Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অক্টোবরের শি-মোদি বৈঠকে অনিশ্চয়তার মেঘ

পাকিস্তানকে জোর সমর্থনে দিল্লি মর্মাহত

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

মোদি সরকারের জম্মু ও কাশ্মীরের আকস্মিক পুনঃবিন্যাসের ফলে বড় ধরনের আঘাতের শিকার হতে পারে চীন-ভারত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক পুনঃস্থাপন-প্রক্রিয়াটি। গত বছরের ওহান অনানুষ্ঠানিক শীর্ষ বৈঠকের পর এটি বেশ চাঙ্গা হয়েছিল।
আগামী ১২ অক্টোবর ভারতে হিন্দুদের পবিত্র নগরীতে বারানসিতে ওই বৈঠক হবে বলে প্রথমে সিদ্ধান্ত হয়েছিল। পরে তা তামিলনাড়ুর উপকূলীয় অবকাশ যাপন শহর মামালাপুরামে স্থানান্তর করা হয়। এই নগরীটি ঐতিহাসিক মন্দির ও মনোরম দৃশ্যের জন্য বিখ্যাত। মোদি-শি বৈঠকটি অনানুষ্ঠানিক হলেও তা কেবল মন্দির আর ইতিহাসের ব্যাপার নয়।

জম্মু ও কাশ্মীরের মর্যাদা পুনঃবিন্যাসের ব্যাপারে চীনের তীব্র প্রতিক্রিয়া এবং দেশটির সবসময়ের বন্ধু পাকিস্তানের প্রতি জোরালো সমর্থন প্রদান দিল্লিকে মর্মাহত করেছে এবং মোদি ও তার উপদেষ্টারা নীতিগত বিষয়ে নতুন করে ভাবতে বসেছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর সর্বাত্মক চেষ্টা করেছেন চীনকে এটা বোঝাতে যে জম্মু ও কাশ্মীর পুনঃবিন্যাস পুরোপুরি ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়’ এবং এর ফলে চীন-ভারত সীমান্ত ইস্যুতে কোনো প্রভাব ফেলবে না। জয়শঙ্কর তার প্রতিপক্ষ ওয়াং ইয়িকে পরিষ্কার করে বলেন যে এর সাথে ‘অতিরিক্ত কোনো ভূখন্ডগত দাবি’ সংশ্লিষ্ট নেই।

কিন্তু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (তিনি মোদির প্রধান প্রতিনিধি, যিনি আধুনিককালের সর্দার প্যাটেল হওয়ার স্বপ্ন দেখেন। উল্লেখ্য, ভারতের কিংবদন্তির লৌহ মানব প্যাটেল রাজা-শাসিত রাজ্যগুলোকে একত্রিত করেছিলেন) পার্লামেন্টে জোরালোভাবে লাগামহীন কথা বললে তার প্রায় সব চেষ্টা ভন্ডুল হয়ে যায়। অমিত শাহ প্রতিশ্রুতি দেন যে পাকিস্তানের দখল করা সাবেক রাজা-শাসিত কাশ্মীরের সব ভারতীয় ভূখন্ড ও চীনের নিয়ন্ত্রণে থাকা আকসাই চিন অঞ্চলের বাকি অংশ পুনর্দখল করে ভারতের সাথে সংযুক্ত না করা পর্যন্ত বিশ্রাম নেবেন না।
চীনারা কিন্তু দক্ষিণ এশিয়ার লোকরঞ্জক রাজনীতিবিদের একান্ত বৈশিষ্ট্যে পরিণত হওয়া চাতুর্যপূর্ণ ও কুশলী গলাবাজীতে অভ্যস্ত নয়। ফলে চীন সাথে সাথে বিষয়টি লুফে নিয়ে ভারতীয়দের স্মরণ করিয়ে দেয় যে সীমান্ত আলোচনা ২০০৫ সালে পারস্পরিকভাবে সম্মত হওয়া নির্দেশিকার আলোকে একটি চলমান প্রক্রিয়া এবং অমিত শাহের মতো বিশিষ্ট লোকের মুখ থেকে এ ধরনের দায়িত্বহীন বক্তব্য প্রক্রিয়াটি ভন্ডুল করে দিতে পারে।

সেপ্টেম্বরের নির্ধারিত সীমান্ত আলোচনার জন্য চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইয়ি’র ভারতে আসার কথা ছিল। কিন্তু সেটি বাতিল করা হয়েছে। এর সাথে ওই বক্তৃতার কোনো সম্পর্ক আছে কিনা তা পরিষ্কার নয়। এই সফর বাতিল ছিল ভারতীয় এস্টাবলিশমেন্টের জন্য কঠিন ব্যাপার, কারণ আশা করা হচ্ছিল যে শি-মোদি শীর্ষ বৈঠকের আগে সীমান্ত ইস্যুতে কিছু ‘সুনির্দিষ্ট অগ্রগতি’ হবে।



 

Show all comments
  • Mustafizur Rahman Ansari ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১:১২ এএম says : 0
    Good News for Anti Modi and RSS
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ