Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অটোমেশন-ভিত্তিক নতুন পণ্য : ব্যাংকিং খাতে আসবে নতুন মাত্রা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) কম্পিটিশন, কনসেনট্রেশন অ্যান্ড ব্যাংকিং সেক্টর স্টাবিলিটি শীর্ষক সেমিনারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের প্রত্যেক ব্যাংক তাদের ব্যবসায়িক লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য সব ক্ষেত্রে পৌঁছেছে। এর ফলে বিদ্যমান পণ্যে এবং মার্কেট শেয়ার ভাগাভাগি হয়েছে। এ অবস্থায় অটোমেশন ভিত্তিক নতুন পণ্য ব্যাংকিং খাতে প্রতিযোগিতায় নতুন মাত্রা সৃষ্টি করতে পারে।
গতকাল রাজধানীর মিরপুরে বিআইবিএম অডিটোরিয়ামে ‘কম্পিটিশন, কনসেনট্রেশন অ্যান্ড ব্যাংকিং স্টাবিলিটি’ শীর্ষক সেমিনারে উপস্থাপিত গবেষণা প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এবং বিআইবিএম নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান এস এম. মনিরুজ্জামান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিআইবিএম-এর পরিচালক (গবেষণা, উন্নয়ন এবং কন্সালটেন্সী) ড. প্রশান্ত কুমার ব্যানার্জ্জী।
উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক এবং বিআইবিএম-এর মহাপরিচালক মহা. নাজিমুদ্দিন; বিআইবিএমের ড. মোজাফফর আহমদ চেয়ার প্রফেসর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক প্রফেসর ড. বরকত-এ-খোদা; সোনালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এ চৌধূরী; পূবালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং বিআইবিএমের সুপারনিউমারারি প্রফেসর হেলাল আহমদ চৌধুরী; বিআইবিএম-এর সাবেক সুপারনিউমারারি প্রফেসর মো. ইয়াছিন আলি; ব্যাংক এশিয়া লিমিটেড - এর প্রেসিডেন্ট এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আরফান আলী; সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড- এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী ওসমান আলী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন।
সেমিনারে গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন বিআইবিএম-এর সাবেক অনুষদ সদস্য আব্দুল কায়উম মোহাম্মাদ কিবরিয়া। পাঁচ সদস্যের গবেষণা দলে অন্যান্যের মধ্যে রয়েছেন- বিআইবিএম-এর সহকারী অধ্যাপক অন্তরা জেরিন; সহকারি অধ্যাপক রেক্সোনা ইয়াসমিন এবং তোফায়েল আহমেদ; বাংলাদেশ ব্যাংক-এর যুগ্ম পরিচালক ড. ইফতেখার আহমেদ রবিন। সেমিনারের উদ্বোধন করে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এবং বিআইবিএম নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান এস এম. মনিরুজ্জামান বলেন, ব্যাংকের সংখ্যা, অপারেশন এরিয়া, একসেস টু ক্রেডিট, ব্যয়, আর্থিক সেবা, ইনোভেশন ইত্যাদি বিবেচনায় বাংলাদেশে ব্যাংকিং খাত অনেক বেশি প্রতিযোগিতা পূর্ণ। প্রতিযোগিতা জাতীয় অর্থনীতি, সমাজের জন্য কিছু ক্ষেত্রে ইতিবাচক হলেও ঝুঁকিপূর্ণ। মহা. নাজিমুদ্দিন বলেন, গ্রাহকদের দিক বিবেচনায় ব্যাংকারদের সেবা প্রদান করতে হবে। তিনি বলেন, বিআইবিএম’র গবেষণা নীতি নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ড. বরকত-এ-খোদা তার বক্তব্যে ব্যাংকিং খাতে সুস্থ প্রতিযোগিতা আবশ্যক বলে উল্লেখ করেন।
হেলাল আহমদ চৌধুরী বলেন, ব্যাংকগুলোর শাখা সম্প্রসারণে প্রত্যন্ত অঞ্চলকে বেছে নিতে হবে। সেই সাথে ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দিতে হবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের যে নীতিমালা আছে তা পরিপালন করলে অনেকাংশে সুফল পাওয়া যাবে। ব্যাংকগুলোকে এমআইএস শক্তিশালী করতে হবে। যাতে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িতরা সব তথ্য সহজে পায়। শ্রেণীকৃত ঋণ কমানোর জন্য ব্যাংকের আইসিসি কে শক্তিশালী করতে হবে এবং বোর্ড ও সিনিয়র ম্যানেজমেন্ট সকলকে আইসিসির আমলে নিতে হবে। কাজী ওসমান আলী বলেন, ট্রেড ফাইন্যান্সিংয়ে ঢাকা-চট্টগ্রামের বাইরে রাজশাহী ও খুলনায় নজর দিতে হবে। এর বাইরে এসএমই খাতেও ঋণ বাড়াতে হবে।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ব্যাংকিং


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ