ্যা প্রায় ১০ লাখ উল্লেখ করা হয়। আর্জেন্টিনার সবচেয়ে বড় শহর ও রাজধানী সবচেয়ে বেশি মুসলিম বসবাস করে। দেশটিতে অনেক মসজিদসহ দুটি জুমায় মসজিদ, কিং ফাহাদ ইসলামিক সেন্টার, ল্যাতিন আমেরিকা ইসলামিক অরগানাইজেশন আছে।
ধর্মীয় দিক থেকে মুসলমানরা বেশ স্বাধীনভাবেই এখানে ধর্ম পালন করতে পারে। ইবাদতের সুবিধার্থে গড়ে উঠেছে বড় বড় ইসলামিক সেন্টার, মসজিদ ইত্যাদি। যার মধ্যে সিআইআরএ (দ্য ইসলামিক সেন্টার অব আর্জেন্টিনা), আহমদ মসজিদ, আত-তাওহিদ মসজিদ, কিং ফাহাদ বা পালার্মো মসজিদ অন্যতম।
১৯৮৯ সালের নির্বাচনে আর্জেন্টিনায় আরব বংশোদ্ভ‚ত কার্লোস মেনেম প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হন। তার সাবেক স্ত্রী জুলিমা ইয়মার তথ্য মতে, দেশের প্রেসিডেন্ট হতেই তিনি ১৯৬৬ সালে ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করেন। তিনি তার শাসনামলে মুসলমানদের বিভিন্নভাবে সহায়তা করেন। সউদী সরকারের সহায়তায় তার আমলেই ইসলামিক সেন্টারসহ মসজিদ নির্মাণ হয়।
অনেক মুসলিম অধ্যুষিত দেশেই যখন হিজাব পরে নারীরা জাতীয় পরিচয়পত্র কিংবা পাসপোর্টর জন্য ছবি তুলতে পারে না, সে সময়টিতে আর্জেন্টিনার আদালত মুসলিম নারীদের হিজাব পরিধানের অনুমতি দিয়েছে। এমনকি ২০১১ সালের ২৬ জানুয়ারি আদালতের এক রায়ে বলা হয়, ‘জাতীয় পরিচয়পত্রেও মুসলিম নারীরা হিজাব পরিহিত অবস্থায় ছবি দিতে পারবেন।’ আর্জেন্টিনার আদালত হিজাব পরাকে ধর্মীয় স্বাধীনতা হিসেবে উল্লেখ করেছে। আর্জেন্টিনায় মুসলিমরা জুমার নামাজসহ প্রতি ওয়াক্তের নামাজ পড়ার জন্য মসজিদে যায় এবং নারীরাও মসজিদ ব্যবহার করতে পারে। তবে আর্জেন্টিনা সরকার মুসলিমরা যাতে তাদের ধর্মীয় কাজ সঠিকভাবে করতে পারে সেজন্য ব্যবস্থা করে দিয়েছে।
পবিত্র রমজান, ঈদসহ সব ইসলামী উৎসব তারা বেশ আনন্দের সঙ্গে পালন করে। রমজানে বড় বড় ইসলামিক সেন্টার ও মসজিদগুলো মুসল্লিদের জন্য সাহরি ও ইফতারের আয়োজন করে। অনেক মুসলিমই রমজানে ইবাদতের উদ্দেশ্যে মসজিদে চলে আসে। তাদের সঠিক দ্বিন শিক্ষা দেওয়ার জন্য মসজিদগুলোতে শুরু হয় বিশেষ কোর্স। বিভিন্ন টিভি চ্যানেলেও পবিত্র রমজান মাসে ইসলামী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। যেখানে মুসল্লিরা তাদের যেকোনো প্রশ্নের সমাধান মুফতি সাহেবদের থেকে নিতে পারে।
নাইন-ইলেভেনের পর সেখানকার মুসলিমরাও প্রথম দিকে বেশ বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে দিন অতিবাহিত করলেও সে দেশের সরকার মুসলিমদের প্রতি সহনশীল হওয়ায় তারা সে সংকট সহজে কাটিয়ে উঠতে পেরেছে। সূত্র : ইন্টারনেট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।