চট্টগ্রাম টেস্টের চতুর্থ দিন শেষে জয় থেকে ২৬২ রান দূরে বাংলাদেশ।

শেষ বিকেলে বৃষ্টি এ দিন আর মাঠে গড়াতে দিল না খেলা। ম্যাচ গেল পঞ্চম দিনে। শেষ ইনিংসে ৩৯৮ রান তাড়ায় চতুর্থ দিন শেষে বাংলাদেশ ৬ উইকেটে ১৩৬। বড় জয়ের পথে আফগানিস্তান।

বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হওয়ার সময় দিনের খেলা বাকি ছিল ১২.৪ ওভার। বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের যে চিত্র, তাতে ৪ উইকেট পড়ার জন্য সময় ছিল যথেষ্টই। কিন্তু বাংলাদেশকে স্বস্তি আর আফগানদের হতাশ করল বৃষ্টি।

৩৯ রান নিয়ে দিনের খেলা শেষ করেছেন সাকিব আল হাসান। তার সঙ্গী সৌম্য সরকার অপেক্ষায় রানের খাতা খোলার।

সংক্ষিপ্ত স্কোর : (চতুর্থ দিন শেষে)

আফগানিস্তান প্রথম ইনিংস : ৩৪২।

বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস : ২০৫।

আফগানিস্তান দ্বিতীয় ইনিংস : (আগের দিন ২৩৭/৮) ৯০.১ ওভারে ২৬০ (ইহসানউল্লাহ ৪, ইব্রাহিম ৮৭, রহমত ০, হাশমতউল্লাহ ১২, আসগর ৫০, আফসার ৪৮*, নবি ৮, রশিদ ২৪, কাইস ১৪, আহমেদজাই ৯, জহির ; সাকিব ৩/৫৮, মিরাজ ২/৩৫, তাইজুল ২/৮৬, নাইম ২/৬১, মুমিনুল ০/১৩, মোসাদ্দেক ০/৩)।

বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংস : ৪৪.২ ওভারে ১৩৬/৬ (লিটন ৯, সাদমান ৪১, মোসাদ্দেক ১২, মুশফিক ২৩, মুমিনুল ৩, সাকিব ৩৯*, মাহমুদউল্লাহ ৭, সৌম্য ০*; আহমেদজাই ০/১৪, নবি ১/৩৮, রশিদ ৩/৪৬, জহির ২/৩৬)।

মাহমুদউল্লাহর বিদায়ে হার দেখছে বাংলাদেশ

কোনো মতে একশ রান করতেই সাজঘরে দলের অর্ধেক ব্যাটসম্যান। অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহর কাঁধে ছিল তাই বিশাল দায়িত্ব। কিন্তু সম্পূর্ণ রূপে ব্যর্থ হয়েছে এ ব্যাটসম্যান। দলের বিপদ বাড়িয়ে ফিরে গেছেন তিনি। রশিদ খানের গুগলি বুঝতেই পারেননি। আগের তিনটি বলের মতোই পা বাড়িয়ে সামনের দিকে খেলতে চেয়েছিলেন। ফলে ব্যাটের কানায় লেগে চলে যায় শর্ট লেগে দাঁড়ানো ইব্রাহিম জাদরানের হাতে। ২১ বলে ৭ রান করেছেন মাহমুদউল্লাহ।

৪৩ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১২৬ রান। ২৯ রানে ব্যাট করছেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন নিয়মিত ওপেনার সৌম্য সরকার। জয়ের জন্য এখনও টাইগারদের প্রয়োজন ২৭২ রান।  

সাদমানের লড়াই থামালেন নবী

একটা প্রান্ত আঁকড়ে ধরে খেলছিলেন সাদমান ইসলাম। শুরু থেকেই চেষ্টা করে গেছেন ভালো জুটি গড়ার। তবে যোগ্য সঙ্গীর অভাবে তা আর হয়ে ওঠেনি। অবশেষে এই ওপেনারকেও হারিয়ে ফেলল বাংলাদেশ। ৪১ রানে মোহাম্মদ নবির বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরলেন সাদমান।

৩৯ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১১৬। ২২ রানে ব্যাট করছেন সাকিব আল হাসান। অধিনায়ককে সঙ্গ দিতে ক্রিজে এসেছেন অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

জয় থেকে এখনও ২৮২ রান দূরে বাংলাদেশ, হাতে ৫ উইকেট।

মমিনুল এলেন আর গেলেন

ডান ও বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের কম্বিনেশন আর রাখতে পারল না বাংলাদেশ। এক প্রাশে বাঁহাতি ওপেনার সাদমান টিকেই আছেন। আরেক পাশে তিন ডানহাতির বিদায়ের পর দল নামাতে বাধ্য হলো বাঁহাতি মুমিনুল হককে।

২৩ ইনিংস পর চার নম্বরে নিচে ব্যাট করতে অনভ্যস্ততার কারনেই কি-না, টিকতে পারেননি এই টেস্ট স্পেশালিস্টও। এই মাঠে যার দুর্দান্ত রেকর্ড, সেই মুমিনুল বিদায় নিলেন ৩ রানেই। প্রথম ইনিংসেও ফিফটি করেছিলেন মুমিনুল।

২৮ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৯০। এক পাশ আগলে ৩৭ রান নিয়ে অপরাজিত আছেন ওপেনার সাদমান, তাকে সঙ্গ দিতে এই মুহূর্তে ক্রিজে এসেছেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। জয় থেকে এখনও ৩০৮ রান দূরে তার দল।

মুশফিকের বিদায়ে বিপদে বাংলাদেশ

মোসাদ্দেক হোসেনের বিদায়ের যে চাপ অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে সেটি ভালোই কাটিয়ে উঠছিলেন সাদমান ইসলাম। তবে দারুণ এক ডেলিভারিতে এক হঠাৎই এলোমেলো বাংলাদেশ শিবির।

দলের অন্যতম এই সেরা ব্যাটসম্যানও পারলেন না দলকে ভরসা জোগাতে। ২৩ রানে এলবিডব্লিউ হয়ে গেলেন রশিদ খানের বলে। পাশাপাশি বাংলাদেশ হারাল একটি রিভিউও।

২৪ ওভার শেষে ৩ উইকেট হারানো বাংলাদেশের সংগ্রহ ৭৮।

উইকেট বিলিয়ে এলেন মোসাদ্দেক

ওপেনিংয়ের পরিবর্তনের মতো ব্যাটিং অর্ডারের তিন নম্বরেও চমক উপহার দিল বাংলাদেশ। পাঠানো হয় মোসাদ্দেক হোসেনকে। তবে শুরুটা ভালো করলেও প্রতিপক্ষকে উইকেট উপহার দিয়ে এলেন এই অলরাউন্ডার।

রান বাড়ানোর আশায় আসগর আফগানের ঝুলিয়ে দেয়া একটি বল উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং অফে ধরা পড়েন আসগর আফগানের হাতে। ১২ রানে মোসাদ্দেকের বিদায়ে আরও বিপদে পড়ে গেল বাংলাদেশ।

২২ ওভার শেষে ২ উইকেট হারানো বাংলাদেশের সংগ্রহ ৭১। ৩০ রানে ব্যাট করছেন সাদমান। মুশফিকুর রহিম খেলছেন ১৮ রান নিয়ে।

জিততে হলে এখনও বাংলাদেশের চাই ৩২৭, হাতে ৮ উইকেট।

লাঞ্চ থেকে ফিরেই আউট লিটন

রেকর্ড রান তাড়ার শুরুটা ভালোই করেছিলেন সাদমান ইসলাম ও লিটন কুমার দাস। দুই ওপেনারের সলিড বাটিংয়ে ৯ ওভারে বিনা উইকেটে ৩০ রান নিয়ে মধ্যবিরতিতে যায় বাংলাদেশ।

তবে সেখান থেকে ফিরেই বিপত্তি। প্রথম উইকেট হারাল বাংলাদেশ।

একটু আগেই রিভিউ নিয়ে কট বিহাইন্ড থেকে বেঁচে গেলেও বেশিক্ষণ আর টিকলেন না লিটন। ৩০ বলে ৯ রান করে জহির খানের বলে ফিরে গেলেন এলবিডব্লিউ হয়ে।

১৬ ওভার শেষে এক উইকেট হারানো বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫০। সাদমান খেলছেন ২৮ রান নিয়ে, মোসাদ্দেক হোসেনের ঝুলিতে ১১ রান।

থেমেছে বৃষ্টি, চলছে খেলা শুরুর প্রস্তুতি

দফায় দফায় বৃষ্টি বাগড়া বেঁধেছে চট্টগ্রাম টেস্টের চতুর্থ দিনে। লাঞ্চ বিরতিতে বেশ কিছুক্ষণ ঝিরিঝিরি বৃষ্টি হয়েছে। তবে আশার খবর আবার থেমেছে বৃষ্টি। ফলে কভার সরানোর কাজ করছেন মাঠকর্মীরা। ২টা ১০ মিনিটে ফের শুরু হবে খেলা।

ফের বৃষ্টির বাগড়া

সকালে বৃষ্টির কারণে খেলা শুরু হতে দুই ঘণ্টা দেরি হয়। এরপর প্রথম সেশন কাটে নির্বিঘ্নেই। তবে লাঞ্চ বিরতিতে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি হয়েছে কিছুক্ষণ। ফলে উইকেট ঢেকে রাখা হয়েছে কভারে।

দ্বিতীয় সেশনের খেলা শুরু হওয়ার কথা ছিল দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে। কিন্তু বৃষ্টির কারণে তা নির্ধারিত সময়ের পরে শুরু হবে।

চট্টগ্রাম টেস্টে বৃষ্টির হানা

চট্টগ্রাম টেস্টে হানা দিয়েছে বৃষ্টি। শনিবার রাত থেকে বন্দরনগরীর আকাশ ভেঙে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। এতে সাগরিকার মাঠ খেলার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। কাভার দিয়ে উইকেট ঢেকে রাখা হয়েছে। ড্রেসিংরুমে বন্দি আছেন ক্রিকেটাররা।

এখন পর্যন্ত এ টেস্টে চালকের আসনে আফগানিস্তান। কোণঠাসা হয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। তৃতীয় দিন শেষে ৮ উইকেটে ২৩৭ রান সংগ্রহ করেছে আফগানরা। ইতিমধ্যে ৩৭৪ রানের লিড পেয়েছে তারা। নিঃসন্দেহে দুদলের একমাত্র টেস্টের নাটাই তাদের হাতে।

লিড বাড়িয়ে নেয়ার সুযোগও থাকছে সফরকারীদের। আফসার জাজাই ৩৪ রান নিয়ে অপরাজিত আছেন। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে ক্রিজে রয়েছেন ইয়ামিন আহমেদজাই। তারা শুরু করবেন নতুন দিনের খেলা।

নিজেদের প্রথম ইনিংসে স্বপ্নের মতো ব্যাটিং করে আফগানিস্তান। রহমত শাহর ইতিহাস গড়া সেঞ্চুরিতে তোলে দলীয় সর্বোচ্চ ৩৪২ রান। জবাবে প্রথম ইনিংসে ২০৫ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।