পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, শেয়ার বাজার ও বন্ড মার্কেট উন্নয়নে সহায়তা করবে বিশ্বব্যাংক। এ ছাড়াও অর্থনীতিতে যেসব জায়গায় আমরা পিছিয়ে আছি, সেসব জায়গার উন্নয়নেও এগিয়ে আসবে সংস্থাটি। আমরা অর্থনৈতিকভাবে যেখানে আছি, সেখান থেকে আরও উন্নতি করতে অনেক শক্তি ব্যয় করতে হবে। এ জন্য আমাদের সক্ষমতা আরও বৃদ্ধি করতে হবে। বিশ্বব্যাংক এক্ষেত্রে আরও বেশি বেশি করে সাহায্য করতে প্রস্তুত রয়েছে। বন্ড মার্কেটের উন্নয়নে করপোরেট সেক্টরের প্রভিডেন্ড ফান্ডগুলোও নিয়ে আসা হবে। এসব বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীও একমত প্রকাশ করেছেন। বর্তমানে আমাদের অর্থনীতিতে আর্থিক খাতের উপাদান কম। উপাদান কম থাকলে অর্থনীতি ছোট হয়ে যায়। অর্থনীতিকে বেগমান করতে হলে আমাদের অনেক টুলস (উপাদান) দরকার, আর এ কাজগুলোই করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শেরে বাংলানগরে মন্ত্রীর দপ্তরে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সাথে সৌজন্য স্বাক্ষাৎ করেন বিশ্বব্যাংকের আঞ্চলিক পরিচালক জুবিদা খেরুজ এলাউয়া। সভা শেষে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের বন্ড মার্কেটটা প্রকৃতপক্ষেই উন্নয়ন করা হয়নি। এ মার্কেটটার উন্নয়ন করতে হবে। এ মার্কেটে সরকারি-বেসরকারি উভয় সেক্টরই আসবে। বন্ড মার্কেটের উন্নয়ন হলে শেয়ার বাজারেরও উন্নয়ন হবে। বন্ড মার্কেটের উন্নয়নে বিভিন্ন ফি কমানো হয়েছে। বন্ড মার্কেটকে গতিশীল করার জন্য যা যা করা দরকার তাই করা হবে। বন্ড মর্কেটকে আমরা উন্নয়ন করবোই। কেননা বন্ড মার্কেটের উন্নয়নে শেয়ারবাজারের উন্নয়ন হবে। বন্ড মার্কেট এমনভাবে উন্নয়ন করা হবে যাতেকরে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরাও চলে আসে। সরকার সবসময় পুঁজিবাজারের সঙ্গে রয়েছে। পুঁজিবাজারের উন্নয়নে সব ধরনের সহযোগীতা করা হচ্ছে। সরকারের কাজ হচ্ছে পুঁজিবাজারকে সাপোর্ট দেয়া, সেটা আমরা দিয়েছি। আগামীতে ভালো ভালো সরকারি কোম্পানিকে পুঁজিবাজারে আনা হবে।
বিশ্বব্যাংকের আঞ্চলিক পরিচালক জুবিদা খেরুজ এলাউয়া বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি যেভাবে এগুচ্ছে তা প্রশংসাযোগ্য। বাংলাদেশের ডেট টু জিডিপিও ভাল। এটা একটি সরকারের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতাকে নির্দেশ করে। ভাল ভবিষ্যতের জন্য একটি শক্তিশালী অর্থনৈতিক ভিত দরকার। বিশ্বব্যাংক শেয়ারবাজারে কিছু টেকনিক্যাল এসিস্টান্স, রেগুরেটারি রিফর্ম এবং পলিসির উন্নয়নে সহায়তা করবে। একই সঙ্গে বন্ড মাকের্ট ও শেয়ার বাজারের উন্নয়নে পুরো কাজটাই সমন্বিতভাবে করা হবে।
এদিকে অর্থ সঙ্কটে সরকার একটি পত্রিকার উদ্বৃতি দিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকারের টাকার সঙ্কট নেই। তিনি বলেন, সরকারের টাকার কোনো অভাব নেই। আমি আপনাদের বলছি টাকা থাকার একটা বেঞ্চ মার্ক আছে। সেই বেঞ্চ মার্কের উপরে আমাদের এখন ৯২ হাজার কোটি টাকা বেশি রয়েছে। এটা তো লুকোচুরির ব্যাপার নয়।
আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, সরকারের অর্থের সংকট নেই। এটা একটা নিউজ পেপারে বলছে, এর বিপরীতে এরা কিছু বলবে না। আজ আবার দেখলাম এরা এডিবি’র পজেটিভ রিপোর্ট দিয়ে দিয়েছে, এটা দেখে আবার অবাক হয়ে গেলাম। তারা পজেটিভলি লিখেছে। আমি বলছি, আমাদের কোনো রকম টাকার অভাব নেই।
সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যদি আপনারা কোথাও কোনো ব্যাংকে গিয়ে টাকা না পান, যদি এলসি স্যাটেলমেন্ট করতে না পারেন, যদি পেমেন্ট না করতে পারেন তবে আমাকে এসে বলবেন। তাহলে এগুলো আমরা কীভাবে বিশ্বাস করবো।
প্রশ্ন রেখে তিনি আরো বলেন, সরকার কোথায় টাকা খুঁজছে? সরকার টাকা খুঁজলে কোথা থেকে পাবে? সরকারের টাকা না থাকলে দেয়ার কোনো ব্যবস্থা আছে। আপনারা কেউ সরকারকে টাকা দেবেন?
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, টাকা তোলার রাস্তাটা কি? সেভিংস ইনস্ট্রুমেন্ট বিক্রি করতে হবে, না হলে আমেরিকা যা করে কোয়ানটিটি বেইজিংয়ের নাম করে টাকা ছাপাতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।