বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
স্টাফ রিপোর্টার : অবশেষে হাইকোর্টের আদেশ পালনে ফটিকছড়ি’র সমিতিরহাট ইউপি নির্বাচন নিয়ে শুনানী করেছে পূর্ণাঙ্গ নির্বাচন কমিশন।
জানা যায়, গত ৬ এপ্রিল সন্ধ্যা অনুমান সাড়ে ৭টা নাগাদ ফটিকছড়ি’র সমিতিরহাট ইউপি নির্বাচনে আ’লীগ মনোনীত প্রার্থী বিএনপি মনোনীত প্রার্থী সৈয়দ জাহেদ উল্লাহ কুরাইশীর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করিয়ে নিজেকে ‘বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত’ ঘোষণা করিয়ে নেন। কিন্তু বিএনপি প্রার্থী প্রত্যাহারপত্রেই লিখেন ‘জীবনের নিরাপত্তা হেতু নির্বাচনী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার প্রসঙ্গ এবং তা-ও আবার বেলা ৫টার পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায়। যা রিটার্নিং অফিসার গ্রহণ করতেই পারে না। এ বিষয়ে বিএনপি প্রার্থী সৈয়দ জাহেদ উল্লাহ কুরাইশী ফটিকছড়ি থানায় জিডি এবং ইসিতে অভিযোগ দাখিল করেন। কিন্তু কোন প্রতিকার না পেয়ে তিনি হাইকোর্টের আশ্রয় নিয়ে রীট পিটিশন দায়ের করেন। গত ২৭ এপ্রিল উক্ত রীটের শুনানী শেষে সমিতিরহাট ইউপি নির্বাচন সংক্রান্ত রীটকারীর সকল অভিযোগ তদন্ত পূর্বক প্রযোজনীয় ব্যবস্থা নিতে ইসিকে নির্দেশ দেন। ইতোমধ্যে পুরো ফটিকছড়ি উপজেলার চৌদ্দ ইউপির গেজেট এক সাথে প্রকাশ করলেও হাইকোটের দু’টি আদেশ থাকায় সমিতিরহাট ও সুন্দরপুর ইউপি নির্বাচনে প্রার্থীদের শপথ স্থগিত করে বাকী ১২টি ইউপি’র প্রার্থীদের শপথ দানের সিদ্ধান্ত নেয় ইসি এবং গত সোমবার ফটিকছড়ি’র নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত ও সাধারণ সদস্যদের নাম-ঠিকানা সম্বলিত গেজেট বিজ্ঞপ্তি চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কাছে প্রেরণ করে। এতে বলা হয় রীট পিটিশন নং- ৫০৫৬/২০১৬ ও ৫৫৩৮/২০১৬ এর প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের আদেশ প্রতিপালনার্থে সমিতিরহাট ও সুন্দরপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নির্বাচিত প্রার্থীদের শপথ গ্রহণ না করানোর জন্য নির্বাচন কমিশন নির্দেশনা দিয়েছেন। অন্য কোন মামলা সংক্রান্ত কোন স্থগিতাদেশ না থাকলে সমিতিরহাট ও সুন্দরপুর ইউনিয়ন ব্যতীত অন্যান্য ইউপির প্রার্থীদের শপথ গ্রহণ সম্পন্ন করে ইসিকে অবহিত করতে হবে।
পরে হাইকোর্টের আদেশের প্রেক্ষিতে গত ৮ জুন রীটকারী সৈয়দ জাহেদ উল্লাহ কুরাইশীকে নোটিশ দিয়ে ইসি সম্মেলন কক্ষে ১২ জুন সকাল সাড়ে ১১টায় শুনানীতে হাজির হবার নির্দেশ দেয় ইসি। সে মতে গতকাল রোববার সকালে রীটকারী সশরীরে ইসিতে হাজির হলে শুনানী শুরু হয়। প্রায় ২৫ মিনিট শুনানী হয়। সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শুনানী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আব্দুল মোবারক, মোহাম্মদ আবু হাফিজ, বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব:) মোহাম্মদ জাবেদ আলী, মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ, ইসি সচিব মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, উপ-সচিব (আইন) মোহাম্মদ মোহসিনুল হক, উপ-সচিব (নির্বাচন) ফরহাদ হোসেন, সিনিয়র সহকারি সচিব অন্তরা ঘোষ। রীটকারী সৈয়দ জাহেদ উল্লাহ কুরাইশী নিজেই অভিযোগ সমূহ’র স্ব-পক্ষে লিখিত বক্তব্য ও দালিলিক প্রমাণ উপস্থাপনসহ শুনানী করেন। রীটকারী সৈয়দ জাহেদ উল্লাহ কুরাইশী শুনানী শেষে বলেন, শুনানীতে মনে হলো উল্টো বিচার শুরু করেছে ইসি। হাইকোর্ট বলেছে- আমার অভিযোগ শুনতে; শুনানীতে দেখলাম আমার ভূল ধরতেই বেশী ব্যস্ত ছিল ইসি। এতে প্রতীয়মান হয়- ইসি হাইকোর্টকে দেখানোর জন্য সম্ভবত: আইওয়াশ শুনানী করেছে। তাই হয়তো ইসির পরবর্তী সিদ্ধান্ত দেখে হাইকোর্টেই ফিরতে হবে আমাকে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।