পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রিফাত হত্যা মামলায় তার স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির কারামুক্তি ঠেকাতে স্থায়ী জামিন আদেশের বিরুদ্ধে নিয়মিত আপিল করবে সরকার। গতকাল সোমবার হাইকোর্টের আদেশের ওপর চেম্বার জাস্টিস কোনো স্থগিতাদেশ না দেয়ায় এ কথা জানান সরকারপক্ষের কৌঁসুলি। হাইকোর্টে দেয়া মিন্নির স্থায়ী জামিন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতে বহাল রাখেন। সরকারপক্ষের কৌঁসুলি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কেএম জাহিদ সারওয়ার কাজল বলেন, মিন্নির জামিন-সংক্রান্ত মামলায় হাইকোর্টের রায়টি হাতে না পাওয়ায় আমরা চেম্বার জজ আদালতে ওই রায় স্থগিত চেয়ে আপিল করেছিলাম। কিন্তু চেম্বার আদালত নো-অর্ডার দিয়েছেন। তবে এরই মধ্যে গত ১ সেপ্টেম্বর মিন্নির জামিনের বিষয়ে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ প্রকাশ হওয়ায় আমরা এখন নিয়মিত আপিল আবেদন (লিভ টু আপিল) করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল বরাবর একটি নোটও জমা দিয়েছি আমাদের পক্ষ থেকে।
এর আগে গতকাল সোমবার সকালে মিন্নিকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন স্থগিত চেয়ে করা সরকারপক্ষের আপিল আবেদনের ওপর নো অর্ডার (কোনো আদেশ নয়) দেন আপিল বিভাগের চেম্বারকোর্ট। ফলে মিন্নির জামিনে মুক্তিতে আর কোনো বাধা নেই বলে জানান আইনজীবীরা। সরকারপক্ষ আবেদনের শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগের বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর চেম্বার জজ আদালত এ আদেশ দেন। গতকাল মিন্নির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জেএড আই খান পান্না ও সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি এ এম আমিন উদ্দীন। সরকারপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ সারোওয়ার কাজল ও মো. সারোয়ার হোসেন বাপ্পী। এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। গত ২৯ আগস্ট মিন্নির জামিনের বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ উল্লেখ করে রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। তবে জামিনে মুক্ত হওয়ার পর মিন্নিকে মিডিয়ার সঙ্গে কথা না বলার নির্দেশ দেন আদালত।
পুলিশি তদন্তের গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন
পুলিশি তদন্তের গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি অ্যাডভোকেট এএম আমিন উদ্দিন। গতকাল সোমবার বরগুনার রিফাত হত্যা মামলায় মিন্নির পক্ষের কৌঁসুলি হিসেবে চেম্বার কোর্টে শুনানি শেষ করে এসে তিনি এ প্রশ্ন তোলেন। কিশোর আবু সাঈদ খুন হয়নি। তদুপরি সে খুন হয়েছে-মর্মে মিথ্যা স্বীকারোক্তি আদায় করেছে পুলিশ। ওই রিপোর্টের ভিত্তিতে চার্জশিট হয় এবং মামলার বিচার শুরু হয়। কিন্তু পরবর্তীতে আবু সাঈদ জীবিত ফিরে আসে। এ প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি বলেন, কথিত এই হত্যার ঘটনায় আসামিরা শুরু থেকেই দাবি করে আসছিলেন যে, মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে সাঈদ হত্যায় জড়িত থাকার স্বীকারোক্তি দিতে বাধ্য করা হয়েছিল। এমন ঘটনা যে পুলিশ অফিসার ঘটিয়েছে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া উচিত। তিনি আরও বলেন, একজন সাধারণ মানুষকে জোর করে স্বীকারোক্তি নেয়া যায় না।
উল্লেখ্য, বরিশালের কিশোর আবু সাঈদ খুনের মামলার বিচার চলছে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৫ এ। গত ১ সেপ্টেম্বর খুনের আসামি সোনিয়ার আইনজীবী ওয়াহিদুজ্জামান আদালতকে লিখিতভাবে জানান, কিশোর আবু সাঈদ খুন হয়নি। তাকে আদালতে হাজির করা হোক। এ ব্যাপারে আগামি ৫ সেপ্টেম্বর শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। এক শিশু অপহরণ করার পর হত্যা করার ঘটনায় ২০১৪ সালের ১৫ এপ্রিল একটি মামলা হয়। মামলার তদন্ত পর্যায়ে আবু সাঈদকে হত্যার কথা আসামিরা স্বীকার করেন মর্মে উল্লেখ করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।