মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আর্ন্তজাতিক চাপের মুখে অবশেষে অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরে ওপর ভারতের আরোপিত নিষেধাজ্ঞা পুরোপুরি তুলে নিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। ৩৯ দিন পর এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে কাশ্মীর সরকারের জনসংযোগ ও তথ্য অধিদফতর। তবে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হজরতওয়াল এলাকায় নতুন করে কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। খবর হিন্দুস্তান টাইমস।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এর আগে আংশিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হলেও জীবনযাত্রায় খুব বেশি পরিবর্তন আসেনি। দোকানপাট বন্ধই ছিল, ফাঁকা ছিল স্কুলগুলোও। সড়কগুলোতে খুব বেশি গাড়ি চলাচল করতে দেখা যায়নি। তবে নিষেধাজ্ঞা পুরোপুরি তুলে নেওয়ার পর চালু হয়েছে হয়েছে ফোন লাইন ও মোবাইল পরিষেবাও।
কাশ্মিরের জনসংযোগ অধিদফতর এক বিবৃতিতে জানায়, সব এলাকা থেকেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে। এখন গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। ল্যান্ডলাইন কাজ করছে এবং মোবাইল পরিষেবাও চালু করা হয়েছে। তবে হজরতওয়াল এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য আবারও কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। তারা জানান, হজরতবালে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আর আগে থেকে বহাল নিষেধাজ্ঞা পাঁচটি থানায় বলবৎ রয়েছে।
গত ৫ আগস্ট ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করা হয়। কেড়ে নেওয়া হয় কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসনের অধিকার ও বিশেষ মর্যাদা। একটি বিল পাসের মাধ্যমে লাদাখ ও কাশ্মিরকে দুটি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করা হয়। এই ঘটনায় সকল ধরণের বিক্ষোভ আন্দোলন ঠেকাতে কাশ্মীরে কারফিউ জারিসহ মোতায়েন করা হয় বিপুলসংখ্যক অতিরিক্ত সেনা। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছে পাকিস্তান। তাদেরকে ৫৮টি দেশ সমর্থন দিয়েছে বলে জানিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সেখানকার মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে সম্প্রতি উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ।
কাশ্মিরের সাবেক দুই মুখ্যমন্ত্রীসহ শত শত মানুষকে আটকের কথা জানা গেলেও মোট আটক সংখ্যার বিষয়ে কোনও তথ্য প্রকাশ করেনি ভারত সরকার। তবে ৬ সেপ্টেম্বর ভারত সরকারের এক পরিসংখ্যানের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, কাশ্মিরে অভিযান শুরুর পর থেকে তিন হাজার আটশ’ মানুষকে আটক করা হয়েছে। এক ভারতীয় কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এদের অনেককেই জননিরাপত্তা আইনের অধীনে গ্রেফতার করা হয়েছে। কাশ্মিরের জন্য প্রণীত এই বিশেষ আইনের অধীনে বিনা বিচারে যে কাউকে দুই বছর পর্যন্ত আটক রাখা যায়।
ভারত সরকারের জারি করা লকডাউনের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন অনেকেই। রাজনীতিকদের আটকের বিরুদ্ধেও আদালতে পিটিশন জমা পড়ে। তবে সরকারের এই সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চের শুনানি এখনও শুরু হয়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।