Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জিপি-রবির লাইসেন্স কেন বাতিল নয়, জানতে চেয়েছে বিটিআরসি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ৯:২৮ পিএম

ব্যান্ডউইথ সীমিত করা, এনওসি বাতিল করার পরও নিরীক্ষা আপত্তির ১৩ হাজার ৪৪৭ কোটি টাকা আদায় করতে পারেনি বিটিআরসি। দুই দফা চাপ দিয়েও গ্রামীণফোন ও রবির কাছ থেকে এই বিপুল অংকের টাকা আদায় করতে না পেরে এবার কঠোর পদক্ষেপের দিকে এগুচ্ছে টেলিযোগাযো নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বিটিআরসি। এবয়া পরিশোধ না করায় গ্রামীণফোন ও রবির লাইসেন্স কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে চিঠি দিয়েছে সংস্থাটি। বৃহস্পতিবার (০৫ সেপ্টেম্বর) বিটিআরসির পক্ষ থেকে এই চিঠি দেয়া হয় বলে জানান সংস্থাটির সিনিয়র সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) মো. জাকির হোসেন খান। চিঠিতে বলা হয়েছে, আগামী ৩০ দিনের মধ্যে চিঠির জবাব দিতে হবে। এতে দুই অপারেটরের টুজি ও থ্রিজি লাইসেন্স কেন বাতিল হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। ১৯৯৭ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত গ্রামীণফোনের ওপর নিরীক্ষা করে ১২ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা পাওনা দাবি করছে বিটিআরসি। রবির কাছে দাবি করা হচ্ছে ৮৬৭ কোটি টাকা। এ অর্থের মধ্যে বিলম্বের মাশুল ও সুদও ধরা আছে।

প্রথম ধাপে ব্যান্ডউইথ কমিয়ে দিয়ে এবং দ্বিতীয় ধাপে বিভিন্ন ধরনের সেবার অনুমোদন ও অনাপত্তিপত্র দেওয়া বন্ধ রেখেও কাজ না হওয়ায় সরকার এমন পদক্ষেপে যেতে বাধ্য হয়েছে বলে বিটিআরসি সূত্রে জানা যায়।

কমিশনের চেয়ারম্যান জহুরুল হক বলেন, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন ২০০১ এর ৪৬(২) ধারা মোতাবেক মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন ও রবির টুজি ও থ্রিজি সেবার লাইসেন্স কেন বাতিল করা হবে না, আগামী ৩০ দিনের মধ্যে তা জানাতে বলা হয়েছে নোটিসে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নোটিসের জবাব না দিলে বা পাওনা টাকা পরিশোধ না করলে পরবর্তী পদক্ষেপ বিষয়ে সোয়া ১২ কোটি গ্রাহকের এই দুই অপারেটরে প্রশাসক নিয়োগের মত পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে বলে জানান বিটিআরসি প্রধান।

বিটিআরসি নোটিস পাঠানোর পর এক বিবৃতিতে গ্রামীণফোন বলেছে, বিটিআরসির নোটিসটি অযৌক্তিক। সেই সঙ্গে একটি বিতর্কিত অডিট দাবির বিষয়ে আমাদের গঠনমূলক সমাধান প্রস্তাবের বিপরীতে তাদের অনীহার আরেকটি বহিঃপ্রকাশ। নোটিসটি পর্যালোচনা করার পর গ্রামীণফোন এ বিষয়ে উত্তর দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। আমাদের প্রতিষ্ঠান, শেয়ারহোল্ডার ও সম্মানিত গ্রাহকদের অধিকার রক্ষায় নিয়ন্ত্রক সংস্থার অন্যায্য যে কোনো পদক্ষেপের বিরুদ্ধে আমরা প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

আর রবি আজিয়াটা লিমিটেডের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার শাহেদ আলম বলেছেন, লাইসেন্স বাতিলের কারণ দর্শানোর নোটিস টেলিযোগাযোগ খাতে বিনিয়োগকারীদের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়া এবং গ্রাহকদের মধ্যে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করবে। যথাসময়ে আমরা কারণ দর্শানোর নোটিসের জবাব দেব।

বিটিআরসির দাবি নিয়ে আপত্তি জানিয়ে সালিশের মাধ্যমে বিষয়টির মীমাংসা করার প্রস্তাব দিয়েছিল রবি আর জিপি। কিন্তু তাতে সাড়া না দিয়ে বিটিআরসির পক্ষ থেকে বলা হয়, তাদের আইনে এ ধরনের ক্ষেত্রে সালিশের কোনো সুযোগ নেই।

বিটিআরসি গত ৪ জুলাই ১৩ হাজার ৪৪৭ কোটি টাকা পাওনার আদায়ের পদক্ষেপ হিসেবে গ্রামীণফোনের ৩০ শতাংশ ও রবি আজিয়াটা বারহাদের ১৫ শতাংশ ব্যান্ডউইথ সক্ষমতা কমিয়ে দেয়। পরে তা আবার খুলে দিলেও দুই অপারেটরের প্যাকেজ অনুমোদন, টাওয়ার স্থাপন, সরঞ্জাম আমদানির ক্ষেত্রে অনাপত্তি পত্র (এনওসি) দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়।

বিটিআরসি বলছে, জনগণের পাওনা টাকায় ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তাদের আইনে এ বিষয়ে সালিসেরও কোনো সুযোগ নেই।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিটিআরসি

১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ