পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফের স্ত্রী তানিয়া ইশরাত (৪৩) অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এর আগে গত বুধবার রাতে উত্তরার ৬ নম্বর সেক্টরের বাসায় অগ্নিদগ্ধ হন তানিয়া। মানসিক ভারসাম্যহীনতার কারণে নিজের শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুদক ও হাসপাতাল সূত্র জানায়, দুদক পরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফের স্ত্রী তানিয়া মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। প্রায়ই মানসিক হতাশা থেকে বিভিন্নভাবে আত্মহত্যার চেষ্টা করতেন। হারপিক ও বিষ খেয়েছেন দু’বার। কিন্তু প্রতিবারই ভাগ্যক্রমে বেঁচে গেছেন তিনি। গত বুধবার রাতে রাজধানীর উত্তরার বাসায় নিজের শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন তিনি। পরে তাকে উদ্ধার করে সিএমএইচে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল সকাল ১০টায় মারা যান।
ফায়র সার্ভিস ও পুলিশ জানায়, গত বুধবার দিবাগত রাত ৯টার দিকে উত্তরা-৬ নম্বর সেক্টরের ৪ নম্বর সড়কের ১ নম্বর বাড়িতে নিজের শরীরে আগুন দেন তানিয়া। এতে বাসার ভেতরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। তবে ফায়ার সার্ভিস যাওয়ার আগে বাসার লোকের আগুন নিভিয়ে ফেলে। গতকাল বিকেলে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে লাশের ময়নাতদন্ত শেষে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
মৃত তানিয়ার ভাতিজা মো. তানভির হোসেন বলেন, তার ফুফু দীর্ঘদিন ধরে মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত। সব সময় একা একাকী থাকতেন। কারোর সঙ্গেই তেমন কথা বলতে চাইতেন না। এর আগেও তিনি দু’বার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। একবার হারপিক আরেকবার বিষ খেয়েছিলেন। গুলশানের মুক্তি নামের একটি মানসিক হাসপাতালে রেখে তাকে সাড়ে ৪ মাস চিকিৎসা করানো হয়। নিয়মিতই তার চিকিৎসা চলছিলো। তবে কোনো উন্নতি হয়নি। তানভীর আরও বলেন, বুধবার রাত ৮টার দিকে বাসায় সবার অগোচরে রুমের দরজা বন্ধ করে নিজের গায়ে নিজে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন তানিয়া। পরে তার চিৎকার শুনে পরিবারের অন্যরা দীর্ঘক্ষণ চেষ্টার পর দরজা ভেঙ্গে তাকে উদ্ধার করে সিএমএইচ হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল সকাল ১০টার দিকে তার মৃত্যু হয়। তিনি এক ছেলে ও এক মেয়ের জননী ছিলেন।
ঢামেকের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ বলেন, নিহতের মাথা থেকে পা পর্যন্ত পুড়ে গেছে। লাশ থেকে ভিসেরা সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে রিপোর্ট আসলে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দেয়া হবে। তবে আগুনে পুড়ে তার মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথামিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে। পুলিশের উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার নাবিদ কামাল শৈবাল বলেন, প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি মানসিক সমস্যা থেকে নিজের শরীরে আগুন দেন তানিয়া। এ নিয়ে তানিয়ার বাবার বাড়ির ও ইউসুফের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ করা হয়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।