Inqilab Logo

বুধবার ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

১৬ বছরে ১০ হাজার!

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১২:০০ এএম

ব্যাংককের এক দমকল অফিসে কাজ করেন পিনিও পুকপিনিও। গত ১৬ বছরে বিভিন্ন বাসাবাড়ি থেকে তিনি প্রায় দশ হাজার সাপ ধরেছেন। তিনি যে দমকল অফিসে কাজ করেন সেখানে সাপ থেকে বাঁচতে সহায়তা চেয়ে বছরে প্রায় তিন হাজার টেলিফোন কল আসে বলে জানান পাকপিনিয়ো। খবর রয়টার্স।
বছরে সর্বোচ্চ আটশোর মতো সাপ ধরেন পুকপিনিও। এর মধ্যে ৭০ ভাগ বিষধর নয়, যেমন, অজগর সাপ। বাকিগুলো কোবরাসহ অন্যান্য বিষধর সাপ। বিষধর সাপ ধরার পর সেগুলো বিভিন্ন ইন্সটিটিউটে পাঠিয়ে দেয়া হয়। সেখানে বিশেষজ্ঞরা সাপ থেকে বিষ বের করে প্রতিষেধক তৈরি করেন।

দমকল অফিসে যখন কিছুটা অবসর পান তখন পুকপিনিও খাঁচায় থাকা সাপগুলো দেখাশোনা করেন। তাদের খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করেন। এছাড়া সাপ কীভাবে সতর্কতার সাথে নিয়ন্ত্রণ করা যায় সে বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকেন তিনি। নিজের কাজে গর্বিত পুকপিনিও। তিনি বলেন, ‘কাজের কারণে আমার নিজেকে সুপারহিরো মনে হয়। বিপদে পড়া মানুষকে আমি সহায়তা করি। এই কাজ করে আমি খুব খুশি।’

ব্যাংককের দুর্যোগ প্রতিরোধ বিভাগ জানিয়েছে, ২০১৮ সালে ব্যাংককের বাসাবাড়িতে প্রায় ৩৮ হাজারটি সাপ ঢোকার ঘটনা ঘটেছে। বর্ষা মৌসুমে খাবারের সন্ধানে বাড়ির বাগান কিংবা টয়লেটে সাপ ঢুকে পড়ে। বাসায় সাপের দেখা পেলে অনেকেই দমকল অফিসে ফোন করেন। ফলে হিসেব করে দেখা গেছে, আগুন নেভানোর চেয়ে সাপ ধরার কাজেই ব্যস্ত থাকেন ব্যাংককের দমকল কর্মীরা। ব্যাংককের দমকল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত কয়েক মাস ধরে বাসাবাড়িতে দিনে একশোর বেশি সাপ ঢুকে পড়ার খবর পাচ্ছেন তারা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ