বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা বেষ্টিত তিস্তা নদীতে নদীর পানি কমার সাথে সাথে স্রোতের তীব্রতা বেড়েছে। এতে তিস্তা নদীর ভাঙন ব্যাপক আকার নিয়েছে। হঠাৎ এই ভাঙনে দিশেহারা হয়ে পড়েছে এলাকার মানুষ।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, গত দুই সপ্তাহে নদী ভাঙনে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে ৫ শতাধিক বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। এছাড়া প্রায় সারে ৭শ’ একর আবাদি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে বলে জানা গেছে।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ভাঙন কবলিত ইউনিয়নগুলো হচ্ছে তারাপুর, বেলকা, হরিপুর, চন্ডিপুর, শ্রীপুর ও কাপাসিয়া। এসব ইউনিয়নের মধ্যে শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নে ভাঙনের তীব্রতা সবচেয়ে বেশি।
শ্রীপুর ইউনিয়নের পুঠিমারী গ্রামের ভাঙন কবলিত চাষিরা জানান, এ অঞ্চলের মানুষ একাধিকবার নদী ভাঙনের শিকার হয়েছে। চলতি বছরে এই এলাকার বাসিন্দারা দুই বার নদী ভাঙনের শিকার হয়। অথচ ভাঙন প্রতিরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেয়নি বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।
কাপাসিয়া ইউপি চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন আকস্মিক নদী ভাঙনের কথা স্বীকার করে বলেন, অবিলম্বে ভাঙন প্রতিরোধে পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে বড় ধরণের বিপর্যয় হতে পারে।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারি প্রকৌশলী মজিবর রহমান জানান, তিস্তা নদীর ভাঙন রোধ ও নদীর পাড় সংস্কার সংরক্ষণে সুন্দরগঞ্জ এলাকায় বৃহৎ এবং সুপরিকল্পিত প্রকল্প গ্রহণ করা প্রয়োজন। এজন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তবে এর মধ্যে গাইবান্ধার নদীভাঙন প্রতিরোধে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ৪০৬ কোটি টাকার একটি বৃহৎ প্রকল্প গ্রহণ করেছে বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সোলেমান আলী জানান, ইতোমধ্যে আমরা ভাঙন রোধে কিছু জিও ব্যাগ ফেলেছি বিভিন্ন এলাকায়। এছাড়া মন্ত্রনালয়ে ভাঙনের বিষয়টি লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।