পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি সত্যের মুখোমুখি হয়ে সত্যকে তারা স্বীকার করে না। এরা তারা ইতিহাসের কুটনোটকে যারা ইতিহাসের নায়ক বানাতে চেষ্টা করেছে। এরা তারা, যারা ইতিহাসের ঘোষণার অন্যতম পাঠককে ঘোষক বানাতে চেষ্টা করেছে। এরা তারা, যারা ইতিহাসের মীমাংসিত সত্যকে অমীমাংসিত করার জন্য এখনো প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছে। এরা তারা, যারা জাতির পিতার খুনিদের পুরস্কৃত করেছে, পুনর্বাসিত করেছে, সংবিধানে আইন করে এই খুনিদের বিচারের পথ রুদ্ধ করেছে। এরা তারা, যারা ১৫ই আগস্টের কলঙ্কজনক ঘটনার মাস্টারমাইন্ড, ২১ শে আগস্ট শেখ হাসিনার হত্যা চেষ্টার মাস্টারমাইন্ড।
আজ বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বাংলাদেশ তাঁতী লীগের শোক দিবসের আলোচনা সভায় এমন মন্তব্য করেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আগস্ট মাসে বিএনপি ইতিহাসের কঠিন সত্যের মুখোমুখি দাড়িয়ে চরম অস্বস্তিতে দিন যাপন করে। কঠিন সত্যের মুখোমুখি হয়ে তাদের অবস্থা অস্থিরতার অস্বস্তির মধ্যে নিপাতিত হয়। তাদের যে নেতিবাচক রাজনীতি, প্রতিহিংসার রাজনীতি, বিদ্বেষের রাজনীতি, সেই রাজনীতি তখন উন্মোচিত হয় নোংরা, আবোল তাবোল বক্তব্য প্রদানের মধ্য দিয়ে।
আগস্ট মাস বিএনপির জন্য বিব্রতকর দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, খুন আর হত্যার রাজনীতিতে তাদের হাত রক্তে রঞ্জিত। তারা বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে জাতির পিতাকে মুছে ফেলার চেষ্টা কম করেনি। ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধুকে তারা যতই মুছে ফেততে চেয়েছে ততই তারা নিজেরাই ইতহাস থেকে সংকুচিত হচ্ছে। আজকে তারেক রহমানের দম্ভোক্তি, কারণ ২১শে আগস্ট তার জন্য বিব্রতকর। জিয়াউর রহমান ১৫ই আগস্টের মাস্টারমাইন্ড আর তারেক রহমান ২১শে আগস্টের মাস্টারমাইন্ড। তাদের আতে ঘা লাগে আগস্ট মাসে। এদের গাত্রদাহ শুরু হয় আগস্ট মাসে।
তিনি বলেন, শেখ মুজিব স্বাধীনতা চাননি- লন্ডন থেকে তাদের কন্ডভিক্টটেড ভিউজিটিভ লিডার এ কথা বার বার উচ্চারণ করেছে। এখন আবার কাকে নাকি জাতীয়তাবাদী জাতির পিতা বানাচ্ছে। টেমস নদীর পাড়ে বসে বাংলাদেশে ষড়যন্ত্রের রাজনীতি করছে। ইতিহাসের মিমাংসিত বিষয় নিয়ে যারা মিথ্যাচার করে, ইতিহাসের আস্তাকুড়ে তারা নিক্ষিপ্ত হয়। এবং সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে।
বিএনপি অস্তিত্ব সংকটে পড়ে আবোল-তাবোল বকছে দাবি করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রচলিত আদালতে বিচার হয়েছে, ইতিহাসের আদালতেও বিচার শুরু হয়েছে, জনতার আদালতে বিচার শুরু হয়েছে, ভোটের রাজনীতিতে এই দল আরো সংকুচিত আরো অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গেছে। কারণ তারা জাতির পিতাকে খুন করেছে। জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যার চক্রান্ত করেছিল গ্রেনেড হামলার মধ্য দিয়ে। এ সত্য জনতার আদালতে, জনগণের বিবেকের আদালতে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে। কাজেই বিএনপি অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে এবং ভবিষ্যতকে বিপন্ন মনে তারা এখন আবোল-তাবোল বকছে।
বঙ্গবন্ধুর নামে বিভিন্ন ধরনের সংগঠনের কার্মকান্ডে বন্ধের আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, যারা বঙ্গবন্ধুর নাম ব্যবহার করে দোকান খুলেছে, এসব দোকান বন্ধ করতে হবে। আপনাদের কোনো স্বীকৃতি নাই। কখনো বঙ্গবন্ধু, কখনো নেত্রীর ছবি, কখনো জয়ের ছবি ব্যবহার করে কিছু কিছু লোক আজকে রাজনীতির দোকান খুলে বসেছে। চাঁদাবাজি করে ব্যবসা-বানিজ্য করে জীবিকা নির্বাহ করে। কাজেই এদের বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে। চিন্তা, চেতনায় ও কর্মে বঙ্গবন্ধু আদর্শ অনুসরণ করে তার পরিবারের সদস্যের কাছ থেকে সততার শিক্ষা নিতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান কাদের।
তিনি বলেন, বিএনপির যুবরাজ তারেক রহমানের মতো দুর্নীতির হাওয়া ভবন নেই বঙ্গবন্ধু পরিবারের কারোরই। শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী কিন্তু তার বোন শেখ রেহানা লন্ডনে চাকরি করে জীবিকা নির্বাহ করে। বাসের করে অফিসে যায়। সততা তারা লালন করে। নেত্রীর সন্তানদের কোনো হাওয়া ভবন নেই। শেখ রেহানার সন্তান চকরি করে সৎ জীবন যাপন করে। সুতরাং তাদের থেকে সততার শিক্ষা নিতে হবে।
তাঁতি লীগের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ শওকত আলীর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক খগেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথের সঞ্চালনায় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।