পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশের মহাসড়কে টোল আদায়ে প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের পর এখান থেকে সরে আসার কোনো সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী নিজেই যেহেতু ঘোষণা দিয়েছেন এরপর তো নড়ন-চড়নের কোনো বিষয় নেই।
গতকাল সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, চার মহাসড়কে টোল আরোপের বিষয়ে প্রক্রিয়া চলছে। পৃথিবীর সব দেশেই সড়কে টোল আছে। চার লেন, ছয় লেন, আট লেনের সড়ক হবে। পৃথিবীর সব দেশেই সড়ক যারা ব্যবহার করে তাদের কাছ থেকে টোল নেয়া হয়। বাংলাদেশ কেন ব্যতিক্রম থাকবে? সড়ক মেরামত ও সংস্কার করতে হয়। বিভিন্নভাবে সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয় ওভারলোডের জন্য।
তবে টোল ফি কত হবে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সেটা নিয়ে প্রক্রিয়া চলছে। মন্ত্রণালয় ও বিআরটিএ বিষয়ে কাজ করছে। একটা রিজেনেবল প্রাইজ দিতে চেষ্টা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে, মন্ত্রণালয় কাজ করছে। সব মহাসড়কে টোল ধরা হবে না উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আমরা মেইনলি যে জাতীয় মহাসড়কের মধ্যে যেগুলো চার লেন, ছয় লেন, আট লেন- এসব সড়ক ও হাইওয়েগুলো টোলের আওতায় পড়ে। আমরা এখন জেলা সড়ক যদি টোলের আওতায় নিয়ে আসি, সেটা সঠিক হবে না। আমরা সেভাবে চিন্তা-ভাবনা করছি না। পদ্মা সেতুর টোল নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি বলেও জানান মন্ত্রী।
সরকার টোলের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে করের আওতায় আনার চেষ্টা করছে বলে বিএনপির অভিযোগের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপি কোনো ফোর লেন করেনি। কাজেই তাদের এসব বিষয়ে কোনো অভিজ্ঞতা নেই। ফ্লাইওভার, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, ফোর লেনসহ বাংলাদেশে যা হয়েছে এবং হচ্ছে, এগুলো শেখ হাসিনার সরকারই করেছে। কাজেই এগুলোর অভিজ্ঞতা তাদের নেই, তারা এগুলো বলতেই পারে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
ছাত্রলীগ প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ছাত্রলীগ নিয়ে আমি কোনো কথা বলতে চাই না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে যাচাই-বাছাই করে এই কমিটি করেছেন। আমি সেই কমিটির নাম ঘোষণা করেছি মাত্র। যদি এই কমিটি ভেঙে দেয়ার প্রয়োজন হয়, সেটাও প্রধানমন্ত্রী নিজেই করবেন। এ নিয়ে দলের মধ্যে আলোচনা সমালোচনা হচ্ছে, তবে কমিটি ভেঙে দেয়ার বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
ছাত্রলীগের আগাম কাউন্সিলের কোনো সম্ভাবনা আছে কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, এ বিষয়ে কোনো কথা এখনো হয়নি। ছাত্রলীগের কর্মকান্ডে আপনারা সন্তুষ্ট নাকি অসন্তুষ্ট এমন প্রশ্নে সেতুমন্ত্রী বলেন, আমি এই মন্তব্য এখন করব না। আমি সব সময় ভালো কাজের প্রশংসা করি, খারাপ হলে যদি কাউকে তিরস্কার করতে হয়, আমি সেটার পক্ষে। তিনি আরো বলেন, ছাত্রলীগের কমিটি ভাঙা-গড়ার বিষয়ে দলীয় ফোরামে আলোচনা হয়েছে। তবে বর্তমান কমিটি ভেঙে দিয়ে এখনই নতুন কমিটি গঠনের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।