Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আশা দেখিয়ে ফিরে গেলেন মাহমুদউল্লাহ-সাব্বির

জিততে হলে বাংলাদেশের চাই ১৬৫

ইমরান মাহমুদ, মিরপুর থেকে | প্রকাশের সময় : ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ৯:৪১ পিএম | আপডেট : ৯:৪৩ পিএম, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ। মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে আজ প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান। ম্যাচটি শুরু হয়েছে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়।

শুরু থেকেই দুর্দান্ত বোলিংয়ে আফগানিস্তানেক চেপে ধরেছিলেন সাইফউদ্দিন-সাকিব আল হাসানরা। শুরুতে স্পিন আর পেসের সমন্বয়ের সেই চাপ সামলে উঠতে পারেনি সফরকারীরা। মাঝে মোহাম্মদ নবি আর আসগর আফগানের দারুন এক জুটিই অবশেষে লড়াকু সংগ্রহ পায় রশিদ খানের দল।

নির্ধারিত ওভার শেষে ৬ উইকেটে ১৬৪ রান তুলেছে আফগানিস্তান। ৪৮ রানে অপরাজিত ছিলেন নবি। ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে ৪ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের সফল বোলার সাইফউদ্দিন। তার আগের সেরা ছিল ২/৫৩। বাকি দুটি শিকার অধিনায়ক সাকিবের।

জিততে হলে বাংলাদেশের চাই ১৬৫।

সংক্ষিপ্ত স্কোর :

আফগানিস্তান : ২০ ওভারে ১৬৪/৬ (রহমানউল্লাহ ০, জাজাই ১, নাজিব ১১, আসগর ৪০, নাজিবউল্লাহ ৫, নবি ৮৪*, নাইব ০, জানাত ৫*; সাইফ ৪-০-৩৩-৪, সাকিব ৪-১-১৮-২, মুস্তাফিজ ৪-০-২৫-০, তাইজুল ৪-০-৩২-০, সৌম্য ২-০-৩১-০, মোসাদ্দেক ১-০-১২-০, মাহমুদউল্লাহ ১-০-৩-০)।

ফিরেই সাইফউদ্দিনের জোড়া আঘাত

সাইফ-সাকিবের দুর্দান্ত বোলিংয়ে শুরু থেকেই খাবি খাচ্ছে আফগানিস্তান। একে একে ব্যাটসম্যানদের আশা যাওয়ার মিছিলে একটি জুটির বড্ড প্রয়োজন ছিল রশিদ খানের দলের। সফরকারীদের সেই স্বস্তি এনে দিয়েছিলেন আসগর আফগান ও মোহাম্মদ নবি।

তবে দ্বিতীয় স্পেলে ফিরেই সাইফউদ্দিনের জোড়া আঘাতে ফের দিশেহারা আফগানিস্তান। এই পেসারকে লং অন দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে সাব্বিরের বিশ্বস্ত হাতে ধরা পড়েন আফগান (৩৯)। ভাঙে নবির সঙ্গে ৭৯ রানের জুটি।

ওভারের পঞ্চম বলে আবার আঘাত হানলেন সাইফ। গুলবাদিন নাইবকে এবার বোল্ড করে নিলেন নিজের চতুর্থ উইকেট।

১৮ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারানো আফগানিস্তানের সংগ্রহ ১৪৪। সফরকারীদের আশার বাতি জ্বালিয়ে ৬৯ রানে ব্যাট করছেন নবি।

ভয়ঙ্কর নাজিবুল্লাহকে ফেরালেন সাকিব

এক ওভারে সাইফউদ্দিন তো পরের ওভারেই সাকিব আল হাসান- পেস স্পিনের এই মেলবন্ধনে উইকেটও পড়ছে জোড়ায় জোড়ায়। আগের ওভারেই নাজিব তারকাইকে নিজের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত করেছিলেন সাইফ, এবার সাকিবও পেলেন দুইয়ের দেখা।

আগের ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে কাঁদানো নাজিবুল্লাহ জাদরানকে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আগেই ফিরিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। মিড অফ থেকে কিছুটা দৌড়ে ক্যাচটি লুফে নিয়েছেন সৌম্য সরকার।

৭ ওভার শেষে ৪ উইকেট হারানো আফগানিস্তানের সংগ্রহ ৪৪।

সাইফের দ্বিতীয় শিকার নাজিব

আগের বলেই খেয়েছেন বিশাল ছক্কা। সেই কষ্টের শোধ নিলেন উইকেট তুলেই। নিজের দ্বিতীয় ওভারেই সাইফউদ্দিনের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফিরলেন নাজিব তারাকাই।

তবে এবারও বলটিকে সজোরে পাঠিয়েছিলেন সীমানায়। বাউন্ডারি থেকে দারুণ এক ক্যাচেেএই টপ অর্ডারকে ফিরিয়েছেন সাব্বির রহমান।

৪ ওভার শেষে ৩ উইকেট হারানো আফগানদের সংগ্রহ ২৭। প্রথম স্পেলে ২ ওভার করা সাইফ মাত্র ৫ রান দিয়ে তুলে নিয়েছেন ২ উইকেট। 

জাজাইকে ফিরিয়ে এবার সাকিবের আঘাত

প্রথম বলে ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজকে হারানোর শোক কাটতে না কাটতেই আফগান শিবিরে দ্বিতীয় আঘাত। এবার শিকারীর ভুমিকায় অধিনায়ক নিজে। সাকিব আল হাসানের লোভনীয় এক বল উড়িয়ে মারতে গিয়ে লিটন দাসের হাতে মিড উইকেটে ধরা পড়েন রহমতউল্লাহ জাজাই।

২ ওভার শেষে ২ উইকেট হারানো আফগানদের সংগ্রহ ১০।

প্রথম বলেই গুরবাজকে ফেরালেন সাইফউদ্দিন

তখনও আসন পেতে বসা হয়নি খেলা দেখতে আসা বেশির ভাগ দর্শকদেরিই। এরই মধ্যে যারা এসে পৌঁছেছেন তাদেরই উল্লাসে মাতিয়েছেন সাইফউদ্দিন। ইনিংসের প্রথম বলেই সরাসরি বোল্ড করে ফিরিয়েছেন আগের ম্যাচে ঝড়ো শুরু করা রহমানউল্লাহ গুরবাজকে।

এক ওভার শেষে এক উইকেট হারানো আফগানিস্তানের সংগ্রহ ৫।

টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ

মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হয়েছে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়। তার আগে টস জিতে বাটিং বেছে নিয়েছেন আফগান দলপতি রশিদ খান।

দু’দলিই ভরাসা রেখেছে জিম্বাবুয়েকে হারানো নিজ নিজ উইনিং কম্বিনেশনে। সিরিজের প্রথম মাচে রোমাঞ্চ জাগিয়ে জিম্বাবুয়েকে ৩ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। একই দলের বিপক্ষে আফগানিস্তানের জয়টি ২৮ রানের।

বাংলাদেশ : লিটন দাস, সৌম্য সরকার, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, সাব্বির রহমান, মোসাদ্দেক হোসেন, আফিফ হোসেন, মোহাম্মদ সাউফউদ্দিন, তাইজুল ইসলাম ও মুস্তাফিজুর রহমান।

আফগানিস্তান : হজরতউল্লাহ জাজাই, রহমতউল্লাহ গুরবাজ, নাজিব তারাকাই, আসগর আফগান, মোহাম্মদ নবি, নাজিবুল্লাহ জাদরান, গুলবাদিন নাইব, রশিদ খান (অধিনায়ক), করিম জানাত, ফরিদ আহমেদ ও মুজিব-উর-রহমান।

টি-টোয়েন্টিতে দু’দলের মিুখোমুখি অতীত মোটেই সুখকর নয় বাংলাদেশের জন্য। এর আগে ক্রিকেটের ছোট্ট এই ফরম্যাটে ৪ বারের দেখায় মাত্র একটি জয়ের বীপরিতে ৩ বার হারের লজ্জায় পড়তে হয়েছে সাকিব আল হাসানের দলকে।

তবে জয়টিও এসেছিল এই মিরপুরেই, সেই ২০১৪ টি-২০ বিশ্বকাপে। সই সুখস্মৃতি নিয়ে আজ কি বাংলাদেশ পারবে, নিজেদের দিকে পাল্লাটা আরেকটু ঝুঁকিয়ে নিতে?



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ