বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চাকমারকুল দারুল উলুম মাদ্রাসার কর্তৃত্ব নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রতিষ্ঠানে গুলি, হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। সন্ত্রাসীদের বেপরোয়া মারধরে মাদ্রাসার এতিম শিক্ষার্থী সহ ১০ জন আহত হয়েছে। সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় এ ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রণয় চাকমা ও রামু থানার ওসি (তদন্ত) মিজানুর রহমান ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। ঘটনা চলাকালে মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ছুটোছুটি ও কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) প্রণয় চাকমা, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল খায়ের, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান ছাড়া ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম সিকদার ঘটনাস্থলে যান।
ইউএনও প্রণয় চাকমা বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে। এ ঘটনায় মামলা করার জন্য তিনি তাৎক্ষণিক ওসিকে নির্দেশ দেন।
হামলার শিকার ওই মাদ্রাসার শিক্ষার্থী তাসকিন হাসান তকি, মো. আব্দুল্লাহ, মো. সোহাদ, মো. জিসান, মো. রায়হান, মো. তৈয়ব উল্লাহ, সাইফুল ইসলাম ও মো. ইয়াছিন জানিয়েছেন, সন্ধ্যা ৭ টার দিকে মাদ্রাসার পেছন (পূর্বদিক) থেকে আকস্মিকভাবে মাদ্রাসা লক্ষ্য করে গোলাগুলি শুরু হয়।
এসময় মুখোশপরা ১৫/২০ জন সন্ত্রাসী মাদ্রাসায় প্রবেশ করে তাদের মারধর শুরু করে। এক পর্যায়ে তারা মাদ্রাসার বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে মাদ্রাসায় বিভিন্ন কক্ষে ভাংচুর শুরু করে। এসময় আতংকিত হয়ে মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ছুটোছুটি ও কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) প্রণয় চাকমা বলেন, ঐতিহ্যবাহি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের গুলিবর্ষণ ও মারধরের ঘটনা খুবই অমানবিক। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। তিনি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অভয় দিয়ে বলেন, প্রতিষ্ঠানে সকল কার্যক্রম চলমান থাকবে।
থানার ওসি (তদন্ত) মিজানুর রহমান বলেন, ‘মাদ্রাসায় হামলার ঘটনায় জড়িতদের আটক করতে পুলিশ কাজ করছে।
মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা সিরাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, বিভিন্ন অনিয়মের কারনে মাদ্রাসা থেকে ইতিপূর্বে বহিস্কার হওয়া শিক্ষক মাওলানা আবদুর রাজ্জাক ও তার সহযোগি নুরুল আলম, সাহাব উদ্দিন এবং ছলিম উল্লাহর নেতৃত্বে এ গোলাগুলি, হামলা, ভাংচুর ও মারধরের ঘটনা ঘটেছে। তারা পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তিনি এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
তিনি আরো জানান, হামলাকারিরা আগেরদিন রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) জোহরের নামাজের পর মসজিদের মাইক নিয়ে জোরপূর্বক মাদ্রাসার সকল শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ করার ঘোষনা দেয়। এমনকি কোন শিক্ষক-শিক্ষার্থী মাদ্রাসার শ্রেণি কক্ষে পাঠদান করলে তাদের মারধরের হুমকী দেয়া হয়। তবে তারা তখন সফল হতে নাপেরে রাতে এই হামলা করে।
রামু চাকমারকুল মাদরাসায় সন্ত্রাসীদের হামলা, আহত ১০
বিশেষ সংবাদদাতা, কক্সবাজার
চাকমারকুল দারুল উলুম মাদ্রাসার কর্তৃত্ব নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রতিষ্ঠানে গুলি, হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। সন্ত্রাসীদের বেপরোয়া মারধরে মাদ্রাসার এতিম শিক্ষার্থী সহ ১০ জন আহত হয়েছে। সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭ টায় এ ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রণয় চাকমা ও রামু থানার ওসি (তদন্ত) মিজানুর রহমান ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। ঘটনা চলাকালে মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ছুটোছুটি ও কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) প্রণয় চাকমা, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল খায়ের, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান ছাড়া ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম সিকদার ঘটনাস্থলে যান।
ইউএনও প্রণয় চাকমা বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে। এ ঘটনায় মামলা করার জন্য তিনি তাৎক্ষণিক ওসিকে নির্দেশ দেন।
হামলার শিকার ওই মাদ্রাসার শিক্ষার্থী তাসকিন হাসান তকি, মো. আব্দুল্লাহ, মো. সোহাদ, মো. জিসান, মো. রায়হান, মো. তৈয়ব উল্লাহ, সাইফুল ইসলাম ও মো. ইয়াছিন জানিয়েছেন, সন্ধ্যা ৭ টার দিকে মাদ্রাসার পেছন (পূর্বদিক) থেকে আকষ্মিকভাবে মাদ্রাসা লক্ষ্য করে গোলাগুলি শুরু হয়।
এসময় মুখোশপরা ১৫/২০ জন সন্ত্রাসী মাদ্রাসায় প্রবেশ করে তাদের মারধর শুরু করে। এক পর্যায়ে তারা মাদ্রাসার বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে মাদ্রাসায় বিভিন্ন কক্ষে ভাংচুর শুরু করে। এসময় আতংকিত হয়ে মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ছুটোছুটি ও কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) প্রণয় চাকমা বলেন, ঐতিহ্যবাহি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের গুলিবর্ষণ ও মারধরের ঘটনা খুবই অমানবিক। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। তিনি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অভয় দিয়ে বলেন, প্রতিষ্ঠানে সকল কার্যক্রম চলমান থাকবে।
থানার ওসি (তদন্ত) মিজানুর রহমান বলেন, ‘মাদ্রাসায় হামলার ঘটনায় জড়িতদের আটক করতে পুলিশ কাজ করছে।
মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা সিরাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, বিভিন্ন অনিয়মের কারনে মাদ্রাসা থেকে ইতিপূর্বে বহিস্কার হওয়া শিক্ষক মাওলানা আবদুর রাজ্জাক ও তার সহযোগি নুরুল আলম, সাহাব উদ্দিন এবং ছলিম উল্লাহর নেতৃত্বে এ গোলাগুলি, হামলা, ভাংচুর ও মারধরের ঘটনা ঘটেছে। তারা পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তিনি এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
তিনি আরো জানান, হামলাকারিরা আগেরদিন রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) জোহরের নামাজের পর মসজিদের মাইক নিয়ে জোরপূর্বক মাদ্রাসার সকল শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ করার ঘোষনা দেয়। এমনকি কোন শিক্ষক-শিক্ষার্থী মাদ্রাসার শ্রেণি কক্ষে পাঠদান করলে তাদের মারধরের হুমকী দেয়া হয়। তবে তারা তখন সফল হতে নাপেরে রাতে এই হামলা করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।