নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান সিরিজের একমাত্র টেস্টের তৃতীয় দিন শুরু হয়েছে শনিবার সকাল ১০টায়।
দিনের প্রথম পানি পানের বিরতির পর প্রথম ওভারেই বাংলাদেশকে উইকেট এনে দিলেন নাঈম হাসান। দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে এই অফ স্পিনার ফেরালেন হাসমতউল্লাহ শহিদিকে।
প্রথম ওভারেই জোড়া আঘাত করেছিলেন সাকিব। এরপর প্রায় ১৪ ওভার ওপেনার ইব্রাহিম জাদরানকে নিয়ে টাইগারদের ভুগিয়েছেন এই হাসমতউল্লাহ। ২৪ রানের একটি ছোট জুটিও গড়েছিলেন দুজনে। তবে বড় ক্ষতি করার আগে ফেরানো হেছে হাসমতকে।
নাঈমের রিপার বলটি রক্ষণাত্মকভাবে খেলতে চেয়েছিলেন হাসমত। ব্যাটের কানায় লেগে উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমের প্যাডে বল চলে যায় স্লিপে দাঁড়ানো সৌম্য সরকারের হাতে। তড়িৎ গতিতে দারুণ ক্যাচ লুফে নিয়েছেন সৌম্য। ৩৭ বলে ২টি চারের সাহায্যে ১২ রান করেছেন হাসমত।
২৩ ওভার শেষে ৩ উইকেটে ৪৯ রান তুলেছে আফগানিস্তান। ২০ রানে ব্যাট করছেন ইব্রাহিম জাদরান। আসগর আফগানের ঝুলিতে ১৩।
শুরুতেই সাকিবের জোড়া আঘাত
প্রথম বলেই চার খেয়ে শুরু করেছিলেন। বলটাও তেমন ধারালো ছিল না। তবে সাকিব আল হাসানের হাতের জাদু দেখা গেল এক বল পর থেকেই। টানা দুই বলে ফেরালেন ওপেনার ইহসানউল্লাহ জানাত ও আফগানিস্তানের ইতিহাসে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান রহমত শাহকে।
দ্বিতীয় ইনিংসে ৩ ওভার শেষে ২ উইকেট হারানো আফগানিস্তানের সংগ্রহ ৫।
সাকিবের আরেকটি
প্রথম ওভারে প্রথম উইকেটেই থামলেন না সাকিব আল হাসান। প্রথম ইনিংসে ইতিহাস গড়া সেঞ্চুরি করা রহমত শাহকে ফেরালেন প্রথম বলেই। বাংলাদেশ অধিনায়ক উইকেট নিলেন টানা দুই বলে!
শুরুতেই সাকিবের আঘাত
ইনিংসের প্রথম বলেই বাউন্ডারি হজম করেছিলেন সাকিব আল হাসান। শোধ তুলতে সময় নিলেন কেবল ২ বল। তৃতীয় বলেই ফেরালেন ইহসানউল্লাহ জানাতকে।
আফগানদের বড় লিড
ব্যবধান কমানোর লক্ষ্য নিয়ে সকালে ব্যাটিংয়ে নেমেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু শেষ দুই জুটিতে স্বাগতিকদের খুব বেশি দূর এগোতে দিল না আফগানিস্তান। তৃতীয় দিনে আর ১১ রান যোগ করেই শেষ বাংলাদেশের ইনিংস। আফগানদের লিড ১৩৭ রানে।
৪৪ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শুরু করা মোসাদ্দেক হোসেন অপরাজিত থেকে যান ৪৮ রানে। আরেক পাশে তাইজুল ও নাঈম বিদায় নেন দ্রুত।
আগের দিনের সফল দুই বোলার নবি ও রশিদ ভাগাভাগি করেছেন শেষ দুই উইকেট। ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে রশিদ ৫ উইকেট নিয়েছেন ৫৫ রানে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
আফগানিস্তান ১ম ইনিংস : ৩৪২
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস : ৭০.৫ ওভারে ২০৫(আগের দিন ১৯৪/৮) (মোসাদ্দেক ৪৮*, তাইজুল ১৪, নাঈম ৭; ইয়ামিন ১০-২-২১-১, নবি ২৪-৬-৫৬-৩, জহির ৯-১-৪৬-০, রশিদ ১৯.৫-৩-৫৫-৫, কাইস ৮-২-২২-১)।
২০৫ রানেই শেষ বাংলাদেশ
শেষ জুটিতে খুব বেশিক্ষণ টিকতে পারলেন না নাঈম হাসান। তাকে ফিরিয়ে বাংলাদেশের ইনিংস গুটিয়ে দিলেন রশিদ খান। ক্যারিয়ারের তৃতীয় টেস্টেই নিজে পূরণ করলেন দ্বিতীয় ৫ উইকেট।
রশিদের গুগলি একটুও পড়তে পারেননি নাঈম। বল বাইরে যাবে ভেবে ছেড়ে দিয়েছিলেন, কিন্তু ভেতরে ঢুকে লাগে প্যাডে। আম্পায়ার আউট দিতে সময় নেননি। নাঈম অবশ্য রিভিউ নিয়েছিলেন। লাভ হয়নি কিছু।
নাঈম ফিরলেন ৭ রানে। বাংলাদেশের ইনিংস শেষ ২০৫ রানে।
শুরুতেই শেষ তাইজুল
ব্যবধান কমানোর লক্ষ্যে প্রথম ওভারেই বড় ধাক্কা পেল বাংলাদেশ। তৃতীয় দিনের প্রথম ওভারেই বাজে এক শটে বোল্ড তাইজুল ইসলাম।
আগের দিন দারুণ দৃঢ়তা, শক্ত মানসিকতা ও প্রতিজ্ঞা দেখিয়েছিলেন তাইজুল। নতুন দিনের শুরুতেই হারিয়ে ফেললেন নিজেকে। রাউন্ড দা উইকেটে করা মোহাম্মদ নবির স্টাম্প সোজা বলে স্লগ করতে গেলেন। বল আসার আগেই চালিয়ে দেন ব্যাট। বল লাগে স্টাম্পে।
আগের দিনের ১৪ রানেই ফিরলেন তাইজুল। নবি নিলেন তৃতীয় উইকেট। বাংলাদেশ ৯ উইকেটে ১৯৪।
এক সেশন খেলার চ্যালেঞ্জ
দ্বিতীয় দিনের শেষ ঘণ্টায় দারুণ দৃঢ়তা দেখিয়েছিলেন মোসাদ্দেক হোসেন ও তাইজুল ইসলাম। উইকেট পতনের স্রোতে বাঁধ দিয়ে নবম উইকেটে দুজন গড়েছেন ৪৮ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি। আফগানিস্তানের ৩৪২ রানের জবাবে বাংলাদেশ দিন শেষ করে ৮ উইকেটে ১৯৪ রান নিয়ে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।