ধান বীজ কেলেঙ্কারীতে সাসপেন্ড হয়েছেন যশোর ও ঝিনাইদহের ৪ উপ পরিচালক পর্যায়ের কর্মকর্তা। অভিযুক্ত কর্মকর্তারা যোগসাজস করে ঝিনাইদহের দত্তনগর বীজ বর্ধন খামার থেকে প্রায় ৩ কোটি টাকার ১২৯ মেট্রিক টন সরকারী বীজ যশোর এনে গোপনে ব্যবসা করার ঘটনা ফাঁস হয়ে যাওয়ায় বিএডিসি থেকে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। বিএডিসির একটি সূত্র এই তথ্য দিয়ে জানিয়েছে, বীজ ও সার কেলেঙ্কারীর ঘটনা নতুন নয়। কোনটা ফাঁস হয়। কোনটা বা ম্যানেজ করে ধামাচাপা দেওয়া হয়।
সূত্র জানায়, সরকারি বীজ নিয়ে গোপনে ব্যবসা করার জন্য গোকুলনগর বীজবর্ধন খামারের উপ পরিচালক তপন কুমার সাহা, করিঞ্চা বীজবর্ধন খামারের উপ পরিচালক ইন্দ্রজিৎ চন্দ্র শীল ও পাথিলা বীজবর্ধন খামারের উপপরিচালক আক্তারুজ্জামানের যোগসাজসে ঝিনাইদহের দত্তনগর থেকে ১শ’২৯টন এসএল-৮এইচ জাতের হাইব্রীড ধানের বীজ যশোর বীজ পক্রিয়াজাত কেন্দ্রের উপ-পরিচালক মোঃ আমিন উল্যার কাছে পাঠানো হয় অতিসম্প্রতি। ওই চার কর্মকর্তা গোপনে বীজ বিক্রি করার ফন্দিফিকির আঁটে। কিন্তু ঘটনা ফাঁস হয়ে যাওয়ায় বিএডিসি হেড অফিস থেকে তদন্ত করা হয়। তদন্তে অভিযুক্তরা দোষী প্রমাণিত হওয়ায় গত ৯ সেপ্টেম্বর বিএডিসি’র সচিব আব্দুল লতিফ মোল্লা স্বাক্ষরিত চিঠিতে চারজন কর্মকর্তাকে বিএডিসি চাকরী প্রবিধানমালা ১৯৯০ এর ৩৯ (ক) (খ) (চ) বেধি মোতাবে দায়িত্ব পালনে অবহেলা অসাদচারণ, চুরি, আত্মসাত ও তহবিল তছরুপ বা প্রতারণার সামিল বিধায় সাসপেন্ড করা হয়। বিধি মোতাবেক খোরপোষ ভাতা প্রাপ্য হবেন এবং কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিত কর্মস্থল ত্যাগ করতে পারেন না।
সাসপেন্ডের চিঠিতে আরো উল্লেখ করা হয়, বিধি বহির্ভূতভাবে অসৎ উদ্দেশ্যে স্বীয় স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য গোকুল নগর, পাথিলা ও করিঞ্চা বীজ উৎপাদন খামারে কর্মসুচি বহির্ভুত অতিরিক্ত ১২৯.২২ মেট্রিক টন এসএল-৮এইচ হাইব্রীড জাতের ধান বীজ পক্রিয়াজাত কেন্দ্র যশোরে প্রেরণ করেছেন। আপনি/আপনারা অতিরিক্ত বীজ উৎপাদনের পরিমান নিয়মানুযায়ী মজুদ ও কাল্টিভেশন রেজিষ্ট্রারে লিপিবদ্ধ করেন নি। এমন কি অতিরিক্ত কোন বীজ প্রেরণের কোন চালান বা তথ্য প্রমান খামারে রাখেন নি। আপনার উক্ত ধান বীজ অসৎ উদ্দেশ্যে নিজেরা আত্মসাৎ করার জন্য সংরক্ষন ও উৎপাদন বিষয়ক প্রকৃত তথ্য গোপন করেছেন মর্মে প্রতিয়মান হয়।