নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান সিরিজের একমাত্র টেস্টের তৃতীয় দিন শুরু হয়েছে শনিবার সকাল ১০টায়।
বাংলাদেশে আসবার আগেই জানা গিয়েছিল টেস্টকে বিদায় বলে দিচ্ছেন মোহাম্মদ নবী। চট্টগ্রাম টেস্ট দিয়েই সাদা পোষাক তুলে রাখবেন আফগান এই অভিজ্ঞ সেনানী। যদি তাই হয় তবে ব্যাট হাতে ছোট্ট ক্যারিয়ারের শেষ ইনিংসটি খেলে ফেলেছেন নবী। তার বিদায়টা খুব একটা স্মৃতিময় হতে দেননি মেহেদী হাসান মিরাজ।
আগের বলেই মিরাজকে স্লগ করে মিড উইকেট দিয়ে ছক্কা মেরেছিলেন নবী। পরের বলে সুইপ করে সীমানা ছাড়া করতে চেয়েছিলেন। স্কয়ার লেগ বাউন্ডারিতে মাত্র ৮ রানেই মুমিনুলের তালুবন্দী করে বিদায় দিয়েছেন এই তরুন স্পিনার। প্রথম ইনিংসে শূণ্য রানে বিদায় নিয়েছিলেন টি-টোয়েন্টির এই ফেরিওয়ালা।
৬৭.২ ওভার শেষে আফগানিস্তানের রান ৬ উইকেটে ১৮০।
তিনশ’ ছাড়িয়ে আফগানদের লিড
মেহেদী হাসান মিরাজের আগের বলেই দারুণ এক ছক্কা হাঁকিয়েছেন মোহাম্মদ নবী। দ্রুত রান বাড়িয়ে নেওয়াই তার উদ্দেশ্য। তবে পরের বলেই পাল্টা আঘাত করেছেন মিরাজ। হাঁটু গেড়ে সুইপ করতে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ারে সরাসরি মুমিনুল হকের হাতে ধরা পড়েছেন নবী। ১৩ বলে ৮ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে।
৬৮ ওভার শেষে ৬ উইকেটে ১৮৪ রান তুলেছে আফগানিস্তান। ১৫ রানে ব্যাট করছেন আফসার জাজাই। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন রশিদ খান।
গলার কাঁটা ইব্রাহিমকে হঠালেন নাঈম
যেন কোনো তাড়া নেই। রান যা হবার হয়ে গেছে। এবার নিজেদের একটু ‘টেস্ট’ করে দেখা। আফগান ব্যাটসম্যানদের শরীরীভাষা ছিল এমনই। বাংলাদেশের পড়পরতা বোলিংয়ে দু’একটি ভুলে উইকেট পড়েছে বটে, তবে তাতেও বিশাল লিড আটকাচ্ছে না সফরকারীদের, ছাড়িয়ে গেছে তিনশ’।
আরো বড় কিছুর আশায় থাকা রশিদ খানের দলকে এতক্ষণ যিনি পথ দেখাচ্ছিলেন সেই ইব্রাহিম জাদরানকে ফেরালেন নাঈম হাসান।
‘আনলাকি থার্টিনে’ আটকে আফগান এই ওপেনার থেমেছেন ৮৭ রানে। অফ স্টাম্পের উপরই পড়েছিল বলটি, সজোরে উড়িয়ে মারতে চেয়েছিলেন লং অন দিয়ে। যেখানে বিশ্বস্ত হাত নিয়ে দাঁড়িয়ে মুমিনুল হক। হননি বিচ্যুত।
৬৫ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারানো আফগানদের সংগ্রহ ১৭১।
তিনশ’ ছাড়িয়ে আফগানদের লিড
চা বিরতির পর প্রথম ওভারেই ডাউন দ্য উইকেটে এসে নাঈম হাসানকে বিশাল এক ছক্কায় ওড়ালেন আফসার জাজাই। বুঝিয়ে দিলেন আফগানদের দাপট। স্পষ্ট করে দিলেন চাওয়া। পরের ওভারেই তাদের লিড স্পর্শ করল তিনশ।
৬২ ওভার শেষে আফগানদের রান ৪ উইকেটে ১৬৬। লিড ৩০৩ রানের।
বড় জুটি ভাঙলেন তাইজুল
দিনের শুরুতেই ঝলমলে রোদে দারুণ সূচনা করেছেন বাংলাদেশী বোলাররা। সাকিব, নাঈমের ঘূর্ণিতে বিপর্যস্ত আফগানিস্তানকে পথ দেখান প্রথম ইনিংসের ৯২ রান করা আসগর আফগান ও ইব্রাহিম জাদরান। শতরানের জুটিও গড়েন এই দুই আফগান ব্যাটসম্যান।
১০৮ রানের জুটি যখন আরো বিপদের আভাস দিচ্ছিল, ঠিক তখনই আফগানকে (৫০) ফিরিয়ে দেন তাইজুল। দ্বিতীয় ইনিংসে তাইজুলের এটাই প্রথম শিকার। আসগর ফিরে গেলেও দলকে এনে দিয়েছেন বড় লিডের ভিত। ম্যাচ থেকে অনেকটাই ছিটকে ফেলেছেন স্বাগতিকদের।
৫১ ওভার শেষে আফগানদের সংগ্রহ ৪ উইকেট হারিয়ে ১৩৬ রান। ইব্রাহিম জাদরান ৬৬ রানে ও আফসার জাজাই ০ রানে অপরাজিত আছেন। আফগানদের লিড ইতিমধ্যেই ২৭৩ রানের। ৬ উইকেট হাতে নিয়ে বড় লিডের পথেই আছে নবীন টেস্ট দলটি।
হাশমতউল্লাহকে ফেরালেন নাঈম
দিনের প্রথম পানি পানের বিরতির পর প্রথম ওভারেই বাংলাদেশকে উইকেট এনে দিলেন নাঈম হাসান। দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে এই অফ স্পিনার ফেরালেন হাশমতউল্লাহ শহিদিকে।
প্রথম ওভারেই জোড়া আঘাত করেছিলেন সাকিব। এরপর প্রায় ১৪ ওভার ওপেনার ইব্রাহিম জাদরানকে নিয়ে টাইগারদের ভুগিয়েছেন এই হাশমতউল্লাহ। ২৪ রানের একটি ছোট জুটিও গড়েছিলেন দুজনে। তবে বড় ক্ষতি করার আগে ফেরানো হেছে হাশমতকে।
নাঈমের রিপার বলটি রক্ষণাত্মকভাবে খেলতে চেয়েছিলেন হাসমত। ব্যাটের কানায় লেগে উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমের প্যাডে বল চলে যায় স্লিপে দাঁড়ানো সৌম্য সরকারের হাতে। তড়িৎ গতিতে দারুণ ক্যাচ লুফে নিয়েছেন সৌম্য। ৩৭ বলে ২টি চারের সাহায্যে ১২ রান করেছেন হাসমত।
২৩ ওভার শেষে ৩ উইকেটে ৪৯ রান তুলেছে আফগানিস্তান। ২০ রানে ব্যাট করছেন ইব্রাহিম জাদরান। আসগর আফগানের ঝুলিতে ১৩।
শুরুতেই সাকিবের জোড়া আঘাত
ইনিংসের প্রথম বলেই বাউন্ডারি হজম করেছিলেন সাকিব আল হাসান। শোধ তুলতে সময় নিলেন কেবল ২ বল। তৃতীয় বলেই ফেরালেন ইহসানউল্লাহ জানাতকে। টানা দুই বলে ফেরালেন ওপেনার ইহসানউল্লাহ জানাত ও আফগানিস্তানের ইতিহাসে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান রহমত শাহকে।
দ্বিতীয় ইনিংসে ৩ ওভার শেষে ২ উইকেট হারানো আফগানিস্তানের সংগ্রহ ৫।
আফগানদের বড় লিড
ব্যবধান কমানোর লক্ষ্য নিয়ে সকালে ব্যাটিংয়ে নেমেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু শেষ দুই জুটিতে স্বাগতিকদের খুব বেশি দূর এগোতে দিল না আফগানিস্তান। তৃতীয় দিনে আর ১১ রান যোগ করেই শেষ বাংলাদেশের ইনিংস। আফগানদের লিড ১৩৭ রানে।
৪৪ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শুরু করা মোসাদ্দেক হোসেন অপরাজিত থেকে যান ৪৮ রানে। আরেক পাশে তাইজুল ও নাঈম বিদায় নেন দ্রুত।
আগের দিনের সফল দুই বোলার নবি ও রশিদ ভাগাভাগি করেছেন শেষ দুই উইকেট। ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে রশিদ ৫ উইকেট নিয়েছেন ৫৫ রানে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
আফগানিস্তান ১ম ইনিংস : ৩৪২
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস : ৭০.৫ ওভারে ২০৫(আগের দিন ১৯৪/৮) (মোসাদ্দেক ৪৮*, তাইজুল ১৪, নাঈম ৭; ইয়ামিন ১০-২-২১-১, নবি ২৪-৬-৫৬-৩, জহির ৯-১-৪৬-০, রশিদ ১৯.৫-৩-৫৫-৫, কাইস ৮-২-২২-১)।
২০৫ রানেই শেষ বাংলাদেশ
শেষ জুটিতে খুব বেশিক্ষণ টিকতে পারলেন না নাঈম হাসান। তাকে ফিরিয়ে বাংলাদেশের ইনিংস গুটিয়ে দিলেন রশিদ খান। ক্যারিয়ারের তৃতীয় টেস্টেই নিজে পূরণ করলেন দ্বিতীয় ৫ উইকেট।
রশিদের গুগলি একটুও পড়তে পারেননি নাঈম। বল বাইরে যাবে ভেবে ছেড়ে দিয়েছিলেন, কিন্তু ভেতরে ঢুকে লাগে প্যাডে। আম্পায়ার আউট দিতে সময় নেননি। নাঈম অবশ্য রিভিউ নিয়েছিলেন। লাভ হয়নি কিছু।
নাঈম ফিরলেন ৭ রানে। বাংলাদেশের ইনিংস শেষ ২০৫ রানে।
শুরুতেই শেষ তাইজুল
ব্যবধান কমানোর লক্ষ্যে প্রথম ওভারেই বড় ধাক্কা পেল বাংলাদেশ। তৃতীয় দিনের প্রথম ওভারেই বাজে এক শটে বোল্ড তাইজুল ইসলাম।
আগের দিন দারুণ দৃঢ়তা, শক্ত মানসিকতা ও প্রতিজ্ঞা দেখিয়েছিলেন তাইজুল। নতুন দিনের শুরুতেই হারিয়ে ফেললেন নিজেকে। রাউন্ড দা উইকেটে করা মোহাম্মদ নবির স্টাম্প সোজা বলে স্লগ করতে গেলেন। বল আসার আগেই চালিয়ে দেন ব্যাট। বল লাগে স্টাম্পে।
আগের দিনের ১৪ রানেই ফিরলেন তাইজুল। নবি নিলেন তৃতীয় উইকেট। বাংলাদেশ ৯ উইকেটে ১৯৪।
এক সেশন খেলার চ্যালেঞ্জ
দ্বিতীয় দিনের শেষ ঘণ্টায় দারুণ দৃঢ়তা দেখিয়েছিলেন মোসাদ্দেক হোসেন ও তাইজুল ইসলাম। উইকেট পতনের স্রোতে বাঁধ দিয়ে নবম উইকেটে দুজন গড়েছেন ৪৮ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি। আফগানিস্তানের ৩৪২ রানের জবাবে বাংলাদেশ দিন শেষ করে ৮ উইকেটে ১৯৪ রান নিয়ে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।