পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্যে জড়িতদের চিহ্নিত করতে সরকার কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পাশাপাশি বিদেশে পালাতক সাজাপ্রাপ্তদের ফিরিয়ে আনাও সম্ভব হবে। সেই সঙ্গে অপরাধীদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে। গতকাল মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দল আয়োজিত এক গোলটেবিল আলোচনায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এসব কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ‘বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় দন্ডিত পালাতক খুনিদের দেশে ফিরিয়ে আনার পদক্ষেপ’ শীর্ষক এ গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করা হয়। এ সময় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, কানাডার আইনে মৃত্যুদন্ড নেই। যদি কোনো দেশের মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামি (কানাডা) গিয়ে আশ্রয় নেয় তাহলে তারা তাকে রেখে দেয়। তবে কানাডায় নূর চৌধুরীকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেয়নি। আমরা তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য কানাডার সঙ্গে আলাপ আলোচনা করছি। আইনি এবং কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি। তিনি আরো বলেন, রাশেদ চৌধুরীকে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা চলছে। তাকে ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে আগের চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অগ্রহ বেড়েছে। অন্য চারজন যাদের খবর পাওয়া যাচ্ছে না, আমরা কিন্তু তাদের খুঁজে বের করার ব্যাপারে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
আইনমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনের নেপথ্যে কারা জড়িত ছিলো তাদের চিহ্নিত করতে একটি কমিশন করার ব্যাপারে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্ত্রিপরিষদে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন। কমিশনে কারা থাকবেন, কার্যপরিধি কী হবে সেটা আলোচনা করা হবে। এই কমিশনের কাজ হবে পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট এবং ৩ নভেম্বরের নেপথ্যে কারা জড়িত ছিল- তাদের খুঁজে বের করা।
অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, নূর চৌধুরী কানাডায় এবং রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে আছে। আমি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের সাহায্য চেয়েছি রাশেদ চৌধুরীকে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে। তারা আমাকে বলেছেন- ও (রাশেদ চৌধুরী) কি ওই নামে আছে, না ডেভিড নামে আছে? নূর চৌধুরী কানাডায় আছে। আমি কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রীকেও বলেছি, কোর্ট তো তাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেয়নি, তাকে ফিরিয়ে দিন। আলাপ আলোচনা চালিয়ে যান। আমাদের প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে চিঠি দিয়েছেন। আশা করি নূর চৌধুরীকে ফিরিয়ে আনতে পারবো। গোলটেবিল আলোচনা পরিচালনা করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম। বক্তৃতা করেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, বাংলাদেশ জাসদের কার্যকরী সভাপতি মঈনুদ্দিন খান বাদল, সাংবাদিক নেতা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, সাংবাদিক আব্দুল কাউয়ুম মুকুল, আওয়ামী লীগ নেতা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম প্রমূখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।