বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
গ্রাহকের গোপন তথ্য ব্যবহার করে জালিয়াতির মাধ্যমে মোবাইল অপারেটরের সিম নিবন্ধনে জড়িত একটি চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জালিয়াতির শিকার কয়েকজন গ্রাহকের অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তারা হলো-ফেরদৌস সরোয়ার রবিন (১৮), মিনহাজুল ইসলাম (২৩), মিশু আহমেদ (৩০) ও জাবেদ ইকবাল (৩০)।
বাকলিয়া থানার ওসি মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন জানান, রবিন মোবাইল অপারেটর রবি কোম্পানির পরিবেশক এ কে খান টেলিকমের বিক্রয় প্রতিনিধি। বাকলিয়ার বলিরহাট এলাকার মুদি দোকানদার মুহাম্মদ ইসমাইল গত মার্চে তার কাছ থেকে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন করে একটি সিম নিয়েছিলেন। এরপর বিভিন্ন অজুহাতে রবিন আরও কয়েকবার ইসমাইলের হাতের আঙুলের ছাপ সংগ্রহ করে।
বুধবার বিকেলে ইসমাইল রবিনের কাছ থেকে আরেকটি সিম কিনতে গিয়ে জানতে পারেন, তার নামে আরও ৩০টি সিম নিবন্ধিত আছে। ইসমাইল বিষয়টি পুলিশকে জানালে রবিনকে আটক করা হয়। তার কাছে বিভিন্ন জনের নামে নিবন্ধিত ১৩টি সিম উদ্ধার করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ করলে এ চক্রের আরও কয়েকজন সদস্যের নাম প্রকাশ করে সে। পরে নগরীর রিয়াজউদ্দিন বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।
তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন জনের নামে নিবন্ধিত ৩১টি সিম, সিম নিবন্ধনে ব্যবহৃত একটি নোটপ্যাড, ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেয়ার একটি ক্যাবল ও তিনটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। পুলিশ জানায়, চার জন একটি সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য। তারা গ্রাহকের আঙুলের ছাপ ও তথ্য সংরক্ষণ করে। তারপর সেগুলো দিয়ে সিম নিবন্ধন করে। প্রকৃত গ্রাহক জানতেও পারেন না, তার নামে সিম নিবন্ধিত হয়েছে। সেই সিম প্রতারক চক্রের সদস্যরা চড়া দামে বিক্রি করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।