পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বেনাপোল কাস্টমস কমিশনারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্ত নিয়ে কাস্টমস ও বিসিএস আয়কর ক্যাডারে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে এ সকল অভিযোগ ভুয়া বলে তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে।
জানা গেছে, বেনামীর বাদশা খ্যাত দুদকের হবু ডিজি আহসান আলী বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার বেলাল চৌধুরীর বিরুদ্ধে প্রতিহিংসাবশত দুদক ও দুইশত জায়গায় ভুয়া অভিযোগ জমা দেন। দীর্ঘ প্রায় ৯ মাস দুদকের যশোর বিভাগীয় অফিসসহ তিন শাখা ও এনবিআরে তদন্ত চলমান থাকে। কাগজপত্র ও জিজ্ঞাসা জবাব দিতে গিয়ে সমগ্র কাস্টম হাউসকে উৎকন্ঠা ও বাড়তি চাপের মধ্য ফেলে দেয়া হয়।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের তদন্তে ১৫টি অভিযোগের একটিও প্রমাণ না হওয়ায় এ তদন্তের প্রয়োজনীয়তা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে বলে মনে করেন কাস্টমস ও আয়কর বিভাগের কর্মকর্তারা। এ নিয়ে তাদের মধ্যে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে।
বাংলাদেশ বিসিএস আয়কর এসোসিয়েশনের মহাসচিব নুরুজ্জামান খান বলেন, “ সেগুনবাগিচা থেকে ধানমন্ডির দূরত্ব কতো? একজন কমিশনারের বিরুদ্ধে তদন্ত চালুর আগে আরেকটু দেখে শুনে শুরু করা উচিত ছিল। অভিযোগে ধানমন্ডির যে চারটি বাড়ির ঠিকানা দেয়া হয়েছে, এটা দু’ঘণ্টায় সরেজমিনে তদন্ত করলে ৯ মাস সময় বাঁচত। সরকারের অর্থ ও জনবল সাশ্রয় হতো। কর্মকর্তারাও উৎকন্ঠা কাটিয়ে স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে পারত।”
বাংলাদেশ বিসিএস কাস্টমস ও ভ্যাট এসোসিয়েশনের মহাসচিব সৈয়দ মুসফিকুর রহমান বলেন, “বেনামী অভিযোগ আমলে নিলে এমন হয়। আমরা যেকোন অনিয়মের বিরুদ্ধে। দুদকের অনেকেই জানে, কমিশনারকে হয়রানি করার জন্য এ কাজ আহসান আলী করেছে। দুদক’র কিছু কর্মকর্তা তাকে আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়েছে। বেনপোলের কমিশনারের বিরুদ্ধে ১৫টি অভিযোগের একটাও প্রমান হয়নি। জরুরি রাজস্ব আদায় করতে হয় কাস্টমস কর্মকর্তাদেরকে। প্রতি মুহূর্তে সতর্ক থাকতে গিয়ে শুল্কায়ন প্রক্রিয়া বিলম্বিত হয়। একটা ডিজিট ভুল হলে সরকারের বড় অঙ্কের রাজস্ব ক্ষতি হতে পারে।
বেনাপোল কাস্টম হাউস, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও দুদকের শতাধিক কর্মকর্তা এ বেনামী অভিযোগ নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটিয়েছে। ফলাফল, শূন্য এবং কমিশনার ছাড়াও সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকা আদায়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের ৪০০ কর্মকর্তা কর্মচারীর আতংক, দুশ্চিšতা, উৎকন্ঠিত হয়ে পড়ে। এর নেতিবাচক প্রভাব রাজস্ব আদায়ের ওপর পড়েছে এবং বেনাপোল কাস্টম হাউসের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। সারাদেশে কাস্টমস কর্মকর্তাদের ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
বেনাপোল কাস্টম হাউসের কমিশনার বেলাল হোসাইন চৌধুরী ফোনে বলেন, “আড়াই টন ভায়াগ্রা আটকের আগে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিলনা। ৩১টি চালানের শুল্ক ফাঁকির আব্দার না রাখায় আহসান আলী গত ডিসম্বর মাসে দুদকে বেনামী অভিযোগ জমা দেয়। আড়াই মেট্রিক টন ভায়াগ্রা আটকের পরপরই নতুন মাত্রা পায়। ভায়াগ্রা গ্রুপের সাথে মিলে প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে আমার পিছনে লাগে। আমি পৌনে দু’বছর ধরে কাজ করছি। দুইশ’র বেশি সংস্কার কাজ করেছি। গত পৌনে দু বছরে আমার কোন কর্মকান্ড নিয়ে একটি নেতিবাচক সংবাদও পত্র পত্রিকায় প্রকাশ হয়নি। ২৪ জুলাই ভায়াগ্রা আটকের পর আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার শুরু হয়। আমি ও আমার সহকর্মীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হাজার কোটি টাকা মূল্যের ভায়াগ্রা আটক করেছি। বেনাপোল কাস্টম হাউসের কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা বাড়ানো প্রয়োজন।”
এর আগে বেনাপোল কাস্টমস কমিশনারের বিরুদ্ধে চারটি তদন্তের মধ্যে ২টি দুদক সদর দপ্তর, ১টি দুদকের যশোর বিভাগীয় অফিস ও আরেকটি দুদকের অনুরোধে এনবিআর থেকে হয়। বেনামী অভিযোগটি দুদক যশোর কার্যালয়ের উপপরিচালক নাজমুস সাদাত তদরাত করেন। তদন্তে বেনামী অভিযোগ ভূয়া প্রমানিত হয়।এছাড়া দুদকের অনুরোধে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানের পক্ষে সদস্য ( শুল্ক: নীতি ও আইসিটি) সৈয়দ গোলাম কিবরীয়া বেলাল চৌধুরীর বিরুদ্ধে বেনামী অভিযোগের তদন্ত করেন। রাজস্ব বোর্ডের প্রতিবেদনে তাঁর বিরুদ্ধে করা ২৪ টি অভিযোগ ভূয়া প্রমানিত হয়েছে।
এদিকে ভুয়া ডিজি পরিচয়দাতা আহসান আলী বেনাপোলে গিয়ে কমিশনারকে অবৈধ তদবির ও চাপ দেয়ার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে। ভিডিওতে দেখা যায় ২০ লাখ টাকা শুল্ক কম দেয়ার জন্য তিনি কমিশনারকে চাপ প্রয়োগ করছেন। বিভিন্ন সেক্রেটারি তার বন্ধু ও এনবিআর চেয়ারম্যানের পিএসের নাম বলছেন। তাকে দিয়ে ফোন করিয়েছেন। সমগ্র বিষয়টি এখন ‘টক অব এনবিআর’।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।