মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতীয় জনতা পার্টির পশ্চিম বঙ্গ শাখা অবৈধ অভিবাসীদের ইস্যুটিকে অন্যতম প্রধান নির্বাচনী ইস্যুতে পরিণত করতে এবং এটাকে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ব্যবহারের জন্য দুটো কমিটি গঠন করেছে। তৃণমূল কংগ্রেস ন্যাশনাল রেজিস্টার অব সিটিজেন্স (এনআরসি) এবং সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট বিলের বিরোধীতা করে আসছে।
কমিটি দুটো সিটিজেনশিপ বিল নিয়ে এবং পশ্চিম বঙ্গ থেকে অবৈধ অভিবাসীদের বিতাড়িত করার জন্য এখানেও আসামের মতো এনআরসি তৈরির বিষয় নিয়ে তৎপরতা চালাবে। সিটিজেনশিপ বিলের অধীনে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে আসা হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ও পার্সিদের ভারতের নাগরিকত্ব দেয়া হবে।
জনসম্পর্ক কমিটি বুদ্ধিজীবিদেরকে ব্রিফ করবে আর জনজাগরণ কমিটি এই দুটো ইস্যু নিয়ে সড়কে আন্দোলন করবে। গত দুই সপ্তাহে দলের নির্বাচন-সংক্রান্ত বৈঠকে যারা অংশ নিয়েছেন, তারা এ তথ্য জানিয়েছেন। গত ২৭ আগস্ট এই দুটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
জনসম্পর্ক কমিটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিজেপির রাজ্য সেক্রেটারি সায়ন্তন বসু। তিনি বলেছেন, “ধর্মীয় ইস্যুতে ভারতকে বিভক্ত করা হয়েছিল। ১৯৪৭ সালে পশ্চিম বঙ্গ তৈরি করা হয়েছিল হিন্দুদের নিরাপত্তা দেয়ার জন্য যারা ১৯৪৬ সালে কলকাতা ও নোয়াখালীর দাঙ্গায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। যেসব শিক্ষক ও বুদ্ধিজীবীদের সাথে আমরা যোগাযোগ করেছি, তারা তাদের শেকড়ের ব্যাপারে গভীরভাবে বিশ্বাসী”।
জনজাগরণ কমিটির সহ-প্রধান দেবজিৎ সরকার। তিনি বলেন: “আমরা প্রতিটি জেলার প্রতিটি ব্লকে আঘাত হানবো, বিশেষ করে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া এলাকাগুলোতে। একইসাথে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর হিন্দু শরণার্থীদের জন্য যে কলোনিগুলো স্থাপন করা হয়েছিল, সেগুলোও সফর করবো আমরা।
পশ্চিম বঙ্গের বিজেপি এমন সময় এ পদক্ষেপ নিলো যখন ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস আসামের এনআরসির বিপক্ষে একটা প্রচারণা শুরুর সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। ৩১ আগস্ট প্রকাশিত চূড়ান্ত এনআরসি তালিকা থেকে ১.৯ মিলিয়ন মানুষের নাম বাদ পড়েছে।
১২ সেপ্টেম্বর কলকাতায় এনআরসি নিয়ে এক সমাবেশে বক্তৃতা করবেন মমতা ব্যানার্জি। সিটিজেনশিপ বিল নিয়ে তৃণমূলের লোকসভা সদস্য সওগাতা রায় বলেন: “আমরা এই বিলের বিরোধী এবং সেটা আমরা করেই যাবো”।
২০১৬ সালে সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট বিলটি লোকসভায় উত্থাপন ও পাস করা হলেও বিরোধীদের প্রতিবাদের কারণে এটাকে রাজ্যসভায় উপস্থাপন করা হয়নি।
বিজেপি এমনকি লোকসভা নির্বাচনের সময়েও অবৈধ অভিবাসীদের বিষয়টিকে নির্বাচনী ইস্যু করে তোলার চেষ্টা করেছিল। দলের জাতীয় প্রেসিডেন্ট অমিত শাহ বলেছিলেন, তার দল মুসলিম অনুপ্রবেশকারীদের ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে বদ্ধপরিকর। একই সাথে বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দু, বৌদ্ধ ও অন্যান্য স¤প্রদায়ের শরণার্থীদের সুরক্ষার জন্যও তারা ব্যবস্থা নিবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।