বিএনপি চেয়ারপারসন ও কারাবন্দী সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে পোস্টার লাগাতে গিয়ে আটক হয়েছে
বিএনপির তিন কর্মী। শুক্রবার রাতে রাজধানীর পল্লবী এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। এরা হলেন কালাম, নাদিম ও ইদ্রীস।
বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়, শুক্রবার রাতে
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব
রুহুল কবির রিজভী কয়েকজন নেতাকর্মীকে নিয়ে রাজধানীর পল্লবী এলাকায় খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি সম্বলিত পোস্টার লাগাতে যান। ওই এলাকার সড়কের পাশে বিভিন্ন ভবনের দেয়ালে, সড়ক পিলারে পোস্টার লাগান
রুহুল কবির রিজভী নিজেই। এসময় হঠাৎ করেই সরকার দলীয় নেতাকর্মীরা রিজভীর সাথে থাকা
বিএনপি নেতাকর্মীদের হাত থেকে পোস্টার কেড়ে নেন এবং তাদেরকে মারধর করে। ওই এালাকায় খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে কোন পোস্টার না লাগানোর জন্যও হুমকি দেন তারা। পরে কালাম, নাদিম ও ইদ্রীসকে পুলিশের হাতে তুলে দেয় সরকার দলীয়রা।
এ বিষয়ে
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব
রুহুল কবির রিজভী বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দলের প্রধান, দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী এবং চার বারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে, মিথ্যা মামলা দিয়ে, জোর করে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। আজকে তার মুক্তির দাবিতে মিছিল, মিটিং, সভা-সমাবেশ করা আমাদের রাজনৈতিক অধিকার। সেটিতে তো সরকার এবং তাদের পুলিশ বাহিনী বাধা দিচ্ছেই। দেশনেত্রীর মুক্তির দাবিতে পোস্টার লাগাবো সেটিতেও এখন বাধা দেয়া হচ্ছে। এর মাধ্যমে আবারও প্রমাণিত হচ্ছে সরকার বেগম জিয়াকে মুক্ত হতে দিবে না। তার মুক্তির দাবি তুললেই হামলা, মামলা গ্রেফতার করা হবে।
তিনি সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, হামলা, মামলা, গ্রেফতার করে
বিএনপি ও এদেশের জনগণকে ভয় দেখানো যাবে না। সময় ফুরিয়ে এসেছে, বাঁচতে চাইলে অতিদ্রুত বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে দিন, অন্যথায় পালানোর পথ পাবেন না।
রিজভী অবিলম্বে খালেদা জিয়া, সকল রাজনৈতিক কারাবন্দী এবং শুক্রবার রাতে আটক কর্মীদের মুক্তি দাবি করেন।