পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের মধ্যে বিরাজমান টালমাটাল অবস্থার মধ্যেই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ জন্ম দিচ্ছেন একেরপর এক ঘটনা। গত এক সপ্তাহে অন্তত তিনটি ঘটনার জন্ম দিয়ে ব্যাপক আলোচনায় আসেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। সাংবাদিকের সিট দখল, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গভীর রাতে জুতা পায়ে মোটরসাইকেল চালানো, সর্বশেষ গেষ্ট রুমে বসা নিয়ে দু’গ্রুপে হাতাহাতির ঘটনা ঘটলে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে ব্যাপক সমালোচনা তৈরী হয়।
এ অবস্থায় শাখা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছেন বলে অভিযোগ করছেন ছাত্রলীগের অনেক নেতাকর্মী ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তাছাড়া পরপর এঘটনায় শিক্ষক-কর্মচারী ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যেও চলছে ব্যাপক ক্ষোভ। তাদের দাবী যেকোন মহুর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের ঘটনা। অনুসন্ধানে জানা গেছে, গত ৯ সেপ্টেম্বর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ হবিবুর রহমান হলের ২২৪ নম্বর রুমে বরাদ্দকৃত সিটে ইংরেজী দৈনিক এশিয়ান এজের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি সাকিব আল-হাসান উঠতে গেলে হল ছাত্রলীগ নেতা মিনহাজের নেতৃত্বে ১৫-২০ জন নেতাকর্মী সাংবাদিককে সিটে উঠতে বাধা দেন এবং সিট দখল করেন। পরে বিষয়টি মিডিয়ায় প্রকাশিত হলে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়। এর পরিপেক্ষিতে সাংবাদিকরা ছাত্রলীগকে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিলে অবশেষ সাংবাদিকদের কাছে ক্ষমা চায় ছাত্রলীগ। এ অবস্থায় সাংবাদিক এবং ছাত্রলীগের মধ্যে উত্তেজনা হ্রাস পায়।
ঠিক একদিন পর ১০ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১১ টার দিকে ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানী রবির বিরুদ্ধে জুতা পায়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে ভাষা আন্দোলন ও দেশের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে উঠার ছবি বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হলে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে আদর্শিত ছাত্রলীগের দায়িত্ব প্রাপ্ত নেতার দ্বারা এ ঘটনায় এ সমালোচনার সৃষ্টি হয়। যদিও রবি শহীদ মিনারে উঠেননি বলে দাবী করেন কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে তাকে শোকজ করার ঘটনায় তিনি শহীদ মিনারে উঠেছেন বলে তা প্রমানিত হয়।
সর্বশেষ গতকাল ১৩ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বক্স হলের গেস্ট রুমে বসা নিয়ে দলীয় কর্মীদের ব্যাপক মারধর করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। দেড় ঘন্টা ধরে চলা এ উত্তেজনায় দু’দফা মারামারিতে প্রায় ৭জন আহত হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল বডি ও পুলিশ প্রশাসন ঘটনাস্থলে আসলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নেয়।
নাম না প্রকাশ করার শর্তে আইন অনুষদের মাস্টার্সের এক শিক্ষার্থী জানান, বিশ^বিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ যেভাবে একেরপর এক ঘটনা ঘটনার জন্ম দিচ্ছেন তাতে ছাত্রলীগের ইমেজ ব্যাপক ভাবে ক্ষুন্ন হচ্ছে। এই মহুর্তে নেতাকর্মীদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে নিয়ন্ত্রনে আছে কিনা তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন তিনি।
বিশ^বিদ্যালয় ছাত্রলীগের সিনিয়র একজন সহ-সভাপতি ও একজন সাংগঠনিক সম্পাদকের কাছেও এ বিষয়ে জানতে চাইলে তারা ইনকিলাবকে জানান, এই মহুর্তে শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নিয়ন্ত্রন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে নেই। তারা তাদেরকে নিয়ন্ত্রন করতে পারছেন না বলেই ঘটনা সামান্য থেকে সূত্রপাত হয়ে ব্যাপক আকার ধারণ করছে। যা ছাত্রলীগের ইমেজকে ক্ষন্য করছে। অবশ্যই নেতাকর্মীদের বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান তারা।
এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি ইনকিলাবকে জানান, নেতাকর্মীদের অবশ্যই আমাদের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। বড় সংগঠনে কিছু ছোট ঘটনা ঘটতে পারে। তবে যারা সমস্যা সৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। পরিকল্পিত ভাবে ছাত্রলীগের নামধারী কেউ কেউ সংগঠনের ইমেজ নষ্ট করছেন বলে তিনি দাবি করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।