পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে বলেছেন, আওয়ামী লীগ মিথ্যাচারের কোম্পানি। এই কোম্পানির বিজ্ঞাপন ম্যানেজার হচ্ছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এ ছাড়া সরকারি বিজ্ঞাপন ম্যানেজার হচ্ছেন তাদের তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
তিনি আরও বলেন, এই মিথ্যাচার কোম্পানির চেয়ারম্যান স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। তিনি কী বলেন, আর না বলেন, আজকে দোয়া অনুষ্ঠানে সেটির আর কী বলব!
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় পবিত্র আশুরা উপলক্ষে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে এসব কথা বলেন রিজভী আহমেদ। বিএনপির আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে পরিচলনা করে জাতীয়তাবাদী ওলামা দল।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে রিজভী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আপনি কীসের গর্ব করেন? আপনার প্রতিটি পদক্ষেপ হচ্ছে হিংসা-বিদ্বেষ ছড়ানো আর কুৎসা রটানো। আপনি আজকে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী, এটা তো জিয়াউর রহমানের দান। আপনি তো এ পদে থাকতে পারতেন না, যদি সেদিন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান প্রেসিডেন্টের পদে থেকে আপনাকে সুযোগ করে না দিতেন।’
জিয়াউর রহমান অবৈধ প্রেসিডেন্ট ছিলেন-প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে রিজভী আহমেদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আপনার কাছে জিয়াউর রহমান অবৈধ প্রেসিডেন্ট হতে পারেন। কারণ ডাকাতরা যখন কারও বাড়িতে ডাকাতি করে তারা কি বলে আমরা অবৈধ কাজ করছি? কিন্তু যার বাড়ি ডাকাতি হয় সে বুঝতে পারে কী হয়েছে।’
তিনি বলেন, দেশের মালিক জনগণ তারা বুঝতে পারছে। তাদের ভোটাধিকার, চলাফেরার স্বাধীনতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা-সেটা কি হরণ করেনি আওয়ামী লীগের এই ডাকাত সরকার? তিনি (প্রধানমন্ত্রী) তো অস্বীকার করবেন, কারণ তিনি নিজেই তো ডাকাতি করছেন। যারা গণতন্ত্রকে হত্যা করছেন, তারা কি জিয়াউর রহমান সম্পর্কে ইতিবাচক কথা বলবেন? কারণ জিয়াউর রহমানকে স্বীকৃতি দিলে তারা যে হত্যাকারী, এটিতে প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়।
বাকশাল, সংবাদপত্র হরণ করেছিল কে? রাজনৈতিক দলগুলোকে কথা বলার স্বাধীনতা বন্ধ করে দিয়েছিল কে? সমস্ত কিছুর জন্য কে দায়ী? এমন প্রশ্নও রাখেন রিজভী।
জিয়াউর রহমানকে ‘গণতন্ত্রের প্রতীক’ উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘মত প্রকাশের স্বাধীনতা মানে জিয়াউর রহমান, কথা বলার স্বাধীনতা মানেই জিয়াউর রহমান। শান্তিতে ঘুমানো মানেই জিয়াউর রহমান। আইনের শাসন মানেই জিয়াউর রহমান।’
ওলামা দলের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা নেসারুল হকের সঞ্চালনায় আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলন সংগঠনের সদস্যসচিব মাওলানা নজরুল ইসলাম, তাঁতী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ড. কাজী মনিরুজ্জামান মনির, ওলামা দলের কেন্দ্রীয় নেতা শাহ মো. মাসুম বিল্লাহসহ ওলামাদল ও বিএনপির নেতাকর্মীরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।