Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চিলমারীর ভাসমান তেল ডিপোতে ৩মাস পর তেল নিমিষেই শেষ

কুড়িগ্রাম জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ২:১৯ পিএম

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ভাসমান তেল ডিপো যমুনা ও মেঘনা ৩মাস ধরে তেল শূন্য থাকার পর মেঘনা তেল ডিপোতে তেল আসলেও অজ্ঞাত কারনে যমুনা তেল ডিপোটি তেল শুন্য রয়ে গেছে। তেল আসার পর রোববার ১ম দিনে নিমিষেই বিক্রি হয়ে যায় ১লাখ ৬ হাজার লিটার তেল। এ যেন তেলের জন্য হাহাকার।
জানাগেছে,১৯৮৯ সালে কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ভাসমান তেল ডিপো পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা তিনটি কোম্পানী স্থাপিত হয়ে কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, জামালপুর ও লালমনিরহাট জেলায় তেল সরবরাহ করে আসছিল। কয়েক বছরের মাথায় পদ্মা তেল কোম্পানীটি বার্জ মেরামতের অজুহাত দেখিয়ে অন্যত্র সরিয়ে নেয়। এরপর থেকেই মেঘনা ও যমুনা ওয়েল কোম্পানী দুটি এ অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে তেল সরবরাহ করে আসছে। মেঘনা কোম্পানী তাদের বার্জটি সুবিধামত জায়গায় নিতে না পারায় এবং তেল ধারন ক্ষমতা কম থাকায় কোম্পানীটির তেল বিক্রি কমে যায়। এতে যমুনা কোম্পানীর তেল বিক্রি বেড়ে যায়। অজানা কারনে তেল ডিপো দু’টি গত ৩মাস ধরে তেল শুন্য হয়ে পড়ে রয়েছে। শনিবার মেঘনা ডিপোতে তেল আসলে রোববার ১ম দিনই ১লাখ ৬হাজার লিটার তেল বিক্রি হয়ে যায়। মেসার্স জয়নাল এন্ড ব্রাদার্স এজেন্টের স্বত্বাধিকারী মোঃ জয়নাল আবেদীন জানান, এ অঞ্চলে সেচ মৌসুম ছাড়াও প্রচুর তেলের চাহিদা রয়েছে। ভাসমান তেল ডিপো দুটিতে নিরবিচ্ছিন্ন তেল সরবরাহের দাবী জানিয়ে তিনি বলেন,যমুনা তেল ডিপোর ধারন ক্ষমতা বেশী থাকায় দীর্ঘদিন ধরে এ ডিপোটি এলাকার অধিকাংশ তেলের চাহিদা পূরন করে আসছে। অজানা কারনে যমুনা তেল ডিপোটি গত ৩মাস ধরে তেল সরবরাহ বন্ধ রাখায় এলাকায় তেলের সংকট দেখা দিয়েছে। মেঘনা তেল ডিপোতে অনিয়মিতভাবে তেল আসলেও তাদের তেল ধারন ক্ষমতা কম থাকায় চাহিদা পুরন করতে পারছে না। এজন্য যমুন্া তেল ডিপোতে তেল সরবরাহ জরুরী।
এ ব্যাপারে যমুনা ওয়েল কোম্পানীর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তাফাজ্জল হোসেনের সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, তেল সরবরাহের বিষয়ে তিনি উপরে জানিয়েছেন তেল আসবে।
মেঘনা তেল ডিপোর ডিপো সুপার মোঃ আবু সাইদ বলেন,প্রান্তিক কৃষকদের কৃষি কার্যক্রম ঠিক রাখতে চিলমারী ডিপো নির্ভর তেলের বাজারটি টিকে রাখা উচিত মর্মে মেঘনা তেল কোম্পানী সীমাবদ্ধতার মধ্যে থেকেও তেল সরবরাহ অব্যাহত রেখেছে। শনিবার তেল আসলে রোববারই ১লাখ ৬হাজার লিটার তেল বিক্রি হয়ে যায়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভাসমান তেল ডিপো
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ