রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
সাইদুর রহমান, মাগুরা থেকে : মাগুরার শালিখা উপজেলা সদর আড়পাড়া মডেল আইডিয়াল হাইস্কুলের একটি ভবনে ফাটল দেখা দিয়েছে। যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকলেও কোন ব্যবস্থা পরিলক্ষিত হচ্ছে না। ভবনটি গত বছর পরিত্যক্ত করা হলেও এখন পর্যন্ত সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কোন প্রকার সহায়তা পাওয়া যায়নি বলে বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়। শিক্ষার মান উন্নয়নে আড়পাড়া আইডিয়াল হাইস্কুল ১৯৪৫ সাল থেকে শুরু হয়ে ২০১৬ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ৭১ বছর উপজেলার কয়েকটি বিদ্যালয়ের মধ্যে ভাল রেজাল্ট করে আসছে। ফলে বিদ্যালয়টি ২০০৭ সালে বাংলাদেশ সরকার মডেল বিদ্যালয় হিসেবে ঘোষণা করেন। বিদ্যালয়টিতে বর্তমান ছাত্রছাত্রী ১১৫৩জন রয়েছে। ১৮জন শিক্ষক ও ৫জন কর্মচারী নিয়মিত অক্লান্ত পরিশ্রম ও মেধার সর্বোত্তম বিকাশ ঘটিয়ে বিদ্যালটির সুনাম আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। বিদ্যালটিতে ৩টি দোতলা ভবনের একটি ভবন পরিত্যক্ত রয়েছে। তিনটি ভবনের একটি ভবন পরিত্যক্ত হওয়ায় নিয়মিত পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। ভবনটিতে এমনভাবে ফাটল ধরেছে যে কোন সময় ভেঙে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। ফলে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। প্রতিবছরই উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয় থেকে ছাত্রছাত্রীরা এসে এসএসসি ও জেএসসি পরীক্ষা দেয়। এসব বিদ্যালয়গুলির মধ্যে রয়েছে, শ্রীহট্র মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বরইচারা অভয়াচরণ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আড়পাড়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, বাউলিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, গোবরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কাতলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সীমাখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, শতখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, রাঘবদাইড় মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ভাবনহাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বড়শলই পঞ্চপল্লী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, তিতার খাঁ পাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, নওয়াপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, পোড়াগাছি মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ ১৪টি বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী। শ্রেণিকক্ষ সংকট থাকায় পরীক্ষা নিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে শিক্ষকদের। যার ফলে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষসহ মডেল প্রকল্পের আওতায় আড়পাড়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েও বোর্ড পরীক্ষাগুলি নিতে হয়। বিদ্যালয়ে শুধুমাত্র ১২টি শ্রেণিকক্ষ থাকায় ছেলে-মেয়েদের অন্যত্র দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ক্লাশ করতে হয়। বিদ্যালয়টির নির্মাণ কালে তিন তলা ভবন হওয়ার কথা থাকলেও তা না হয়ে দোতলা ভবন নির্মিত হয়। এতে বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের তুলনায় শ্রেণিকক্ষ কম হওয়ায় শিক্ষকদের পাঠদান ব্যাপকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। বিদ্যালয়টি ২০১৬ সালের এসএসসি পরীক্ষায় ১৮১জন পরীক্ষা দিয়ে ১৬৪জন শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে। পাসের হার ৯০.৬১%। জিপিএ ৫ পেয়েছে ১৩ জন ছাত্রছাত্রী। ৪ জন শিক্ষার্থী গোল্ডেন জিপিএ ৫ পেয়েছে। জুনিয়র বৃত্তি পেয়েছে ১০জন শিক্ষার্থী। এছাড়াও এবছর জেএসসি পরীক্ষার্থী ছিল ২০৩ জন। উত্তীর্ণ হয়েছে ১৯৮জন ছাত্রছাত্রী। পাসের হার ৯৭.০৪%। এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একেএম খাইরুল আলমের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, স্কুল ম্যানেজিং কমিটি শিক্ষক বৃন্দ ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ আরো সচেতন হলে বিদ্যালয়টি মাগুরা জেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রূপ নিত। তিনি আরো বলেন, বিদ্যালয় উন্নয়নের ক্ষেত্রে সরকারের কোন দপ্তর থেকে কোন প্রকার সাহায্য ও সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। বিদ্যালয়ের তিনটি ভবনের মধ্যে একটি ভবন ফাটল থাকায় ভবনটি পরিত্যক্ত রয়েছে। স্বল্প সময়ের মধ্যে ভবনটি ভেঙে নতুন ভবন করা না হলে শিক্ষার্থীদের পাঠ দান যেমন ব্যাহত হচ্ছে, তেমনই এসএসসি ও জেএসসি পরীক্ষার সময় পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা নিতে ঝুঁকির মধ্যে পড়তে হবে। এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের সভাপতি মো. তারিকুল ইসলাম জানান, আড়পাড়া মডেল হাইস্কুল উপজেলার সর্বোত্তম বিদ্যাপীঠ। বিগত ১০বছরে উপজেলায় সর্বোচ্চ রেজাল্ট করে উপজেলার মধ্যে বিদ্যলয়টি প্রথম স্থানে রয়েছে। এখানে প্রায় ১২শ’ ছাত্রছাত্রী লেখা পড়া করে থাকে। এক এক রুমে কমপক্ষে ১০০ জন করে ছেলে-মেয়ে বসতে দেখা যায়। এছাড়াও বিদ্যালয়টি মডেল প্রকল্পভুক্ত হলেও মডেলের কোন সুযোগ-সুবিধা তারা পায় না। এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মচারী, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য, অভিভাবক মহল ও শিক্ষার্থীরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আশু দৃষ্টি কামনা করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।